ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

ঘুরে আসুন হিমালয় কন্যা নেপাল

  ভ্রমণ ডেস্ক

প্রকাশ : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:১৩  
আপডেট :
 ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:১৬

ঘুরে আসুন হিমালয় কন্যা নেপাল

সার্কের সদস্যদের মধ্যে ভূমিবেষ্টিত দেশগুলোর একটি হলো নেপাল (Nepal)। নেপাল বিখ্যাত হিমালয়ের সৌন্দর্যের দরজা হিসাবে কিন্তু শুধু হিমালয় বাদেও নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু (Kathmandu) বসে আছে আরও নানারকম দেখার মতো স্থান নিয়ে। কাঠমান্ডু নেপালের রাজধানী ও বৃহত্তম মহানগর যেখানে বাস করছে প্রায় ৫০ লাখ মানুষ। নেপালে ঘুরতে হলে কাঠমান্ডু তে এসেই প্রথম ধর্না দিতে হবে। অনেকেই পাহাড় দেখবার আসায় কাঠমান্ডুর মতো শহরকে ঘুরবার তালিকায় প্রাধান্য প্রথমে দিতে চান না কিন্তু ঐতিহ্য, বানিজ্য, নানাবিধ আরকিটেকচারাল নিদর্শন নিয়ে কাঠমান্ডু কিন্তু তার আপন মহিমায় উজ্জ্বল।

কাঠমান্ডুর দর্শনীয় স্থান

পশুপতিনাথ মন্দির : হিন্দুদের পবিত্র ও নামকরা মন্দিরগুলোর মধ্যে নেপালের পশুপতিনাথ মন্দির (Pashupatinath Temple) সবচেয়ে বিখ্যাত। পশুপতিনাথ গড়ে উঠেছে শিবের সেবার জন্য এবং নেপাল ছাড়াও বছরে ভারত থেকে অজস্র মানুষ এখানে শিবের পূজা করবার জন্য ছুটে আসেন। এখানে দেখা পাওয়া যায় নানা প্রকৃতির সাধুদের।

স্বয়ম্ভূনাথ স্তুপ : নেপালের বিখ্যাত বৌদ্ধমন্দির গুলোর তালিকা করলে স্বয়ম্ভূনাথ (Swayambhunath) থাকবে ১ থেকে তিনের মধ্যে। এটি কাঠমান্ডু শহরের পশ্চিমে পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত যেখানে যেতে হলে পাড়ি দিতে হবে গুণে গুণে ৩৬৫ টি পাথরের তৈরি সিঁড়ী। অবশ্য সিঁড়ী চড়বার আগেই নজর পরবে বানরের দিকে।মন্দিরের চত্তর ও তার আসে পাশে একশোর উপরে বানর বহুদিন থেকে বাস করে আসছে। এসমস্ত বানরকে নেপালীরা পবিত্র দূত মিনে করে। তাদের ধারণা বুদ্ধ দেইতী মঞ্জুশ্রির মাথার উকুন থেকে এসমস্ত বানরের জন্ম এবং তারা এখানে তার সময় থেকেই রয়েছে।

এই মন্দিরটি নেপালের প্রাচীনতম মন্দিরগুলোর একটি। পঞ্চম শতকের শুরুর দিকে এর অস্তিত্ব আবিষ্কার হয়। আশার কথা হচ্ছে ২০১৫ সালের ভূমিকম্প বলবার মতো কোন ক্ষতিই করতে পারেনি এই স্থানটির। মন্দিরটি অধিকাংশ সময় প্রবল পর্যটকের ভীরে ভারী থাকে তাই সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৭টা হলো স্বয়ম্ভূনাথ মন্দির ঘুরবার জন্য সবচেয়ে ভাল সময়। মন্দিরের অংশগুলোর মধ্যে বুদ্ধ অমিদেভা পার্ক, পশ্চিমের স্তুপা বা স্তম্ভ, পূর্বের সিঁড়ী অবশ্য দ্রষ্টব্য। একটি নির্দিষ্ট ফি এর মাধ্যমে মন্দিরটি ঘুরে দেখা যায় এবং লোকাল পুরোহিতকে আলাদা কিছু ফি দিলে সে আপনাকে মন্দিরের অভ্যন্তরে নিয়ে তাদের ধর্মীয় রীতিনীতিতে অংশ নেয়া সম্পর্কে ধারণা দেয়।

বৌদ্ধনাথ স্তুপ : থামেল থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বৌদ্ধ এর স্তুপা বা স্তুপ (Boudhanath Stupa) নেপাল পর্যটকদের অবশ্য দ্রষ্টব্য জায়গাগুলোর একটি। এটি এশিয়ার সবচেয়ে বড় স্তুপাগুলোর একটি। এটি এত বড় যে অনেক দূর থেকে দেখা যায়।

কোপান মনেস্ট্রি : কোপান মনেস্ট্রি (Kopan Monastery) কাঠমান্ডু একটি লুকায়িত হীরার মতো একটি জায়গা। এখানে টিবেতান সাধুরা আসে মেডিটেশন করবার জন্য। কোপান মনেস্ট্রি থেকে কাঠমান্ডু শহর পুরোটার ১৮০ ডিগ্রী ভিউ পাওয়া সম্ভব। আগে এই জায়গাটি সম্পর্কে খুব বেশি মানুষ জানতোনা কিন্তু বর্তমানে প্রচারলাভের পর এই স্থানটি তার আরকিটেকচারাল সৌন্দর্যের জন্য খুব সমাদৃত পর্যটকদের কাছে।

কাঠমান্ডু দরবার স্কয়ার, পাটান, ভক্তপুর : কাঠমান্ডুর প্রাচীন দিকটি থামেলের দক্ষিণে , বসন্তপুরে অবস্থিত দরবার স্কয়ারকে ঘিরে গড়ে উঠেছে। উনিশ শতক পর্যন্ত নেপালের রাজা ও তার পরিবার এর সদস্যগণ এখানেই বসবাস করতেন। জায়গাটি এতটাই বনেদী এবং ঐতিহ্য এর সাক্ষী যে ১৯৭৯ সালে ইউনেস্কো একে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসাবে ঘোষণা করে। রাজপ্রাসাদ ছাড়াও ১২ শতকের প্রচুর হিন্দু এবং বৌদ্ধ মন্দিরএর নিদর্শন এখানে পাওয়া যায়।

দরবার স্কয়ার (Kathmandu Durbar Square) থামেল থেকে মাত্র ৭০০ মিটার দূরে। এখানে প্রচুর পায়রা দেখা যায় যা আলাদা মাধুর্য যোগ করে ভ্রমনে। দরবার স্কয়ারে দেখবার মতো রয়েছে সাদা ভৈরব বা সেতো ভৈরব, জগন্নাথ মন্দির, তেলেজু মন্দির, ইন্দ্রপুর মন্দির, মহেন্দ্রশ্বর মন্দির, দুর্ভাগ্যবশত ২০১৫ সালের তীব্র মাত্রার ভূমিকম্পে রাজপ্রাসাদ সহ মন্দিরগুলোর দক্ষিণ দিক ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবুও এর বর্তমানে অবশিষ্ট অংশ দেখেও এর প্রাক্তন সৌন্দর্যের আন্দাজ করা সম্ভব। সংস্কারের কাজের জন্য বর্তমানে দরবার স্কয়ারের টিকেটের মূল্য বাড়লেও আশার কথা সার্কের নাগরিকদের জন্য তা নাগালের মধ্যেই আছে।

কাঠমান্ডু ভ্যালীর কাছাকাছি আরও দুটি দরবার স্কয়ারের মতো ঐতিহাসিক গুরুত্ব এর নিদর্শন রয়েছে পাটানে এবং ভক্তপুরে। ভূমিকম্প এই দুইটি জায়গার ক্ষতি করলেও তা দরবার স্কয়ারের মতো মারাত্মক নয়।

থামেল : থামেল (Thamel) হলো কাঠমান্ডুর পর্যটকদের প্রাণকেন্দ্র। হাজার হাজার হোটেল, সুভেনির এর দোকান, হাইকিং এর দোকান, রেস্টুরেন্ট , বার এখানে বসে আছে প্রাণচাঞ্চল্য কি জিনিস তার আভাস দিতে। রাস্তায় সারি সারি দোকান ও ফেরিওয়ালা নানারকমের পসরা সাজিয়ে এখানে পর্যটকদের আকৃষ্ট করবার আশায় বসে থাকে সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত। থামেল মার্গ হলো এলাকার প্রধাণ রাস্তা যা নানা রঙের পতাকা দিয়ে সাজানো। এখানে পাওয়া যায় সিংগিং বোলের আওাজ আর ধুপ ধুনোর গন্ধ। মান্ডালা স্ট্রিট থামেলের আরেকটি রাস্তা যা তার বইয়ের দোকান, কফি শপের জন্য বিখ্যাত। থামেল থেকে আপনি চাইলে গোর্খা ছুড়ি থেকে শুরু করে সিঙ্গিং বোল, পশ্মিনা চাদর, মান্ডালা ওয়াল পেইন্ট ও অন্যান্য অনেক কিছু কিনতে পারবেন।

গার্ডেন অফ ড্রিমস : গার্ডেন অফ ড্রিমস (garden of dreams) বা স্বপ্নের বাগান অবস্থিত কাঠমান্ডুর কায়সার মহলে। এটি একটি নিও ক্লাসিকাল বাগান। বাগানটি তৈরি করা হয় ১৯২০ সালে এবং এর ডিজাইন বর্তমান আধুনিক সমস্ত ইউরোপিয়ান বাগানের সাথে মিলে যায়। আরকিটেকচারাল ভিউ এবং গাছ গাছালির সমারোহ দেখবার জন্য এই জায়গাটি টুরিস্টদের আকর্ষণ করে।

সিংহ দরবার (Singha Durbar) : নব্য-ধ্রুপদী, পেলেডিয়ান এবং ইউরোপীয় স্থাপত্য শৈলী মিশেলে তৈরি সিংহ দরবার বা সিংহ প্রাসাদ কাঠমাণ্ডুর মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত রাণা বংশের একটি প্রাসাদ।

আসান বাজার : আসান টোলে বা আসান বাজার (asan bazar) হলো নেপালের তাজা শাকসবজি ও ফলের বাজার। বাড়িতে বানানো স্থানীয় পানীয় রাকশি থেকে শুরু করে নানারকম মশলা, স্থানীয় নাম না জানা ফল সমস্ত কিছু এখানে পাওয়া যায়। এখানে কাঠমান্ডুর বাইরে থেকে রোজ কৃষকরা আসে তাদের পণ্য বিক্রি করতে। লোকাল জিনিস ও মানুষদের কাছে থেকে দেখবার জন্য আসান টোলে শহরের বাইরের সেই সুপার মার্কেটের মতো কাজ করে যা ভ্রমনে অনন্য মাত্রা যোগ করতে সক্ষম। এছাড়া আসান টোলের আসে পাশে অন্নপূর্ণা ও কৃষ্ণ নামে দুটো দেখবার মতো মন্দির আছে যারা তাদের গঠন ও অবস্থানের জন্য বিখ্যাত।

কাঠমান্ডু যাবার উপযুক্ত সময়

অক্টোবর ও নভেম্বর হলো কাঠমান্ডু ঘুরবার জন্য উপযুক্ত সময়। এ সময় আবহাওয়া শুষ্ক কিন্তু ঠাণ্ডা অন্য সময়ের থেকে কম থাকে শীতের শুরু বলে। আকাশ পরিচ্ছন্ন থাকে বলে ঘুরে আরাম পাওয়া যায় এবং ট্রেকিং এর প্রস্তুতি ভাল নেওয়া যায়। সেপ্টেম্বর এ কাঠমান্ডু ঘুরতে না যাওয়া ভাল কারণ তখন বর্ষার জন্য নানারকম অসুবিধা হতে পারে। এপ্রিল পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্ক থাক্লেও সেসময় ভাল শীত পরে তবে কাঠমান্ডুতে বরফ পরে না এবং মাঝে মাঝে তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রিতে নামে বলে শীত যারা ভালবাসে তারা চাইলে এ সময়ে যেতে পারেন। ভিড় পছন্দ না করলে বা সিজনের পরে কম খরচে ভ্রমণ করতে চাইলে মার্চ থেকে এপ্রিলের মাঝামাঝি বা সেপ্টেম্বরের মাঝেরটুকু ভাল সময় কাঠমান্ডু ঘুরবার জন্য।

কিভাবে যাবেন

বাংলাদেশ থেকে নেপালে বিমানযোগে যাওয়া যায় এবং কাঠমান্ডুতে যেতে হলে সেখানকার ত্রিভুবন এয়ারপোর্টের টিকেট কাটতে হবে। খরচ যাওয়া আসার টিকেট নিয়ে ১৮ হাজার টাকা থেকে ২২ হাজার টাকার মতো পরবে। আগে ভাগে টিকেট কাটতে পারলে ১৭ হাজার টাকার মতো পরবার কথা। তবে কাঠমান্ডুর ফ্লাইট প্রায়ই ডিলে হয়। এক্ষেত্রে বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলো ভাল সেবা দান করে।

বাই রোডে নেপাল যেতে হলে খরচ কমে যাবে অনেকটা। সেক্ষেত্রে ভারতের ট্রানজিট ভিসা নিতে হবে যেখানে পোর্টের নাম দিতে হবে চ্যাংরাবান্ধা বা রানীগঞ্জ। এখানে বা বিমানে কোনটাতেই নেপালের ইমিগ্রেশনে কোন ভিসা ফি এর দরকার নেই যদিনা আপনি একই বছরে দুবার ভ্রমণ করতে চান। এস আর পরিবহন সরাসরি বাই রোডে নেপালের বাস এর সেবা দিচ্ছে। চাইলে ভেঙ্গে ভেঙ্গে ভারতের বর্ডার পর্যন্ত গিয়ে সেখান থেকে নেপালের কাঁকড়ভিটা পর্যন্ত যেতে পারেন। এতে খরচ পরবে প্রায় ১৩ থেকে ১৪ হাজার টাকার মতো।

কোথায় থাকবেন

থাকতে হলে থামেলের চেয়ে উপযুক্ত স্থান আর দ্বিতীয়টি নেই কারণ পুরো থামেলের গলি ঘুপচিতে অসংখ্য হোটেল/ ব্যাকপ্যাকার হোস্টেল রয়েছে। ১০০০ থেকে ১৮০০ রুপির মধ্যে ভাল ডাবল রুমের বাজেট হোটেল এখানে পাওয়া সম্ভব। ৪০০ রুপিতে সিঙ্গেল রুমের হোটেল ও এখানে আছে। বাজেট আরেকটু বেশি যেমন ৩০০০ রুপি বা তার বেশি হলে ডিলাক্স রুমের খাবার সহ অনেক ভাল হোটেল পাওয়া যায়। তবে থামেল এর হোটেল এবং তাদের দরদাম ও চেহারা এত বেশি বৈচিত্র্যময় যে আগে থেকে বুকিং না দিয়ে বরং পায়ে হেঁটে ঘুরে কয়েকটি হোটেল ঘুরে যাচাই বাছাই করলে সস্তায় ভাল হোটেল পাওয়া সম্ভব।

কি খাবেন

নেপালের লোকাল খাবার হিসাবে তারা ভাতের থালি কেই প্রাধান্য দেয়। তাই কাঠমান্ডুর যেখানেই যাওয়া হোক না কেন ভাত না খেয়ে থাকা অসম্ভব। ভাতের সাথে মাছ, মুরগী, সালাদ, রায়তা, শাক ও পাঁপড় থালিতে থাকে। নেপাল শীতপ্রধান দেশ বলে সেখানে মোমোর প্রচলন আছে। থামেল ও কাঠমান্ডুর অন্যান্য জায়গায় অসংখ্য মোমোর দোকান আছে। এছাড়া আছে নানা স্বাদের নানা রঙ এর চা ও কফি। ফুলের পাপড়ি থেকেও চা তৈরি করে তারা বিক্রি করে রাস্তার মোড়ে মোড়ে। এছাড়াও আধুনিক খাবার দাবার সবই এখন কাঠমান্ডুতে পাওয়া যায়।

কেনাকাটা

থামেল হলো কাঠমান্ডু থেকে কেনাকাটা করবার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত স্থান। কারণ এখানে এত বেশি দোকান ও তার মনোহর সামগ্রী যে তা কাঠমান্ডুর অন্য কোথাও দেখতে পাওয়া যায় না। তবে এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে টুরিস্ট এলাকা হিসাবে এখানে অবশ্যই দাম অস্বাভাবিক রকমের বেশি থাকবে। তাই কেনাকাটার হারজিতের ব্যপারটা পুরোটাই নির্ভর করবে আপনি কত ভাল দামাদামি করতে পারেন এবং কত ভাল জিনিস চিনেন।

কাঠমান্ডু ভ্রমণ খরচ

দলবল বা দুই তিনজন মিলে গেলে খরচ অনেকটা কমে যায় কাঠমান্ডু ভ্রমণের ক্ষেত্রে। কাঠমান্ডু ও অন্য দর্শনীয় স্থান (যেমন পোখরা) ভ্রমণ করলে বিমানের যাওয়া আসা এবং ২-৩ দিন থাকা খাওয়া ও ঘোরাঘুরি ক্ষেত্রে জনপ্রতি খরচ পরবে প্রায় ৩০ থেকে ৩২ হাজার টাকার মতো। বাই রোডে গেলে এক্ষেত্রে ৬-১০ হাজার টাকা প্রায় বাঁচানো সম্ভব। কাঠমান্ডুতে দেখবার স্থানগুলো মোটামোটি কাছাকাছি হওয়ায় তেমন খরচ নেই বললেই চলে। এছাড়া সার্কভুক্ত দেশের নাগরিকদের জন্য মন্দিরগুলোর টিকেট বিদেশীদের থেকে প্রায় এক তৃতীয়াংশ কম দামে পাওয়া যায়। খাবার এর থালি নেপালে ১৫০-৩০০ রুপির মধ্যে পাওয়া যায়। তাই থাকা খাওয়া ও ঘুরবার খরচ সামলে কাঠমান্ডু ঘোরা অনায়াসে সম্ভব।

কাঠমান্ডু ভ্রমণ টিপস

বিমানে যাত্রার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে কাঠমান্ডু যাবার সময় বোর্ডিং অফিসারকে বলে যদি বিমানের বা সারির সিট নেওয়া যায় তাহলে কাঠমান্ডুর এয়ারপোর্টে নাম্বার আগেই হিমালয়ের আইসপিক বিমান থেকে দেখতে পারবেন। তেমনি ভাবে সেখান থেকে আসবার পথে চাইলে আপনি ডান দিকের সিট রিজার্ভ করতে পারেন।

নেপালিরা ভীষণভাবে অতিথিপরায়ণ ও সাহায্যকারী। যেহেতু তারা হিন্দুরাজ্য তাই সেখানে গিয়ে খাবার দাবার বা তাদের মন্দির ঘুরবার সময় ধর্মীয় রীতিনীতির সাথে যথাসম্ভব সম্মান দেখান।

টাকা এয়ারপোর্ট থেকে না ভাঙিয়ে এয়ারপোর্টের বাইরে মানি একচেঞ্জ থেকে ভাঙ্গালে রেট বেশি পাওয়া যায়। তবে মোবাইল সিমটি এয়ারপোর্ট থেকে কেনাই ভাল যদি কেউ কিনতে চান।

যেহেতু নেপাল ঠাণ্ডার দেশ তাই হোটেল নেবার আগে গরম পানির ব্যবস্থা কেমন তা ভালো ভাবে জেনে হোটেল নেয়া ভাল।

অন এরাইভাল ভিসার জন্যে পাসপোর্ট, পাসপোর্টের ফটোকপি, রঙ্গিন পাসপোর্ট সাইজ ছবি, রিটার্ন টিকেট ও হোটেল বুকিং তথ্য (অনেক সময় লাগতে পারে), ডলার এনডোরসমেন্ট, চাকুরীজীবি হলে NOC এবং স্টুডেন্ট হলে আইডি লাগে।

কিছু প্রয়োজনীয় ফোন নাম্বারঃ পুলিশ (ইমারজেন্সি) – ১০০, টুরিস্ট পুলিশ – ৪২৪৭০৪১, ডিপার্টমেন্ট অফ ইমিগ্রেশন – ৪২২৩৫০৯/ ৪২২৪৫৩, নাইট ট্যাক্সি – ৪২২৪৩৭৪, এম্বুলেন্স (রেড ক্রস) – ৪২২৮০৯৪, এম্বুলেন্স – ১০২

বাংলাদেশ জার্নাল/আর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত