ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

আরশি’র পেছনের গল্প

  আলফি শাহরীন

প্রকাশ : ১৭ মে ২০২২, ১৩:৪০  
আপডেট :
 ১৭ মে ২০২২, ১৩:৪৯

আরশি’র পেছনের গল্প
নারী উদ্যোক্তা ও আরশির কর্ণধার শাহরীন ইসলাম

নারীরা আজ কোন অংশেই পিছিয়ে নেই। তারা আজ আত্মবিশ্বাসী। নিজেদের এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে তারা এগিয়ে যাচ্ছে বহুদূর। তেমনই এক আত্মবিশ্বাসী নারী উদ্যোক্তা শাহরীন ইসলামের সাথে কথা হয় বাংলাদেশ জার্নালের। চলুন তার মুখেই শুনে নেই তার এগিয়ে চলার গল্প।

‘আমি শাহরীন ইসলাম। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে পড়ছি। নিজেকে একজন অপ্রতিদ্বন্দ্বী সামাজিক উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। যে দেশে নারীকে ব্যবহার করা হয় ঘরের কাজের যন্ত্র হিসেবে তা রুখে দাঁড়াতে আমার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা ‘আরশি’। গ্রামে শিক্ষার হার কম। সেখানে নারীর অবস্থান আরও বেশি নাজুক। তাই শুরু করেছি একটি গ্রাম দিয়ে। একটি গ্রামের মানুষ নিয়ে।

গ্রামের ঐ মানুষদের কর্মপ্রচেষ্টা ও দক্ষতাকে নিয়ে আসতে চাই আলোকবর্তিকায়। যুদ্ধটা আমার একার না। যুদ্ধটা শত শত নারীর ভাগ্য পরিবর্তনের। একবার ভাবুন তো সেই নারীদের কথা যাদের স্বামী থেকেও নেই কিংবা বেঁচেই নেই? কি খাচ্ছে তারা? কি খাওয়াচ্ছে বাচ্চাদের?তাদের সন্তানরা পড়বে না? তাদের দরকার সাহস। বাঁচার সাহস। হাত বাঁড়িয়ে দিয়েছি তাদের কাছে। তারা শহর চেনে, শহরের মানুষ চেনে না।তারা কাজ করতে আগ্রহী কিন্তু ন্যায্য পারিশ্রমিক কি তাই জানেনা।

মাত্র ৫টা ড্রেস নিয়ে ২০১৬ সালের ১৬ই মার্চ আরশির যাত্রা শুরু হয়। তখন কাজ করতেন ১জন। এখন কাজ করছেন ১২জন। এই ব্যবসাটা আমার একার না। ব্যবসাটা গ্রামের কিছু গরীব গ্রামের নারীর। যাদের জীবন চলে এই কিছু হাতের কাজের ড্রেস বিক্রি করে। তাদের কারোরই স্বামী নাই। কারো স্বামী মারা গেছেন, কারো হয়তো ছেড়ে চলে গেছেন। তাদের বাচ্চাদের লেখাপড়াও চলে এই টাকাতে। আরশির হাতের কাজের পোশাকগুলি তাদেরই হাতে বানানো। আমি নিজে যখন এই ড্রেসগুলি পরে ভার্সিটিতে যেতাম সবাই বেশ পছন্দ করতো। ভাবলাম তাদেরকে কোনভাবে সাহায্য করা যায় কি না। সেই ভাবনা থেকেই আরশির যাত্রা শুরু।

ভাবতেই ভালো লাগে এখন মাস শেষে ১২টা পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে পারি। আজ এই ১২টা পরিবার চলে আরশিতে বিক্রি করা ড্রেস দিয়ে। এখন আরশিতে যশোরের হাতের কাজের ড্রেসের পাশাপাশি পাওয়া যাচ্ছে দেশি-বিদেশি কাপড় থেকে শুরু করে নানা প্রকার পারসোনাল কেয়ার প্রোডাক্টও।

আরশি মানে আয়না। পেইজের নাম আরশি দেবার কারণটাও এটাই যে, আমি ঐ নারীদের আয়নায় ভাগ্য পরিবর্তন দেখাতে চাই। বলতে চাই তুমি নারী, তুমিই বিজয়ী।’

বাংলাদেশ জার্নাল/এএস/এসএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত