ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

পুলিশকে ধন্যবাদ দিলেন প্রধানমন্ত্রী

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৪ নভেম্বর ২০১৮, ১৭:০৫  
আপডেট :
 ১৪ নভেম্বর ২০১৮, ১৭:২৫

পুলিশকে ধন্যবাদ দিলেন প্রধানমন্ত্রী

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকার নয়াপল্টনে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এতে এডিসিসহ পুলিশের ১৩ সদস্য আহত হয়েছেন। তবুও পাল্টা আক্রমণে যায়নি পুলিশ। তারা ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। আর এই খবর শোনার পর প্রধানমন্ত্রী পুলিশ বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে সামনে নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার বিকেল ৩টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনা তার বক্তৃতা শেষ হবার পর এই সংবাদ শুনেছেন। এবং তিনি বলেছেন, ধৈর্য ধরতে হবে। পাল্টা আক্রমণ যে পুলিশ করেনি একারণে তিনি পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। কারণ আমাদেরকে ধৈর্য ধরতে হবে। আমরা এখন দেখবো এই ঘটনায় নির্বাচন কমিশন কী করে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, আমাদের এখানে তাদের থেকে বেশি জমায়েত হয়েছিল। এমনও দেখেছেন মাশরাফি বিন মর্তুজাকে পেছন দিক থেকে দেড় কিলোমিটার হেঁটে এ অফিসে আসতে হয়েছিল। সে তুলনায় এমন কি ভিড় তাদের হয়েছিল? পুলিশ আমাদের এখানেও ছিল নিরাপত্তার জন্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে মির্জা আব্বাসের নেতৃতে আজ তারা পুলিশের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং পুলিশের দুটি গাড়ি পুড়িয়ে দেয়। একটি গাড়ি প্রায় পুড়িয়ে ফেলে এবং ১৩ জন পুলিশের সদস্য মারাত্মকভাবে আহত হয়ে আজ হাসপাতালে।'

এ উসকানি কারা দিলো-প্রশ্ন রেখে এ আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘তাহলে কি নির্বাচন পেছানোর জন্য তারা পরিকল্পিতভাবে নয়াপল্টনে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে নিজেদের বীরত্ব জাহির করলো? যে ষড়যন্ত্র নির্বাচন বানচালের সেই ষড়যন্ত্রই কী যেটা আমরা আশা করেছিলাম, সেটাই কী তারা শুরু করে দিলো?’

তারা নির্বাচন বানচাল করতে চায়-এ কথা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা ২০০১ সালে যা করেছি, ২০১৪ সালে যা করেছি আবারও আমরা সেটাই করবো। তাদের উদ্দেশ্য মনে হচ্ছে আজকের ঘটনায় নির্বাচনে যাওয়া নয়, তারা নির্বাচন বানচাল করতে চায়। তারা জনপ্রিয়, জননন্দিত শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে হটাতে চায়। এটাই হচ্ছে তাদের উদ্দেশ্য।’

ঐক্যফ্রন্টের নামে অনেকেই তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তাদের স্বরূপ এবার উন্মোচিত হলো পল্টনে পুলিশের উপর সাঁড়াশি হামলার মধ্য দিয়ে। প্রকাশ্য দিবালোকে তারা এভাবে হামলা করে পুলিশের গাড়ি পুড়িয়েছে। পুলিশ সেখানে নীরব দর্শক।’

এ সময় মির্জা ফখরুলের উদ্দেশে কাদের বলেন, ‘মিথ্যাচারিত আপনাদের রাজনীতি। আপনি আবারও মিথ্যাচার করলেন। পুলিশ কেন সরিয়ে দেবে। সেখানে ভিডিও ফুটেজ আছে। সম্পূর্ণ নীরব দর্শক ছিল পুলিশ। সেখানে সাংবাদিকরা ছিল। আপনি আবারও সেই মিথ্যাচার বিএনপির পুরোনো অভ্যাস। সেই ভাঙা রেকর্ড আজকেও আপনি বাজাতে গেলেন? এত মিথ্যার বেসাতি কেন করলেন?’

তিনি এসব অভিযোগ করলেও সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশকে দায়ী করছে বিএনপি। দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, তারা শান্তির পক্ষে। পুলিশ বিনা উসকানিতে তাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এতে ‘অসংখ্য’ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবিতে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জনকারী বিএনপি এবার ভোটে অংশ নিচ্ছে। দলটির প্রার্থী হতে উচ্ছুকরা নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সদলবলে মনোয়ন ফরম তুলতে নয়া পল্টনে আসছেন। বিএনপি নেতাকর্মীদের উপস্থিতির কারণে সোম ও মঙ্গলবার ফকিরাপুল থেকে কাকরাইল মোড় পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, যাতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

এর আগে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম বিতরণের সময়ও নেতাকর্মীদের জটলায় ওই এলাকা যান চলাচল ব্যাহত হয়ে যানজটের ভোগান্তি তৈরি হয়।

এই প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার পুলিশ মহাপরিদর্শককে এক চিঠিতে দলীয় কার্যালয় বা রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা নিয়ে যে কোনো মিছিল-শোডাউন বন্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত