ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

বন্দি কাশ্মীরি নেতাদের যেভাবে পেটাচ্ছে পুলিশ

বন্দি কাশ্মীরি নেতাদের যেভাবে পেটাচ্ছে পুলিশ

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের ওপর থেকে বিশেষ মর্যাদা সম্পন্ন ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকে বন্দি রয়েছেন রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি, ওমর আব্দুল্লাহ ও ফারুক আবদুল্লাহসহ সেখানকার বেশিরভাগ নেতাই। এসব নেতাদের কয়েকজনকে রোববার এক কারাগার থেকে শ্রীনগরের এমএলএ হস্টেলে সরিয়ে নেয়া হয়। এসময় কয়েকজন নেতাকে পিটিয়েছে পুলিশ। মেহবুবা মুফতির টুইটার হ্যান্ডল থেকে এ দাবি করেছেন তার মেয়ে ইলতিজা মুফতি।

কাশ্মীরে প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়ায় রোববার শ্রীনগরের চশমে শাহির অতিথিশালা থেকে সরিয়ে নেয়া হয় মেহবুবা মুফতিকে। ওই একই দিনে ডাল লেকের তীর সংলগ্ন সেন্টার হোটেলে বন্দি ৩৪ জন কাশ্মীরি নেতাকে সরানো হয় শ্রীনগরের এমএলএ হস্টেলে। সরানোর সময়ে তুচ্ছ কারণে সাজ্জাদ লোন, ওয়াহিদ প্যারা ও শাহ ফয়সলকে পেটায় পুলিশ।

গত ২৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয়ার আগের রাতেই বন্দি করা হয় ওমর আবদুল্লা, ফারুক আবদুল্লা, মেহবুবা মুফতি-সহ প্রথম সারির সকল কাশ্মীরি নেতাকে। ফারুককে শ্রীনগরে তার বাড়িতেই রাখা হয়েছে। বাকি নেতাদের রাখা হয়েছিল বিভিন্ন সরকারি হোটেল-অতিথিশালা-প্রটোকল ভবনে। সেগুলিকে সাব-জেলের মর্যাদা দেয় প্রশাসন।

শীতে ডাল লেকের তীর কাশ্মীরের শীতলতম স্থানগুলির মধ্যে অন্যতম। ফলে কিছু দিন ধরেই সেন্টর হোটেলে বন্দি নেতাদের সরিয়ে নেয়ার তোড়জোর করছিল প্রশাসন। রোববার চশমে শাহির অতিথিশালা থেকে মেহবুবাকে সরানো হয় মৌলানা আজাদ রোডের সরকারি বাড়িতে।

এ নিয়ে মেহবুবার মেয়ে ইলতিজা বলেন, ‘মায়ের স্বাস্থ্য নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে উদ্বিগ্ন ছিলাম। যে কটেজে মাকে রাখা হয়েছিল তার জানলা ভাঙা ছিল। উপযুক্ত হিটারও নেই। কিন্তু আমার কথা কেউ শুনছিলেন না।’

একই দিনে আরো ৩৪ জন কাশ্মীরি নেতাকে আজ সেন্টর হোটেল থেকে সরিয়ে নেয়া হয় মৌলানা আজাদ রোডেরই এমএলএ হস্টেলে। সরিয়ে নেয়ার সময় তিন নেতা সাজ্জাদ লোন, ওয়াহিদ প্যারা ও শাহ ফয়সলকে প্রচুর মারধর করে পুলিশ। এ অভিযোগ করেছেন মেহবুবার মুফতির মেয়ে ইলতিজা। টুইটার হ্যান্ডল থেকে তিনি এ অভিযোগ করেন। মেহবুবার ওই টুইটার হ্যান্ডলটি এখন ব্যবহার করছেন তার মেয়ে।

টুইটারে ইলতিজা লেখেন, ‘পিপলস কনফারেন্স নেতা সাজ্জাদকে এক সময়ে ভাই বলতেন নরেন্দ্র মোদি। কাশ্মীরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ওয়াহিদের ভূমিকার প্রশংসা করেছিলেন ভারতের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি শাহ ফয়সলকে কাশ্মীরের রোল মডেল বলে উল্লেখ করেছিলেন। তাদেরই যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে অন্যদের কী হাল হতে পারে বুঝে দেখুন!’

একই অভিযোগ করা হয়েছে সাজ্জাদের দল থেকেও। তাদের অভিযোগ, রোববার নতুন কারাগারে নেয়ার সময় দেহ তল্লাশির নামে সাজ্জাদকে মারধর করেছে পুলিশ।

তবে তাদের এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। আর কাশ্মীরের প্রশাসন বলছে, দেহ তল্লাশি ছাড়াই হস্টেলে ঢুকতে চেয়েছিলেন সাজ্জাদ । কিন্তু এমএলএ হস্টেলকেও যেহেতু সাব-জেল হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে তাই তল্লাশি ছাড়া সেখানে কাউকে ঢোকানো সম্ভব নয়। এ নিয়ে দু’পক্ষের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছে কেবল।

সূত্র: এনডিটিভি

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত