ঢাকা, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

পৃথিবীর সুন্দর ছায়াটুকু কেরালায়

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১৪ আগস্ট ২০১৮, ০২:৪৮

পৃথিবীর সুন্দর ছায়াটুকু কেরালায়

পশ্চিমে আরব সাগর, পূর্বে ৫০০-২৭০০ মিটার উচ্চ পশ্চিমঘাট পর্বতমালা দ্বারা এবং ৪৪ টি নদী-জাল বেষ্টিত কেরালা রাজ্যটি বহুমূখী ভূ-প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যে মোড়া। সুউচ্চ পর্বতশৃঙ্গরাজি এবং গভীর উপত্যকা থেকে শুরু করে অনন্ত ব্যাকওয়াটার ও সুবিস্তৃত তটভূমি নিয়ে কেরালা রাজ্যের কাছে নেই বলে কিছুই নেই।

কোভালাম

দক্ষিণ কেরালার থিরুবনন্তপূরম থেকে মাত্র ১৬ কিমি। কোভালম একটি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সমুদ্র সৈকত, যেখানে একটি-অপরটির সঙ্গে লাগোয়া তিনটি অর্ধচন্দ্রাকার বেলাভূমি রয়েছে। এই সমুদ্র সৈকত সেই ১৯৩০ -এর দশক থেকেই বরাবর পর্যটকদের প্রিয় বিচরণ ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচিত হয়ে এসেছে, বিশেষত ইউরোপীয়দের কাছে। এই সৈকতে একটি ভীমকায় পাথুরে শৈলান্তরিপ রয়েছে যা একে সমুদ্রস্নানের পক্ষে আদর্শ একটি শান্ত-স্নিগ্ধ সৈকতের রূপদান করে।

ফোর্ট কোচি ফোর্ট কোচির ঐতিহাসিক শহরটিকে ভালভাবে দেখার সেরা উপায় হচ্ছে পায়ে হেঁটে বেড়িয়ে পড়া। আপনার সামনে এসে দাঁড়াবে ইমানুয়েল দুর্গ। এই দুর্গ-প্রাসাদটি অতীতে পর্তুগীজদের আস্তানা ছিল এবং কোচির মহারাজা সঙ্গে পর্তুগালের সম্রাটের বন্ধুত্বের প্রতীক ছিল, যাঁর নামেই এর নামকরণ। এই দুর্গ-প্রাসাদটি নির্মিত হয়েছিল ১৫০৩ সালে । প্রাচীন ঠাকুর হাউস, যেটি ঔপনিবেশিক যুগের একটি কংক্রিট স্থাপত্য। আছে ডেভিড হল। ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি দ্বারা এটি আনুমানিক ১৬৯৫ সালে নির্মিত। হলটি খ্যাত নামা ওলন্দাজ সেনাপতি হেনড্রিক অ্যাড্রিয়ান ভ্যান রীড টট ড্র্যাকেস্টনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। এখানকার বিখ্যাত প্যারেড গ্রাউন্ড, যে প্যারেড ময়দানে পর্তুগীজ, ওলন্দাজ ও ব্রিটিশ প্রত্যকেরই সৈনবাহিনী কুচকাওয়াজ করত। ১৫০৩ সালে পর্তুগীজ শাসকদের দ্বারা নির্মিত একটি রয়েছে। এ গির্জা বহু ঐতিহাসিক ঘটনাবলীর সাক্ষী থেকেছে। এই গির্জাতেই ভাস্কো দা গামা সমাহিত হয়েছিলেন।

আলুঝোপ্পা প্রাচ্যের ভেনিস নামে খ্যাত আলাপ্পুঝা চিরকালই কেরালার উপকূলকেন্দ্রিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে এসেছে। বর্তমানে, এই স্থানটি এখানকার নৌচালন প্রতিযোগিতা, ব্যাকওয়াটার অবসরযাপন, সমুদ্র সৈকত, সামুদ্রিক পণ্যসামগ্রী এবং ছোবড়া শিল্পের জন্য বিখ্যাত। আলাপ্পুঝা বেলাভূমি একটি উত্তম পিকনিক করার জায়গায়ও বটে। সমুদ্রের মধ্যে অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে যাওয়া এখানকার জেটিগুলি ১৩৭ বছরের পুরনো। সৈকতকেন্দ্রিক বিনোদনের সুবিধার মধ্যে বিজয়া সৈকত উদ্যান বিশেষ উল্লেখের দাবি রাখে। এছাড়াও অনতিদূরে স্থিত লাইটহাউসটিও পর্যটকদের বিশেষ আকর্ষণের বিষয়। ছবি ও তথ্য – ইন্টারনেট

বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত