খালেদার চিকিৎসার চেয়ে সরকার পতনই মুখ্য দাবি হওয়া দরকার

খালেদা জিয়ার চিকিৎসার দাবির চেয়ে সরকার পতনের দাবিটাই আমাদের কাছে মুখ্য হওয়া দরকার বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সম্মিলিত ছাত্র যুব ফোরাম আয়োজিত এক সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি। আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক নাহিদুল ইসলাম নাহিদের সভাপতিত্বে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে উন্নত চিকিৎসা এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাজিব আহসানের মুক্তির দাবি উপলক্ষে’এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সাবুকে দেখতে গেলেন ফখরুল

নেতা কর্মীদেরকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা যেটা মনে ধারণ করেন, সেটা বাস্তবে রূপ দেয়ার জন্য আপনাদের সার্বক্ষনিক প্রস্তুতি রাখতে হবে। দিনক্ষণ দেখে কখনো কোন বিস্ফোরণ ঘটে না। জনগণের আন্দোলন রিমোট কন্ট্রোলে চলে না। জনগণের বিস্ফোরণের রিমোট কারো হাতে থাকে না। সেই কারণে বলছি, আপনারা প্রস্তুত থাকুন আর আমরাও প্রস্তুত থাকবো।

‘এখন আমাদের একটা পথ, এই সরকারকে হটানো। তার পতনের আন্দোলনটা গড়ে তুলি। খালেদা জিয়ার ভাগ্যে যা ঘটার ঘটুক। আল্লাহ যদি তাকে রহম করেন এবং জনগণের এই আকুতি যদি আল্লাহ আমলে নেন, আমি বিশ্বাস করি খালেদা জিয়া জনগণের জন্য বেঁচে থাকবেন। কারো দয়ায় বেঁচে থাকবেন না। সুতরাং আমার কাছে মনে হয়, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার দাবি চেয়ে সরকার পতনের দাবিটাই আমাদের কাছে মুখ্য হওয়া দরকার।,

নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্য করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আপনারা শক্ত কর্মসূচির কথা বলেন। শক্ত কর্মসূচি বলতে কোন কর্মসূচি নাই। আপনি রাজপথে এটা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে এটি শক্ত করবেন না কি নরম করবেন, সেটা আপনাদের ওপর নির্ভর করবে। আর রাজনীতির ভাষায় কঠোর কর্মসূচি বলতে কোন ডেফিনেশন নাই। আপনি যখন বাস্তবায়ন করবে, তখন সেটা কঠোর করবে না কি করবেন- সেটা আপনার বিষয়।

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের কাছে কোন দাবি নয়। আর ফ্যাসিবাদের পতন ছাড়া জনগণের কোন বিকল্প পথ নেই। কারণ এই সরকার দাবি মানছে না। তারা জনগণের সরকার হলে তো দাবি মানবে। কিন্তু এই সরকার ভোট চুরির সরকার।

গয়েশ্বর বলেন, মানবিক কারণে সরকার বলতেছি, আমার মনে হয় এই চ্যাপ্টার ক্লোজ করা দরকার। কার কাছে চিকিৎসা? আর আমাদের মনস্থির করা দরকার, আমরা যারা বিদেশে চিকিৎসা নিতে অভ্যস্ত- তাদের প্রতিজ্ঞা করা দরকার, আমার নেত্রী যদি বিদেশে চিকিৎসা নিতে না পারেন তাহলে আমরাও বিদেশে চিকিৎসা নেবো না। আমি জানি, এই মুহূর্তে বিএনপির অনেক নেতাই এখন যেতে চায়।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএস/এমএম