ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

‘দুর্নীতির অভিযোগ আপনারাই তদন্ত করুন’

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১১ নভেম্বর ২০১৯, ১৮:০৭  
আপডেট :
 ১১ নভেম্বর ২০১৯, ১৮:০৯

‘দুর্নীতির অভিযোগ আপনারাই তদন্ত করুন’

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদীর বিরুদ্ধে ‘অবৈধ সম্পদ অর্জনের’ অভিযোগ তোলা হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে ‘দুদক’ থেকে তাকে একটি চিঠি দেয়া হয়। এজন্য সোমবার দুদক কার্যালয়ে এসেছিলেন তৌফিক ইমরোজ খালিদী। সেখানেই তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

তিনি বলেন, যে অভিযোগ তার বিরুদ্ধে করা হচ্ছে তা ‘একেবারেই ভিত্তিহীন’। তিনি সব সময় নিয়ম মেনে চলার চেষ্টা করেছেন এবং কোনো ‘অবৈধ সম্পদ’ তার নেই।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সাংবাদিক হিসেবে আপনারা ইনভেস্টিগেশন করেন যে কেন হয়েছে। কোন খবর নিয়ে হয়েছে। কোনো খবরে যদি আমাদের ভুল থাকত, একটি শব্দ, একটি বাক্য, একটি তথ্য, তাহলে আমার বিরুদ্ধে মামলা করতে পারত। মামলা করেনি কেন? এই পথ কেন নিয়েছে?

গত ৫ নভেম্বর দুদকের পক্ষ থেকে একটি চিঠি পাঠিয়ে তৌফিক ইমরোজ খালিদীকে ১১ নভেম্বর দুদক কার্যালয়ে উপস্থিত থাকতে অনুরোধ করা হয়।

চিঠিতে বলা হয়, খালিদীর নিজের এবং বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের হিসাবে ‘বিপুল পরিমাণ টাকা স্থানান্তরের মাধ্যমে অবস্থান গোপন’ এবং বিভিন্ন ‘অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পদ’ অর্জনের অভিযোগে তার বক্তব্য জানা প্রয়োজন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক সাক্ষাতের জন্য সময় চেয়ে আবেদন করলেও দুদকের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না জানানোয় সোমবার তিনি কমিশনের দপ্তরে যান। পরে দুদকের পক্ষ থেকে বলা হয়, আগে করা তার আবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে সময় দেয়া হবে। তিনি ফিরে যেতে পারেন।

দুদক থেকে তিনি বেরিয়ে আসার সময় সাংবাদিকরা জানতে চান, সময় চেয়ে আবেদন করার পরও কেন তিনি কমিশনে এসেছেন।

উত্তরে তৌফিক ইমরোজ খালিদী বলেন, আমি আইন কানুন মেনে চলার চেষ্টা করি। যদি সময়সীমা না বাড়ানো হয়, তাহলে কী হবে? কাজেই আমি এসেছি। আমাকে আনুষ্ঠানিকভাবে যেহেতু জানানো হয়নি। কাজেই আমাকে আসতে হয়েছে।

নিজের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, অভিযোগটা কী সেটা আমি বুঝতে পারছি না। আমাকে বলা হয়েছে যে, অবৈধ সম্পদ অর্জনের …।যেটা হয়েছে, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে একটি খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করেছে। সেই বিনিয়োগের একটি অংশ হচ্ছে, আমরা নতুন শেয়ার ইস্যু করে তাদের কাছে দিয়েছি। (অন্য অংশ হল) আমার অল্প মালিকানায় যেটা আছে, সেটার একটা অংশ বিক্রি করেছি। তাতে আমার একেবারে সম্পদহীন অবস্থা থেকে যে সম্পদ তৈরি হয়েছে, এতে অবৈধ সম্পদ অর্জন কী করে হলো?

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম গত ১৩ অক্টোবর এক প্রতিবেদনে জানায়, তাদের কোম্পানিতে ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক একটি কোম্পানির সহযোগী প্রতিষ্ঠান এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ। ওই বিনিয়োগের একটি বড় অংশ তারা ব্যয় করবে ডিজিটাল সংবাদ সেবার সম্প্রসারণ ও উদ্ভাবনে।

তৌফিক ইমরোজ খালিদী বলেন, বাংলাদেশে নিবন্ধিত একটি কোম্পানি আমার শেয়ার কিনে নিয়েছে। তারা মিউচুয়াল ফান্ড ম্যানেজ করে, ট্রাস্টি। আমাদের দিক থেকে সমস্ত আইন কানুন মেনে আমরা এই বিনিয়োগ গ্রহণ করেছি। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম কোনো গণমাধ্যম কোম্পানিতে, সংবাদমাধ্যম বিষয়ক কোম্পানিতে এই ধরনের একটি বিনিয়োগ এসেছে। আমার ধারণা কেউ কেউ সেটা পছন্দ করেনি।

তিনি বলেন, ব্যক্তি হিসেবে তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তার জন্য তা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। যারা আমাকে চেনে, আমার সঙ্গে যারা কাজ করে, আমার বন্ধু, আমার সহকর্মী, আমার আত্মীয়-স্বজন, আমার পরিবার- আমার ধারণা, তাদের সবার জন্য বেদনাদায়ক।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত