ঢাকা, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

খালেদা জিয়ার সই নিতে কারাগারে ওকালতনামা

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১৫ মার্চ ২০১৮, ১৮:৩৪

খালেদা জিয়ার সই নিতে কারাগারে ওকালতনামা

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে নাশকতাসহ বিভিন্ন মামলায় ওকালতনামায় (মামলা পরিচালনার ক্ষমতাপত্র) বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাক্ষর আনতে কারাগারে যান তাঁর আইনজীবীরা। বৃহস্পতিবার পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডে বিশেষ কারাগারে যান খালেদা জিয়ার প্রধান আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, হান্নান ভূঁইয়া ও সিকমী ইমাম খান।

আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া বলেন, ‘১৯টি ওকালতনামা ম্যাডাম খালেদা জিয়ার স্বাক্ষরের জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে দিয়ে এসেছি। সন্ধ্যায় ম্যাডামের স্বাক্ষর করা এসব ওকালতনামা হাতে পাবো বলে আশা করছি।’

হান্নান ভূঁইয়া বলেন, ‘এ সব ওকালতনামার মধ্যে কুমিল্লার নাশকতার মামলা, ঢাকার আদালতে মানহানির মামলা ও হাইকোর্টের কয়েকটি মামলা রয়েছে।’

গত ১১ মার্চ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চার মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন। এর পরই দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ওই জামিনের আদেশ স্থগিত করার জন্য আবেদন করেন চেম্বার জজ আদালতে। ১২ মার্চ সেই জামিনের আদেশ স্থগিত না করে নিয়মিত বেঞ্চ এ শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন চেম্বার জজ আদালত। এর পরে ১৪ মার্চ সে জামিনের আবেদন স্থগিত করে দেন আপিল আদালত।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়। এরপর পুরান ঢাকার পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারকে বিশেষ কারাগার ঘোষণা দিয়ে খালেদা জিয়াকে সেখানে রাখা হয়।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল দায়ের করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। এর পরই গত ২২ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালতের দেওয়া সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে জামিন আবেদনের ওপর শুনানির জন্য ২৫ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেন। সেইসঙ্গে স্থগিত করেন খালেদা জিয়ার অর্থদণ্ড।

ওই মামলায় মোট আসামি ছয়জন। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পাশাপাশি দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানও ওই মামলার আসামি। মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন—মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুদক।

২০১০ সালের ৫ আগস্ট খালেদা জিয়া ও তাঁর ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক হারুন-আর রশিদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

/এসকে/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত