ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১২ মিনিট আগে
শিরোনাম

কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের বিপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের সংসদীয় পদক্ষেপ

কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের বিপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের সংসদীয় পদক্ষেপ
সিনেটর ক্রিস ভন হোলেন

কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের বিপক্ষে প্রথম সংসদীয় পদক্ষেপ নিতে চলেছেন মার্কিন আইনপ্রণেতারা। কাশ্মীরের মানবিক সংকট অবসানের আবেদনে একটি সংসদীয় প্রতিবেদন যুক্ত করেছে সিনেট প্যানেল।

বার্ষিক ফরেন অ্যাপ্রোপ্রিয়েশনস অ্যাক্ট-২০২০ সামনে রেখে সিনেটের ফরেন রিলেশনস কমিটি তাদের প্রতিবেদনে কাশ্মীরের ‘মানবিক সংকট’অবসানের আহ্বান যুক্ত করেছে।

আর এই সংশোধনী প্রস্তাবটি এনেছেন সিনেটর ক্রিস ভন হোলেন।

সম্প্রতি দু’দিনের ভারত সফরে এসেছিলেন সিনেটর ক্রিস ভ্যান। গত বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার দিল্লিতে একাধিক আমলা এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখাও করেন। তার এক সপ্তাহ আগে ভারত সরকারকে চিঠি দিয়ে কাশ্মীর সফরের আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। কিন্তু নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে তার সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে ভারত সরকার। এরপরই এই আবেদন জানালেন ক্রিস।

গুরুত্বপূর্ণ রিপাবলিকান নেতা এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত জ্যেষ্ঠ সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম প্রতিবেদনটি সিনেটে উত্তাপন করেন।

ওই প্রতিবেদন বলা হয়, ‘কমিটি অন অ্যাপ্রোপ্রিয়েশনস কাশ্মীরের বর্তমান মানবিক সংকটের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করছে এবং সেখানকার টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট পরিষেবা পুরোপুরি চালু, অবরুদ্ধ অবস্থা ও কারফিউ প্রত্যাহার এবং সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ তুলে নেওয়া ঘিরে আটক বন্দিদের মুক্তি দিতে ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।’

হাউস্টনে ট্রাম্পের সঙ্গে ‘হাউডি মোদি’অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ এবং নিউইয়র্কে দুজনের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের কয়েকদিন পর এই প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।

ক্রিস হোলেন ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম দ্য হিন্দুকে বলেন, ‘দ্বি-দলীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে নেওয়া এই প্রস্তাব কাশ্মীর পরিস্থিতি সম্পর্কে সিনেটের গভীর উদ্বেগের প্রকাশ এবং সেখানকার মানবাধিকার পরিস্থিতি যে আমরা গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছি সেই বার্তা দেওয়া হয়েছে। ভারত সরকার এই উদ্বেগ গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছে সেটা আমরা দেখতে চাই।’

তিনি বলেন, ‘মোদির সঙ্গে দেখা করে ব্যক্তিগতভাবে এই উদ্বেগ প্রকাশের বিষয়ে আশাবাদী ছিলাম, কিন্তু তার সঙ্গে দেখা করতে পারিনি।’

ক্রিস আরো বলেন, ‘কাশ্মীরে গিয়ে নিজের চোখে পরিস্থিতি কেমন দেখতে চেয়েছিলাম। ভারত সরকারের আপত্তিতে তা হয়ে ওঠেনি। কোনো কিছু লুকনোর না থাকলে, সেখানে পা রাখা নিয়ে ভয় থাকার কথা নয়। আমার মতে, কাশ্মীরের যা ঘটছে, ভারত সরকার তা কাউকে দেখতে দিতে চায় না।’

ক্রিসের এই অভিযোগ নিয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেননি ভারত সরকার।

ভারতীয় ও পাকিস্তান বংশোদ্ভূত মুসলিম অধ্যুষিত মেরিল্যান্ডের সিনেটর ক্রিস আগেও একাধিক বার জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে সরব হয়েছেন। তার উদ্যোগেই গত সপ্তাহে হাউজ অ্যাপ্রোপ্রিয়েশনস্ কমিটিতে জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে একটি বিশেষ বিল গৃহীত হয়। তাতে উপত্যকার মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, অবিলম্বে কাশ্মীরের সর্বত্র কার্ফু তুলে নিতে হবে। মুক্তি দিতে হবে সমস্ত বন্দিদের। যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করে চালু করে দিতে হবে ইন্টারনেট পরিষেবাও।

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত