ঢাকা, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১২ মিনিট আগে
শিরোনাম

আফগানিস্তানে বোমা হামলা, তালেবানের দায় স্বীকার

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৭:৪৬

আফগানিস্তানে বোমা হামলা, তালেবানের দায় স্বীকার

আফগানিস্তানের পারওয়ান প্রদেশে প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির মিছিল লক্ষ্য করে ভয়াবহ বোমা হামলা চালানো হয়েছে। মঙ্গলবারের ওই হামলায় কমপক্ষে ২৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো ৩১ জন। এই হামলার দায় স্বীকার করে এক বিবৃতিতে দিয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবান।

বিবৃতিতে তালেবান দাবি করেছে, নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্যবস্তু বানাতেই এই হামলা চালিয়েছে তাদের একজন আত্মঘাতী সদস্য।

আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। দ্বিতীয় ৫ বছর মেয়াদের জন্য এ নির্বাচনেও প্রার্থী হচ্ছেন ঘানি। নির্বাচনকে সামনে রেখে এক সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, ঘানি যখন ভাষণ দিতে যাচ্ছিলেন ঠিক সেই সময় বিস্ফোরণটি ঘটানো হয়।

তালেবান আসন্ন নির্বাচন বয়কটের ডাক দিয়েছে। ভোটাররা যেন ভোটকেন্দ্রমুখী না হয় তার জন্য আফগানিস্তানের ও বিদেশি বাহিনীগুলোর সঙ্গে লড়াই তীব্র করে তোলার শপথ নিয়েছেন তালেবান কমান্ডাররা।

মঙ্গলবারের এই হামলা সম্পর্কে তালেবনের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ এক বিবৃতিতে বলেন, দুটি হামলাতেই তালেবান জড়িত ছিলো। আফগান নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করেই তারা এই হামলা চালিয়েছে।

তিনি বলেন, নির্বাচনি সভায় যারা প্রেসিডেন্ট ঘানির সুরক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন তাদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে তালেবান। একইসঙ্গে অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদেরও হত্যার পরিকল্পনা ছিল।

প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেউ হতাহতের শিকার হয়েছেন কি না তা এখনও জানা যায়নি। পারওয়ান প্রাদেশিক গভর্নরের মুখপাত্র ওয়াহিদা শাহকার জানান, নির্বাচনি সভার প্রবেশ দ্বারের কাছে এই হামলা চালানো হয়। সেখানকার হাসপাতালের প্রধান আবদুল কাশিম সানজিন আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, হতাহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে।

পারওয়ানে হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মঙ্গলবার কাবুলের গ্রিন জোনে আরেকটি বিস্ফোরণ ঘটেছে। আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, মার্কিন দূতাবাস ও ন্যাটো সদর দফতরের কাছে এই হামলার দায়ও স্বীকার করেছে তালেবান।

আফগানিস্তানে এ ধরনের বোমা হামলা কোনো নতুন ঘটনা নয়। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, দেশটিতে গত আগস্ট মাস জুড়ে বিভিন্ন সহিংসতায় প্রতিদিন গড়ে ৭৪ জন নিহত হয়েছেন। আর ওই মাসে হামলার ঘটনা ঘটেছে মোট ৬১১টি। এসব হামলায় সবমিলিয়ে নিহত হয়েছেন ২৩০৭ জন এবং আহত হয়েছেন ১৯৪৮ জন মানুষ।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত