ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

শীতে রূপচর্চায় সরিষা তেল

  রূপসজ্জা ডেস্ক

প্রকাশ : ১৫ নভেম্বর ২০২০, ১৬:১০  
আপডেট :
 ১৫ নভেম্বর ২০২০, ১৬:৩২

শীতে রূপচর্চায় সরিষা তেল

সরিষা তেলের বহু গুণ রয়েছে। রান্নার তেল হিসেবে যেমন উপকারী, তেমনি রূপচর্চায়ও সরিষা তেল ব্যবহার করা যায় নানাভাবে। ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সরিষা তেলে থাকে অনেক প্রয়োজনীয় উপাদান। শুকনো ত্বকের জন্য অলিভ অয়েল নয়, এই শীতে হাতে তুলে নিন সরিষার তেলের বাটি। গোসলের আধঘণ্টা আগে সারা গায়ে ভাল করে তেল ম্যাসাজ করুন। দেখবেন, দিনে দিনে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ছে। পাশাপাশি, এই শীতে ত্বক থাকবে তরতাজাও।

এক সময়ে শিশুদের তেল মাখিয়ে রোদে রাখা হতো তবে এখন অনেকেই সরিষা তেলের পরিবর্তে বেছে নেন অলিভ অয়েল। কিন্তু চিকিৎসকদের মতে, সর্ষের তেলে আস্থা রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ। নিয়মিত সর্ষের তেল মাখলে অনেক জটিল সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। কারণ সরিষা তেলে রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন-ই, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স, ওমেগা ফ্যাটি এসিড এবং পরিমাণমতো ভিটামিন-এ।

এই শীতে রূপচর্চায় এটি নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন নিশ্চিন্তে। জেনে নিন কীভাবে রূপচর্চায় ব্যবহার করবেন সরিষার তেল-

ত্বকের যত্নে: সর্ষের তেল অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদানে ভরপুর, অ্যালার্জি ও র‍্যাশ প্রতিরোধ করে। ত্বকের শুষ্কতা ও চুলকানি রুখতেও সর্ষের তেল কার্যকরী ত্বকে ডার্ক স্পট, ট্যান বা পিগমেন্টেশন ঠেকাতে বেসন, দই, লেবুর রস আর সর্ষের তেল মিশিয়ে ১০-১৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন, তার পর ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সর্ষের তেল ও নারকেল তেল মিশিয়ে ১০ মিনিট ত্বকে ম্যাসাজ করুন, ত্বক নরম, উজ্জ্বল থাকবে।

ব্রণ কমাতে: ত্বকে ব্রণ কিংবা সানট্যান হলে সরিষা তেল ব্যবহারে উপকার পাওয়া যাবে। অল্প পরিমাণে সরিষা তেল হাতে নিয়ে ভালো করে ম্যাসাজ করুন আপনার ট্যানপড়া ত্বকে। তারপর তুলো পানিতে ভিজিয়ে আস্তে আস্তে মুছে নিন। কিছুদিনের মধ্যেই চোখে পড়ার মতো উপকার দেখতে পাবেন। নিয়মিত ব্যবহারে কখনোই সানট্যান হবে না।

ত্বকের দাগ দূরীকরণে: মুখে কালো দাগ বা ছোপ কিংবা ব্রণ কমে গেলেও দাগ থেকে যায়। এর সমাধান হলো দুই চামচ সরিষা তেল নিয়ে তার মধ্যে এক চামচ নারকেল তেল মেশান। এর মধ্যে এক চামচ লেবুর রস আর দুই চামচ টকদই দিয়ে একটা প্যাক বানিয়ে মুখে মাখুন। মিনিট দশেক পর ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে শুধু দাগ যাবে না, সঙ্গে মুখের জেল্লা বাড়বে।

রোদ থেকে রক্ষা: অল্প সর্ষের তেল হাতের তালুতে ঘষে মুখে লাগিয়ে নিন, সূর্যের ক্ষতিকারক আলট্রাভায়োলেট রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করবে।

রিংকেল কমাতে: সর্ষের তেলে রয়েছে ভিটামিন এ, ই এবং বি কমপ্লেক্স। ফলে এটি রিংকল কমাতে সাহায্য করে।

ঠোঁট ফাটা রোধে: ঠোঁট ফাটা খুব সাধারণ একটি সমস্যা। অনেকের এই সমস্যা এত বেশি হয়ে থাকে যে লিপবাম কাজ করে না। অল্প একটু সরিষা তেল নিয়ে ঠোঁটে লাগান। এই প্রাকৃতিক ময়োশ্চারাইজার ঠোঁট ফাটা রোধ করে ঠোঁট নরম কোমল করে তুলে।

চুলের যত্নে: অনেকে চুলের যত্নে মাথায় সরিষার তেল ব্যবহার করে থাকেন। চুলের আগা ফাটা, চুল পড়া রোধ, চুল ঘন কালো করতে সরিষা তেলের ভূমিকা অপরিসীম। তবে ত্বকের যত্নেও রয়েছে এর বহুবিধ ব্যবহার।

চুল পাকা রোধ করতে: সরিষা তেলের পুষ্টি উপাদান, ভিটামিন, মিনারেল চুলের অকালপক্কতা রোধ করে থাকে। প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে সরিয়া তেল ম্যাসাজ করুন চুল এবং মাথার তালুতে। যা আপনার চুল পাকা রোধ করবে।

নতুন চুল গজাতে: সরিষা তেলে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন আছে। এটি নিয়মিত মাথার তালুতে ম্যাসাজ করার ফলে নিয়মিত নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। এছাড়া এই তেল আয়রন, ফ্যাটি অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের উৎস। যা চুল পড়া রোধ করে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে থাকে।

চুলের বৃদ্ধি বাড়াতে: সরিষার তেলে থাকা বেটা-ক্যারোটিন, ফ্যাটি অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম চুলের দ্রুত বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

তবে সরিষা তেল ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই নিশ্চিত হয়ে নিন আপনার সরিষা তেল খাঁটি কিনা। নকল বা ভেজাল সরিষা তেল ব্যবহারে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত