ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

ছোট মুখে বড় কথা

  রাজীব কুমার দাশ

প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০২৪, ১২:৪০

ছোট মুখে বড় কথা
রাজীব কুমার দাশ। ফাইল ছবি

আসলে ছোট শিশু অন্যায়ের বিরুদ্ধে যে প্রকারের রুখে দাঁড়ান; সে প্রকারে যদি - বড়রাও রুখে দাঁড়াতে পারতেন, মনে হয়না পৃথিবীতে অপরাধ বলতে কিছু থাকতো।

এই যে সোমালিয়ার হাতে গোনা কিছু জলদস্যু নিয়ে সিনেমা মাষ্টারের বানানো বেশ কয়েকটি সিনেমা রাতারাতি ডাকাতদের বিশ্বপরিচিতি এনে দিয়েছে। সোমালিয়া নামটি শোনামাত্র, সবার চোখে মুখে ভেসে উঠে অত্যাধুনিক একে ভার্সন মডেল বন্দুক, মেশিনগান হাতে কিছু অপ্রতিরোধ্য চাপা ভাঙা গালের চিতা হায়েনা মুখাবয়ব মূর্তিমান আতঙ্ক পশুমানব তর তর করে রশি বেয়ে উঠে যাচ্ছে নিরস্ত্র জাহাজে।

উঠেই নিরস্ত্র নাবিককে মারপিট করছে। তাদের স্ত্রী সন্তানদের নির্যাতন করছে। প্রতিরোধের যারা চেষ্টা করেছিল; তাদের হত্যা করে সাগরে ফেলে দিচ্ছে। বিশ্বময় একটি চলমান ভূমিকম্প আতঙ্ক তৈরি করে তাদের ভদ্রবেশী দালাল সিন্ডিকেট গুরুদের চাহিবামাত্র দিতে বাধ্য থাকিব চালু রেখেছেন - বিশ্বব্যাপী ট্রেন্ড।

প্রশ্ন হচ্ছে - কী এবং কেন? এই যে,কী এবং কেন জগৎ সংসারে ভয়ঙ্কর মানব প্রাণীটি প্রাণীর বৈশিষ্ট্য নিয়ে জন্মানোর পর হতে খুব সহজে নিজের জীবনকে নিশ্চিত আনন্দময় করে তোলার অবিরত চেষ্টা চালিয়ে যান। তাদের কাঙ্ক্ষিত সুখের প্রয়োজনে তারা পারেন না এমন প্রচেষ্টা নিতান্তই উদাহরণ হাতে গোনা কম। হোক না সেটা অবিরত যুদ্ধ-বিগ্রহ প্রতারণা কিংবা প্রেম। মধ্যযুগের দাস প্রথা মধ্য-আধুনিক মিশেল হেরেমপ্রথা; হালের ঘরে বাইরে আধুনিক বেশ্যাপ্রথা প্রকৃষ্ট উদাহরণ।

মানুষের কেড়ে নেয়া বিপণন সংস্কৃতি আদৌ কি বন্ধ হয়েছে? আদতে বন্ধ হবেও কী কোনোদিন? কখনো হবেনা। এ উপমহাদেশে বর্গী আরব ইংরেজ উড়ে এসে জুড়ে বসে যেভাবে ধ্বংস করেছিল - প্রজন্মান্তর চিন্তা চেতনা দর্শন। যেভাবে বহুরূপী ভাবনায় দলিত মলিত করেছেন আমাদের চিন্তা চেতনা ভাবনার নিজস্বী দর্শন সংস্কৃতি।

সুশোভিত সভ্যতার সবকিছু কেড়ে নিয়ে হাতে ধরিয়ে দিয়ে গেছেন, ঊষর চিন্তার হারিকেল। ধূর্তামি তীব্র প্রতিযোগী মনে ইতিহাসের পাতায় তবুও তারা নিজেদের করে রেখেছেন মহান।

ক'দিন ক'জন ডাকাতের নির্মম আচরণ খাবার দাবার নিয়ে মিনিট ঘণ্টা ধরে চলছে উতাল পাতাল মিডিয়া বিশ্ব। থেমে নেই ইন্টারনেট খেকো বিজ্ঞাপন অ্যাপস ব্যবসা ডাকাতদের মতন। তাকিয়ে দেখছে বিশ্ব। আঙুল চুষে হাসছেন, জাতিসংঘ দেশ বিদেশের মানবাধিকার সংগঠন কমিশন। ধীরে ধীরে হাতেগোনা ক'জন বন্দুকধারী ডাকাতের হাতে জিম্মি নাটকের সিনেমা নাটক ক্রিপ্ট লিখে চলেছেন, কিছু দার্শনিক পরিচালক ও কবি গুণিজন।

সাক্ষাৎকার নিতে বসে আছেন, সারি সারি সাংবাদিক ইউটিউবার। কেঁদে কেঁদে বুক ভাসিয়ে চলেছেন - হতভাগ্য নাবিক পরিবার। প্রতিবেশি ভাবনায় কেউ কেউ করে চলেছেন তুচ্ছতাচ্ছিল্য ব্যঙ্গ বিদ্রুপ।

কাগজে-কলমে অক্ষম হিরোইজম মনে কেউ কেউ দস্যু মেরে নাবিক উদ্ধার করে রাতারাতি ডাকসাইটে জাতীয় নেতা হতে চলেছেন।

চাঁদ মঙ্গলগ্রহে বসবাস মনে দুষ্ট হারামি বিশ্ববিবেক মধ্য-আধুনিক মিশেল কাড়াকাড়ি ভাবনায় - এবারও হয়তোবা চেপে যাবেন।

লেখক: রাজীব কুমার দাশ। প্রাবন্ধিক ও কবি পুলিশ পরিদর্শক, বাংলাদেশ পুলিশ।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত