ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ০১ জানুয়ারি, ১৯৭০
শিরোনাম

‘হালাল বিয়ের’ নামে ধর্মীয় নেতাদের যৌন ব্যবসা

‘হালাল বিয়ের’ নামে ধর্মীয় নেতাদের যৌন ব্যবসা
ফাইল ছবি

ধর্মীয় আইনের বিকৃত ব্যাখ্যা করে রমরমা দেহব্যবসা করছেন ইরাকের ধর্মীয় নেতারা। ইরাকে কিছু শিয়া ধর্মীয় নেতা একবারে অল্প বয়সী মেয়েদের সাথে অস্থায়ী বিয়ে পড়াচ্ছেন, এমনকী পাত্রী পর্যন্ত তারা জোগাড় করে দিচ্ছেন। ধর্মের অনুমোদনের যুক্তিতে এই ধরণের অস্থায়ী বিয়ের আড়ালে অল্প বয়সী শিশুদের নিয়ে দেহ ব্যবসা হচ্ছে।

শিয়াদের জন্য খুব পবিত্র কিছু স্থানে এই সব ধর্মীয় নেতারা অপকর্ম করে যাচ্ছেন। তারা অল্পবয়সী মেয়েদের কথিত ‘হালাল বিয়ে’র জন্য প্রস্তুত করে তোলেন। এমনকী তারাই খদ্দেরের সঙ্গে দালালির কাজও করেন। সিংহভাগ ক্ষেত্রে এসব অস্থায়ী বিয়ের পাত্রীদের বয়স খুবই কম থাকে। ১০ থেকে ১৩ বছরের মেয়েদেরই নাকি চাহিদা বেশি থাকে।

সাইদ রাদ নামের এক ধর্মীয় নেতা বলেন, ‘১৩ বছরের একটি মেয়ের সঙ্গে একদিনের জন্য করাই ভালো। এতে আপনার মনযোগ নষ্ট হবে না। আপনি তার সঙ্গে শুতে পারবেন, শরীরে হাত দিতে পারবেন, তার স্তনে হাত দিতে পারবেন। শুধু লক্ষ্য রাখবেন যাতে তার কুমারীত্ব নষ্ট না হয়।’

খদ্দের পরিচয়ে গেলে আরেক ধর্মীয় নেতা অল্পবয়সী মেয়েদের সঙ্গে যৌনতা সমর্থন করেন। তিনি কোনো রাখঢাক না করেই বলেন, ‘বয়স নয় বছরের বেশি হলেই করা যাবে। কোনো সমস্যাই নেই। আপনি শুধু তার শরীরে প্রবেশ করতে পারবেন না, বাকি সবই পারবেন।’ এমনকী তিনি মেয়ে জোগার করে দেওয়ার প্রস্তাবও দেন।

লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো, ইরাকের আইনে এ ধরনের প্রথা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু এসব ধর্মীয় নেতারা মানুষের ধার্মিকতার সুযোগ নিয়ে রমরমা ব্যবসা করে যাচ্ছেন। কিন্তু সাংবাদিক পরিচয়ে যোগাযোগ করা হলে এই দুই নেতার বক্তব্য বদলে যায়। দুজনেই রীতিমতো অস্বীকার করেন যে, এ ধরনের বিয়ে তারা করান না। কিন্তু এর আগেই গোপন ক্যামেরায় ধরা পড়ে তাদের আসল বক্তব্য। সূত্র: বিবিসি

এনএইচ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত