ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২২ মিনিট আগে
শিরোনাম

৪৫ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৮:৫৫

৪৫ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত

দেশের সকল সংবাদপত্রে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীদের শতকরা ৪৫ ভাগ মহার্ঘ ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ তথ্য জানান।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে সংবাদপত্র সংক্রান্ত লিখিত একটি প্রশ্ন উত্থাপন করেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজী। যার জবাবে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সংসদকে জানান, বর্তমানে সারাদেশে প্রকাশিত পত্রিকার সংখ্যা ২ হাজার ৬৫৪টি। এর মধ্যে দৈনিক এক হাজার ২৪৮, সাপ্তাহিক এক হাজার ১৯২ এবং পাক্ষিক পত্রিকার সংখ্যা ২১৪টি।

সরকারি দলের সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট নবম ওয়েজবোর্ড গঠন এবং সকল সংবাদপত্রের গণমাধ্যমকর্মীরা শতকরা ৪৫ ভাগ মহার্ঘ ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। নবম ওয়েজবোর্ড ইতোমধ্যে প্রতিবেদন প্রদান করেছে। অচিরেই নবম ওয়েজবোর্ড রোয়েদাদ ঘোষণার লক্ষ্যে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এসব পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে সারাদেশের সাংবাদিকদের প্রভূত কল্যাণ সাধিত হবে বলে আশা করা যায়।

একই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও অবাধ তথ্য প্রবাহের অধিকার সুরক্ষারে অঙ্গীকারাবদ্ধ। ইতোমধ্যে সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদের চেতনায় দেশে গণমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। গত ১০ বছরে বাংলাদেশে গণমাধ্যমের সকল শাখা ব্যাপকভাবে বিকাশ লাভ করেছে। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে অনেক সাংবাদিককে আর্থিক ও চিকিৎসা সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। এ সহযোগিতা অব্যাহত রাখার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

তথ্যমন্ত্রী জানান, সংবাদপত্র ও ইলেকট্টনিক মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মীদের চাকুরি সুরক্ষার জন্য ‘গণমাধ্যমকর্মী (চাকুরি ও শর্তাবলী) আইন’ প্রণয়ন করা হচ্ছে। গত বছরের ১৫ অক্টোবরে মন্ত্রিসভা বৈঠকে এর নীতিগত অনুমোদন করা হয়। উভয় আইনের ভোটিং-এর জন্য এখন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন আছে। আইন দুটি প্রণীত হলে সংবাদপত্রের পাশাপাশি ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদেরও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি পাবে।

সংসদে ড. হাছান মাহমুদ জানান, অস্বচ্ছল, অসুস্থ ও দুর্ঘটনায় আহত এবং নিহত সাংবাদিকদের অনুকূলে আর্থিক সহায়তা দিতে ‘বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট’ গঠন করা হয়েছে। এখান থেকে ২০১১-১২ থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছর পর্যন্ত এক হাজার ৩৯৬ জন সাংবাদিককে সর্বমোট ১০ কোটি ৭ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে। চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরেও দুই কোটি ৯০ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। গত বছরের ৮ অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণ তহবিল থেকে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট ফান্ডে সিড মানি হিসেবে ২০ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে। এ নিয়ে বর্তমানে সর্বমোট ৩৫ কোটি টাকা সিড মানি রয়েছে।

ডিপি/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত