ঢাকা, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

সরকারের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টায় হেফাজত

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২১ এপ্রিল ২০২১, ১৩:১১  
আপডেট :
 ২১ এপ্রিল ২০২১, ১৩:২২

সরকারের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টায় হেফাজত

হেফাজতে ইসলামের কয়েকজন নেতা গ্রেপ্তার হওয়ার পর সরকারের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করছে দলটি। ইতোমেধ্যে হেফাজতের কয়েকজন নেতা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখাও করেছেন। সেসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কওমি মাদ্রাসা খুলে দেয়া এবং ধরপাকড় বন্ধ করার জন্য অনুরোধ জানান হেফাজত নেতারা।

ধরপাকড়ের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ঢালাওভাবে ধরপাকড় হচ্ছে না, বরং সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই এই ধরপাকড় করে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে এবং আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।’

কওমি মাদ্রাসা খুলে দেয়ার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার।’

জানা গেছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে হেফাজতের নেতারা মূলত নিজেদের একটি অরাজনৈতিক সংগঠন হিসাবে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছেন।

সংগঠনটির একজন কেন্দ্রীয় নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের সময় হেফাজতের কোনো কর্মসূচি ছিল না- সেটা তারা বোঝাতে চেয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে।

হেফাজতের ওই নেতা আরও জানিয়েছেন, তারা মনে করছেন, সরকার তাদেরকে প্রতিপক্ষ বা রাজনৈতিক শক্তি হিসাবে দেখছে। সেজন্য তারা সরকারকে বোঝাতে চাইছেন যে, হেফাজতে ইসলাম সরকারের কোনো প্রতিপক্ষ নয়।

তিনি বলেন, সরকার যেন কঠোর অবস্থান থেকে সরে এসে হেফাজত নেতাদের গ্রেপ্তার অভিযান বন্ধ করে এবং গ্রেপ্তারকৃতরা যাতে আইনগত সব সহায়তা নিতে পারে- সে ব্যাপারে তারা সরকারের সাথে সমঝোতার চেষ্টা করছেন।

এদিকে, হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব নুরুল ইসলাম জেহাদী বলেছেন, একটা ভুল বোঝাবোঝি কারণে সরকারের সাথে তাদের দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে আলোচনায় সেটাই মূল বিষয় ছিলো।

তিনি বলেন, ভুল বোঝাবুঝিতো আছে। এগুলোর নিরসন হলে অগ্রগতি সাধিত হবে ইনশাআল্লাহ। ভুল বোঝাবুঝির কারণেইতো দূরত্ব সৃষ্টি হয়। তার মানে এই নয় যে আমরা সরকারের ভেতরে ছিলাম। আমরা স্বতন্ত্রভাবেই হেফাজতের কাজ করছিলাম।

নুরুল ইসলাম জেহাদী আরও বলেন, ‘গত ২৬, ২৭ এবং ২৮ মার্চ অনাকাঙ্খিত বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। সেজন্য আমরা মনে করলাম, কিছু আলাপ আলোচনা করলে ভুল বোঝাবুঝির নিরসন হবে। এই ধারণা নিয়ে হঠাৎ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে দেখা করি। উভয় পক্ষের কথার মাধ্যমে আশা করা যায় যে, ভুল বোঝাবুঝির অবসান হবে।’

এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে মঙ্গলবার রাতে হেফাজত নেতারা নিজেরা বৈঠকে বসেন। সূত্রমতে, সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, একটি নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া সংক্রান্ত চিঠি প্রধানমন্ত্রীর কাছে তারা দেবেন। তবে সেই চিঠি প্রকাশের জন্য গণমাধ্যমকে দেয়া হবে, নাকি গোপনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেয়া হবে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

হেফাজতের সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, হেফাজতের চট্টগ্রামের দুই নেতাকে এই চিঠির খসড়া তৈরি করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ২৬ এবং ২৭ মার্চের ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ এবং এখানে হেফাজতের যদি কোনো ভূমিকা থাকে সেই ভূমিকার জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়েছে। এই চিঠিতে কওমি মাদ্রাসা খুলে দেয়া এবং আলেম-ওলামাদের গ্রেপ্তার না করাসহ বেশকিছু অনুরোধ জানানো হবে প্রধানমন্ত্রীকে। তবে কবে এই চিঠিটি পাঠানো হবে, সে ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত