পায়ে যখন হিল জুতা
মাটি থেকে অনেকটা উঁচুতে পা। না মচকে, না পড়ে গিয়ে এবারের ‘হিল’ময় জীবন। স্টাইল বজায় রেখেও পায়ের পক্ষে ভালো হিল কোনটি?
বুঝে পরুন হিল–
আদর্শ হিলের উচ্চতা এক থেকে তিন ইঞ্চি। এর বেশি উচ্চতার হিল জায়গা বুঝে তবেই পরা উচিত। অর্থাৎ সেই হিল জুতোকেই বেছে নিন যা আরামদায়ক হবে। কিটেন হিল সাধারণত দেড় থেকে দু’ইঞ্চি হয়। এই ধরনের হিল সারাদিন চলাফেরা করার জন্য বেশ ভাল।
তিন ইঞ্চি হল হিলের ঠিকঠাক উচ্চতা এবং কর্মক্ষেত্রে পরার উপযুক্ত। কাজের বাইরে কিংবা ছুটির দিনের স্টাইলের জন্য উপযুক্ত, চার ইঞ্চি। পাঁচ কিংবা ছ’ইঞ্চি হিল কম আরামদায়ক এবং একটু বেশি হাঁটাচলায় অসুবিধা হয়। যদি এই উচ্চতার হিল পরার ইচ্ছে হয় তাহলে যেদিন কিছুক্ষণ মাত্র হাঁটাচলা করতে হবে সেদিন পরুন।
একটু সামলে- দেখতে স্টাইলিশ হলেও স্টিলেটো হিল একটু সাবধানে পরা উচিত। স্টিলেটো হিল লম্বা ও সরু হয়। ২—১০ ইঞ্চি পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। স্বাভাবিকভাবেই যত বেশি উঁচু হবে হাঁটতে ততটাই সমস্যা হতে পারে।
শখ করে একদিন স্টিলেটো পরতে পারেন কিন্তু প্রতিদিন ব্যবহারের জন্য একদমই নয়। কোণ ও প্রিজম হিলও একটু সামলে পরবেন। এই হিলগুলির শেষের দিক সুচালো হয় বলে ভারসাম্য হারিয়ে পা মচকে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।
বিপদ কম- কিটেন হিল ১.৫ থেকে ২ ইঞ্চি উঁচু হতে পারে। এগুলোর উচ্চতা কম থাকায় ব্যবহারকারীর হাঁটতে সুবিধা হয়। দেখতেও বেশ আকর্ষক। তাই প্রতিদিনের কর্মজীবনেও কিটেন হিল ব্যবহার করা যায়।
ওয়েজ হিল জুতোর সামনে থেকে শুরু হয়ে শেষ পর্যন্ত চলে যায়। এটি হিলের অংশে পুরু হয় ও আঙুলের অংশে সরু হয়। এই ধরনের হিলগুলি পরতেও অপেক্ষাকৃত সুবিধাজনক।
খেয়াল রাখবেন- খেয়াল করে দেখবেন যত বেশি উঁচু হিল পরবেন ততই পায়ের গতি কমে যায়। তাই হিল পরে স্নিকার জুতো পরার মতো পায়ের গতি আনার চেষ্টা করবেন না। এতে রাস্তায় পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। হিল জুতো পরে হাঁটার সময় সোজা হয়ে হাঁটুন। হিলকে পাশে হেলিয়ে হাঁটবেন না।
এতে হিল স্লিপ করে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যে কোনও ধরনের হিল পরেই বেশিক্ষণ হাঁটবেন না। একটানা অনেকক্ষণ হিল পরে হাঁটলে পায়ে ব্যথা হতে পারে। গর্ভাবস্থায় হিল কোনওমতেই নয়। তাছাড়া পায়ের সঠিক মাপে হিল জুতো পরছেন কি না সে ব্যাপারে খেয়াল রাখুন।
