ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

সবুজ পাসপোর্ট আমার অহঙ্কার: উর্মি রহমান

  মাহমুদা আকতার

প্রকাশ : ১৮ নভেম্বর ২০১৭, ১৬:৫৩  
আপডেট :
 ২১ নভেম্বর ২০১৭, ১৬:০৪

সবুজ পাসপোর্ট আমার অহঙ্কার: উর্মি রহমান

উর্মি রহমান দেশের নারী সাংবাদিকদের মধ্যে পাইওনিয়ার। তার সাংবাদিকতার শুরু দৈনিক সংবাদ দিয়ে। এরপর কাজ করেছেন পিআইবি, উইকলি হলিডে এবং বিবিসি রেডিওতে।দীর্ঘদিন সাপ্তাহিক বিচিত্রায় টেলিভিশনের অনুষ্ঠাননিয়ে সমালোচনা লিখেছেন।কলাম লিখেছেন দৈনিক জনকণ্ঠে।বর্তমানে স্বামীর সঙ্গে কলকাতায় বাস করছেন।ব্যস্ত আছেন লেখালেখি নিয়ে। গল্প, উপন্যাস, স্মৃতিকথা, ভ্রমণ কাহিনী, অনুবাদ দু হাতে লিখে চলেছেন।

সম্প্রতি ঢাকা ঘুরে গেলেন সাংবাদিক উর্মি রহমান।ব্যস্ততার ফাঁকে কথা বলেছেন দৈনিক বাংলাদেশ জার্নালের সাথে।রাজনীতি, সমাজ, নারী স্বাধীনতাসহ নানা বিষয় এমনকি নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও মন খুলে কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন মাহমুদা আকতার।

একসময় সংবাদসহ বিভিন্ন পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেছেন। বিবিসির মত প্রতিষ্ঠানে প্রেfডিউসার/নিউজকাস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘ আট বছর।দু হাতে লিখছেন।পাশাপাশি সংগঠক হিসেবেও আপনাকে দেখতে পাচ্ছি।আসলে একা এত সব সামলান কি করে?

-একসময় সাংবাদিকতা করেছি।এখন শুধু লেখালেখি করছি। লেখালেখি আর ঘুরে বেড়ানো।জানো আমি খুব বেড়াতে পছন্দ করি।

যদ্দুর জানি আপনি কোলকাতায় একটি সাংবাদিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত।

-হুম, ‘নেটওয়ার্ক অব ওমেন ইন মিডিয়া, ইন্ডিয়া’র কলিকাতা শাখার কো-অর্ডিনেটর হিসেবে কাজ করছি। কিন্তু আমার ওই কাজ একদম ভাল্লাগে না। কিন্তু এর সদস্যরা আমাকে এত ভালোবাসে যে না করতে পারি না। আর আমি কি অতকিছু বুঝি নাকি!আমি তো ইন্ডিয়াতে নতুন। মাত্র ছয় বছরধরে আছি। তাছাড়া একা একা থাকতেও তো বোর লাগে।আমি লোকজনের সান্নিধ্য পছন্দ করি।তাই এটার সঙ্গে আছি।

সাংবাদিক হওয়ার ইচ্ছা থেকেই সাংবাদিক হওয়া? মানেএইম ইন লাইফ ছিলো কি না?

-আরে না, আমার তো লেখালেখি করার ইচ্ছা সেই ছোটবেলা থেকে।আর লেখালেখির ইচ্ছা থেকেই এখানে আসা।

শুরুটা কীভাবে হলো?

-জানো তো, একেবারে হঠাৎ করেই হয়ে গেলো। তখন ১৯৭৪ সাল। এম এ পরীক্ষা দিয়ে বসে আছি। তখনও রেজাল্ট হয়নি।

আপনি তো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করেছেন,তাই না?

-হুম। আমি ওখান থেকে বাংলায় মাস্টার্স পাস করেছি। অনার্স করেছি খুলনা থেকে। তো পরীক্ষা দিয়ে বসে আছি। আমার ফুফাত ভাই সৈয়দ নাজমুদ্দীন হাশেম ছিলেন বিখ্যাত সাংবাদিক। তখন উনি আমাকে আর একজন বিখ্যাত সাংবাদিক জহুর হোসেন চৌধুরীর কাছে পাঠান। জহুর ভাই বলেছিলেন, ‘দৈনিক বাংলায় চাকরি করবে? আমি বলেছিলাম, ওখানে কোনো নতুন মেয়ে নিবে না

আপনি কীভাবে জানলেন?

-জাহাঙ্গীরের কাছে শুনেছিলাম। জাহাঙ্গীর তো ওখানে চাকরি করত।

জাহাঙ্গীর, মানে মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর,আপনার এক্স হ্যাজবেন্ড?

-হ্যা

আপনি কি উনাকে আগে থেকে চিনতেন? কীভাবে?

-চিনতাম। কারণ ও আর আমার পেনফ্রেন্ড। সেই থেকে পরিচয়। যাই হউক তখন জহুরভাই আমাকে সংবাদে পাঠান। তিনি তখন সংবাদের এডিটর নন। তখন সংবাদের নির্বাহী সম্পাদক ছিলেন বজলুভাই। তিনি আমাকে ইন্টারভিউতে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘রাতে কাজ করতে সমস্যা নাই তো।’ আমি বললাম না। ব্যস শুরু হয়ে গেলো সাংবাদিকতা। আমি যখন এই পেশায় আসি তখন বাংলাদেশে মাত্র সাতজন নারী সাংবাদিক ছিলেন। এদের মধ্যে সংবাদেই বেশি।

তখন মিডিয়ার পরিবেশ কেমন ছিলো? মানে নারীবান্ধব ছিলো কি?

-আমরা তো দারুণ পরিবেশে কাজ করেছি। আমার শিফট ছিলো সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা। ওই শিফটে আমি ছিলাম নতুন। তখন আমারও আগে অফিসে আসতেন সন্তোষ গুপ্ত।সন্তোষ দা এত সকালে কেন আসেতেন জান? আমার যাতে কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা সেটা দেখার জন্যই উনি অত সকালে আসতেন। চিন্তা করা যায়? রণেশ দাশগুপ্ত আমাকে খুব উৎসাহ দিতেন। তাছাড়া ফিল্ম এপ্রিয়েশিয়েশন কোর্স করার সময় আমরা তো রাত ১০টা পর্যন্ত আড্ডা মারতাম।তখন তো এখনকার মত এত ইভটিজিং ছিলো না।

-আর বিবিসির পরিবেশ?

-সেটাও খুব সুন্দর ছিলো।নারী পুরুষের কোনো বৈষম্য ছিলো না।সেখানকার অনেক নারী সাংবাদিক উর্ধ্বতনদের সঙ্গে ফ্লার্ট করতেন।কিন্তু আমি তো নীরস মানুষ। তারপরও কর্মক্ষেত্রে কোনো সমস্যা পাইনি। উইকেন্ডে বাচ্চাকে নিয়ে যেতাম অফিসে।ও খেলতো। ছুটোছুটি করতো।আমাদের অফিস ছিলো বুশ হাউসে।অফিসের সামনে দুটো মানুষ মশাল ধরে দাঁড়িয়ে আছে।আমি তো বুশ হাউজকে খুব মিস করি। এটা একটা ঐতিহ্যবাহী ভবন।

সহকর্মী হিসেবে কাকে কাকে পেয়েছেন?

-সেখানে আমার সহকর্মী ছিলেন সাগর চৌধুরী (লেখিকার স্বামী), নুরুল ইসলাম, সিরাজুর রহমান, শ্যামল ঘোষ, দীপঙ্কর ঘোষ, নিমাই চট্টোপাঘ্যায়, দীপায়ন চ্যাটার্জি, মানসী বড়ুয়া, সুভদ্রা উর্মিলা মজুমদার, গোলাম মুর্শিদ, গোলাম কাদের প্রমুখ। জানো সিরাজুর রহমান কিন্ত ‍খুব লিবারেল মানুষ ছিলেন। একবার শেখ হাসিনা গেলেন, তিনি তখন প্রধানমন্ত্রী হননি। সিরাজুর রহমান আমাকে তার সঙ্গে দেখা করার জন্য সে কি জোরাজুরি। পরে উনি যখন বদলে গেলেন, তখন আমি অবাক হয়েছিলাম।

বিবিসি ছাড়লেন কেন?

-আমি বিবিসিতে যাই ১৯৮৫ সালে। ৯৩তে চুক্তি শেষ হয়ে গেলো। আমি ছেড়ে দিলাম। বিবিসির কন্ট্রাক্ট শেষ হলে ব্রিটিশ সরকারের একটি বারা কাউন্সিলে যোগ দিয়েছিলাম যাকে স্থানীয় সরকার বলতে পারো। সবমিলিয়ে একটানা ৩০ বছর লন্ডনে কাটিয়েছি। তারপরও কিন্তু ব্রিটিশ পাসপোর্ট নেইনি।আমার কলিগরা সবাই ব্রিটিশ পাসপোর্ট নিয়েছে। আমাকে বলতো, ব্রিটিশ পাসপোর্ট না নিয়ে তু্ইতো বোকামি করছিস।কিন্তু আমি সবুজ পাসপোর্ট ছাড়তে চাই না। কত লড়াই করার পর এই দেশ, এই পতাকা, আর এই পাসপোর্ট পেয়েছি।বাংলাদেশের সবুজ পাসপোর্ট আমার অহঙ্কার।

কিন্তু আপনি তো বাংলাদেশে থাকেন না। আপনি থাকছেন কলকাতায়,কেন?

আসলে বাংলাদেশে আমার সব।আমার আত্মীয় স্বজন বন্ধুবান্ধব সব।আমার দেহটা কোলকাতায় থাকে, বাংলাদেশে পড়ে আছে মনটা।যখন তখন ছুটে আসি। শাহবাগ আন্দোলনের সময়ও এসেছি। ওদের সঙ্গে একাত্মতা জানাতে। পহেলা বৈশাখ, একুশে বইমেলা সবকিছুতেই আমার থাকা চাই। জানো একবার কি হলো, আমার খুব ইফতার খেতে ইচ্ছে হলো।তখন কেবল ইফতারি খাওয়ার জন্য ছুটে এলাম আমার দেশে। কোলকাতায় কি হয় জানোতো, ওখানে আমাদের মত ইফতার কালচার গড়ে উঠেনি, ওরা ফলটল দিয়ে রোজা ভাঙে তারপর ভাত খেয়ে নেয়।

আপনার স্বামী সাগর দা সম্পর্কে কিছু বলুন?

ও বিবিসিতে আমার সহকর্মী ছিলো। আমার যখন ডিভোর্স হয় তখন আমার ছেলের বয়স দেড় বছর। ওকে নিয়ে লন্ডনে চলে যাই। দীর্ঘ নয় বছর পর আমি আবার বিয়ে করি। এর আগে আমার ডিভোর্স নিয়ে নানা ঘটনা। জাহাঙ্গীর আমাকে এক পয়সাও দেনমোহর দেয়নি। আমার ছেলেকে আমি একা মানুষ করেছি। জাহাঙ্গীরের কোনোই অবদান নেই। আমার ল’ ইয়ার ছিলেন কামরুন্নাহার লাইলি। তিনি একবার জাহাঙ্গীরকে নোটিশ পাঠালেন, তুমি যদি দেনমোহরের টাকা শোধ না করো তাহলে তোমার বিরুদ্ধে মামলা কোর্টে উঠবে। তারপরও জাহাঙ্গীর কোনো টাকাপয়সা দেয়নি। কারণ ও জানত আমি কখনই আদালতে যাব না।

লোকজন বলে,স্বামী স্ত্রী একই পেশার হলে নাকি বোঝাপড়া ভালো থাকে। কিন্তু আপনাদের বেলায়এই থিউরি খাটলো না কেন?

-আসলে পেশা কোনো ব্যাপার না। ব্যাপা্র হচ্ছে একজন পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গি আর মন মানসিকতা। সত্যি কথা বলতে কি,একজন স্বামী কখনও চায় না তা সহধর্মিনী তার চাইতে এগিয়ে যাক। এতে তার সংসারে ডমিনেটিংয়ে সমস্যা হয়।

কোলকাতা আর ঢাকার মধ্যে সামাজিক বিশেষ করে নারীদের জীবনযাপনে কোনো পার্থক্য চোখে পড়ে কি?

একসময় মেয়েদের জন্য কোলকাতাকে বলা হত দ্য সেফেস্ট সিটি। কিন্তু এখন আর সেই দিন নেই। অনেক ধর্ষণ আর খুন খারাপির ঘটনা ঘটছে।একটা অশিক্ষিত নেতা ক্ষমতায় আসলে যা হয় আর কি।সত্যি বলতে কি, গোটা ইন্ডিয়াজুড়েই হামলার শিকার হচ্ছে মেয়েরা।

অশিক্ষিত নেতা বলতে আপনি কি মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কথা বলছেন?

এই প্রসঙ্গটা বাদ দাও। এ নিয়ে আমি কথা বলতে চাই না।

কোলকাতার পজিটিভ দিকগুলো সম্পর্কে বলুন।

-তবে কোলকাতায় রাস্তায় জ্যাম তুলনামূলকভাবে কম।আর ওখানকার লোকজন আমাকে খুব ভালোবাসে। গতবছর ওখানকার প্রগতিশীল লোকজনের সঙ্গে মিলে আমরা কোলকাতায় পহেলা বৈশাখের দিন মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করেছিলাম। এবারও করবো।

এবার ঢাকা সম্পর্কে কিছু বলুন।

ঢাকায় মেয়েরা খুব এগিয়েছে। রাস্তাঘাটে এখন অনেক মেয়ে দেখা যায়। তার মানে অনেক মেয়ে চাকরিবাকরি করছে, স্ববলম্বী হয়েছে। আমাদের সময়তো এত মেয়ে দেখা যেত না।সেদিন দেখলাম একটা মেয়ে মোটর সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছে।এটা দেখে আমার যে কি আনন্দ হয়েছিলো তোমাকে কি বলবো।

আপনার জীবনের স্মরণীয় ঘটনা।

সেটাতো অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধ।১৬ ডিসেম্বর আমরা ঢাকায় ছিলাম। দেশ স্বাধীন হয়েছে খবর পেলাম। কিন্তু দোকানপাট তো সব বন্ধ।মিষ্টি পাব কোথায়? তাই আমরা মিষ্টির বদলে গুড় খেয়েছিলাম।পরদিন সারা ঢাকায় পোস্টার লাগিয়েছি।ঢাবি এলাকায় পোস্টার লাগাচ্ছি আমি আর আমার চাচাতো বোন। তখন অল ইন্ডিয়া রেডিওর তরফ থেকে আমাদের সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন চঞ্চল সরকার।তিনি অনেক গুণী মানুষ। ইন্ডয়া প্রেস ইন্সটিউটের পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন।আমার জীবনে যে কয়েকজন মানুষের অবদান রয়েছে তাদের একজন চঞ্চল দা। এছাড়া তোয়াব ভাইয়ের কথাও বলতে হয়। আমি তার সঙ্গে কাজ করেছি সংবাদ আর পিআইবিতে। যদিও তিনি আমাকে খুব বকতেন।একবার একটা লেখা পাঁচবার এডিট করিয়েছিলেন। তখন আমি বলেছিলাম, তোয়াব ভাই, আমি তো কম্পিউটার না। তখন তিনি বলেন, হ্যা, তোমাকে কম্পিউটার হতে হবে। এভাবে কাজ শেখার কারণেই আজ এতদুর আসতে পেরেছি।আমার সাংবাদিকতা জীবনে উনার অবদান ভোলার নয়।আসলে আমি খুব লাকি।এইসব মহান মানুষগুলোর সঙ্গে কাজ করতে পেরেছি।

আপনার পরিবার থেকে কোনো উৎসাহ পাননি?

-অবশ্যই। আমার বাবা সৈয়দ শফিকুর রহমান ছিলেন খুব উদারমনা মানুষ। তিনি কখনই আমাদের মেয়ে বলে দেখেননি। নারী-পুরুষের সমানাধিকারে বিশ্বাস করতেন। আমরা তিন বোন, কোনো ভাই নেই। এ নিয়ে তাকে কেউ কোনো নেগেটিভ কিছু বললেই তিনি তীব্র প্রতিবাদ করতেন। বলতেন,আমার মেয়েরাই সব, ছেলের দরকার নেই। সংবাদ থেকে বেতন পাওয়ার পর বাড়ি গেলাম। বাবা-মায়ের জন্য কিছু জামাকাপড় নিয়েছিলাম। বাবা কি খুশি! আমার কেনা পাঞ্জাবি পরে গোটা এলাকা ঘুরে বেড়িয়েছেন। সবাইকে ডেকে বলেছেন, তোমাদের বলেছিলাম না আমার মেয়েরাই ছেলের কাজ করবে। দেখো,এখন তোমাদের বিশ্বাস হচ্ছে তো!

আর আপনার মা?

আমার মায়ের নাম শাহেদা রহমান। মাত্র তের বছর বয়সে বিয়ে হয়েছিলো তার। কিন্তু আমাদের পরিবারে তার অনেক প্রভাব ছিলো। মাকে জিজ্ঞেস না করে বাবা কোনো কাজ করতেন না। আর মা যে কত গল্প জানতেন! তার মুখেই গ্রিক আর ভারতীয় পুরানের সব গল্প শোনা হয়ে গিয়েছিলো।

নারী স্বাধীনতা বলতে আপনি কি বোঝেন?

আমি নারী স্বাধীনতা এবং নারী-পুরুষের সমানাধিকারে বিশ্বাসী। আমার কাছে নারী স্বাধীনতা আর মানবাধিকার সমার্থক।তবে নারী স্বাধীনতা মানেই পুরুষের সঙ্গে লড়াই করা নয়।নিজের মর্যাদা নিয়ে সামনে এগিয়ে চলা।

আপনার কি মনে হয় না আমরা শিক্ষিত ও অগ্রসর নারীরা খুব স্বার্থপর। একটা পর্যায়ে আসার পর আমরা কেবল নিজেদের সুখ সুবিধা নিয়েই ভাবি। অনগ্রর বা সুবিধা বঞ্চিত নারীরা তাদের কাছ থেকে তেমনভাবে উপকৃত হয় না।

-তোমার উপলব্ধি কিন্তু ভুল নয়। আসলেও আমাদের অগ্রসর নারীরা তো পিছিয়ে পড়া মেয়েদের জন্য তেমন কিছু করতে পারছি না। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করলে কিন্তু অনগ্রসররা আরো খানিকটা এগিয়ে আসতে পারতো। তারপরও আমি আশাবাদী বাংলাদেশের মেয়েদের নিয়ে। ওরা খুব দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।

আপনি কি নিজেকে সুখি মনে করেন?

-সুখতো আপেক্ষিক বিষয়, পুরোপুরি সুখি কোনো মানুষ আছে কি? তবে আমি শান্তিতে আছি, এটুকু বলতে পারি।

আমাকে এতখানি সময় দেয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ

ধন্যবাদ তোমাকেও।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত