ঢাকা, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

ছাত্রলীগের পদ পেতে ২০ লাখ টাকা লেনদেন

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ২৯ জুলাই ২০২০, ২১:৪৫

ছাত্রলীগের পদ পেতে ২০ লাখ টাকা লেনদেন

উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ বিশ লাখ টাকায় কেনাবেচা হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান মাহির বিরুদ্ধে মাধবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদটি বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

জেলা পর্যায়ের এই দুই নেতা মাধবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের কর্মী মাহতাবুর আলম জাপ্পিকে সাধারণ সম্পাদক বানানোর প্রলোভন দিয়ে টাকাগুলো হাতিয়ে নিয়েছেন। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী জাপ্পী এরই মধ্যে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিকে লিখিতভাবে অভিযোগ জানানোর পর উল্টো চরম হুমকির মুখে পড়েছে।

তারা হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের প্যাডে মাধবপুর থানা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি লিখে দুজনে সাক্ষর করে মাহতাবুর আলম জাপ্পির আমেরিকা প্রবাসী ভাই শাহীনের হোয়াটসঅ্যাপে পাঠান। এর বিপরীতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুর ১১ লাখ টাকা এবং সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান মাহি ৯ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

অভিযোগপত্রের সঙ্গে টাকা লেনদেদের যাবতীয় রেকর্ডপত্রও জমা দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলছেন, নেতৃত্ব বিক্রির নামে টাকা লেনদেনকারীদের ছাত্রলীগে থাকার অধিকার নেই। শিগগিরই ঘটনা তদন্ত করে দেখা হবে। ঘটনা প্রমাণিত হলে যারা টাকা দিয়েছে এবং যারা টাকা নিয়েছে দুই পক্ষই ছাত্রলীগ করার অধিকার হারাবে। তাদের বিরুদ্ধে আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব। যাতে তারা কেউই ভবিষ্যতে আর ছাত্রলীগে যোগ দিতে না পারে।

ছাত্রলীগ কর্মী জাপ্পির আমেরিকা প্রবাসী ভাই শাহীনকে ফোন করে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান মাহি জানান, আপনার ভাই জাপ্পি যেহেতু ছাত্রলীগ করে চাইলে তাকে মাধবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সেক্রেটারি পদ পাইয়ে দেয়া যাবে। এ বিষয়ে হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুর রহমানও তার সঙ্গে কথা বলেন। তারা উভয়ে শাহীনের ছোট ভাইকে কমিটিতে স্থান পাইয়ে দিতে ২০ লাখ টাকা দাবি করেন।

এরপর জাপ্পিকে মাধবপুর উপজেলা ছাত্রলীগে স্থান দেয়া হচ্ছে এর প্রমাণস্বরূপ জেলা ছাত্রলীগের প্যাডে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাইদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান মাহি স্বাক্ষরিত একটি কমিটির স্ক্যানকপি হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পাঠানো হয় জাপ্পির প্রবাসী ভাই শাহীনের কাছে। দেখা গেছে, গত ১৮ মে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত একটি প্যাডে লেখা আছে আগামী এক বছরের জন্য মাধবপুর উপজেলা শাখার অনুমোদন দেয়া হলো। এতে সভাপতি শহীদ আলী শান্ত ও সাধারণ সম্পাদক মাহতাবুর আলম জাপ্পি।

এর প্রেক্ষিতে আমেরিকা প্রবাসী শাহীন ৭৮০০ ডলার, যার ক্যাশ ডিপোজিট নম্বর: ৯৫, একাউন্টের শেষের নম্বর: ১২৩০ তারিখ ১৮/০৫/২০২০। আমেরিকায় সাইদুরের এক আত্মীয়র একাউন্টে দেন। ওই ব্যক্তি সাইদুরের পক্ষ থেকে টাকাগুলো বুঝে নেন। তাছাড়া গত ১০ মে বাংলাদেশে সাইদুরের ডাচ বাংলা ব্যাংকের একাউন্টে (একাউন্ট নম্বর: ১৮৭১৫১০০৫০৮৯৫) ৩৮৪৫১৬৪ নং রশিদে ২ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা জমা দেন। (যার একাউন্ট নম্বর: ১৮৭১৫১০০৫০৮৯৫ এবং বাকি টাকা নগদে জমা দেয়া হয়।)

বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত