কালো পতাকায় বাধা, আলাল-বাবুলসহ আটক ৪২

কালো পতাকা প্রদর্শনের কর্মসূচি পণ্ড করে দেয়ার পর বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও কেন্দ্রীয় নেতা মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলকে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার সকালে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে লাঠিপেটা ও জলকামান থেকে পানি ছোড়ার পর আরও কয়েকজন নেতা-কর্মীকেও আটক করা হয়। তবে বিএনপি অভিযোগ করছে তাদের ৪২ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।

সাবুকে দেখতে গেলেন ফখরুল

এরআগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিএনপির কয়েকশ কর্মী কার্যালয়ের সামনের সড়কে কালো পতাকা নিয়ে বসে পড়েন। এরপর খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে স্লোগান শুরু করেন। বিএনপিকর্মীরা সড়কে অবস্থান নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে লাঠিপেটা শুরু করে পুলিশ, জলকামান থেকে রঙিন পানিও ছুড়তে থাকে। এতে আহত হন বেশ কয়েকজন মহিলা দলের নেত্রী। রঙিন পানিতে আক্রান্ত বিএনপি মহাসচিবসহ অন্য নেতারা দলীয় কার্যালয়ের ভেতরে অবস্থান নেন। ভেতর থেকে তারা স্লোগান দিতে থাকেন।

লাঠিপেটায় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজূলুল হক মিলন, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আতাউর রহমান ঢালী ও সাবেক এমপি নীলোফার চৌধুরী মনিসহ কয়েকজন আহত হন। এসময় জলকামান থেকে রঙিন পানিও ছুড়তে থাকে পুলিশ। যাতে আক্রান্ত হন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও।

সকাল ১১টার দিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান কার্যালয়ে ঢোকার সময় আরেক দফা লাঠিপেটা করে পুলিশ। এসময় সাবেক ছাত্রনেতা মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলকে পুলিশ আটক করে। আটক করা হয় কেন্দ্রীয় নেতা হালিমা নেওয়াজ আরলিকেও।

এরপর পুলিশি হামলা এবং নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে দুপুর ১২টার দিকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলন শেষে নিচে নেমে এলে আলালকে আটক করে পুলিশ।

সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল বলেন, তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ বিনা উসকানিতে হামলা চালিয়েছে।

এদিকে ঘটনাস্থলে থাকা ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপ কমিশনার এ এস এম শিবলী নোমান বলেন, সড়ক দখল করে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটানো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি হতে পারে না। তাই আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।

খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে গত ২২ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে সমাবেশ করতে না দেয়ার প্রতিবাদে শনিবার ‘কালো পতাকা প্রদর্শন’ কর্মসূচি দিয়েছিল বিএনপি।

জেডএইচ/