ঢাকা, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫১ মিনিট আগে
শিরোনাম

‘ভুলের মাশুল ড. কামালকে দিতে হবে’

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১৩ জানুয়ারি ২০১৯, ১৬:১৭

‘ভুলের মাশুল ড. কামালকে দিতে হবে’

গত শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন বলেন- তিনি কখনই জামায়াতের সঙ্গে রাজনীতি করেননি। ভবিষ্যতেও করবেন না। তবে একাদশ নির্বাচনে জামায়াতকে সঙ্গী করে নির্বাচনে যাওয়া ভুল ছিল। বিএনপি জামায়াতকে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন দেবে জানলে তিনি দলটির সঙ্গে জোট করতেন না।

কামালের এমন স্বীকারোক্তির কঠোর সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বলেছেন, ‘ড. কামাল হোসেন সাহেব জেনেশুনে কেন ভুল করলেন, সেই ভুলের মাশুল তাকেই দিতে হবে।’

রোববার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা এবং আশপাশের জেলা, উপজেলা, পৌরসভা পর্যায়ের কমিটিগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়রদের সঙ্গে যৌথসভা শেষে সাংবাদিক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘তিনি তো ‘জেনে শুনে বিষ করেছি বিষ পান’- বিষয়টি এমন।… আমাদের দেশের নেতারা একেক সময় একেক কথা বলেন, কামাল হোসেনের বক্তব্য এখানে আমরা স্ববিরোধী বলে মনে করছি।

‘কেননা তিনি জেনে শুনেই তো বিএনপির সঙ্গে ঐক্য করেছেন। জামায়াত ছাড়া তো বিএনপির কোনো অস্তিত্ব নেই, বিএনপি মানেই জামায়াত, জামায়াত মানে বিএনপি। এ অবস্থায় কামাল হোসেন সাহেব জেনে শুনে কেন এত বড় ভুল করলেন? এ ভুলের মাশুল তাকেই দিতে হবে।’

ভোটের ফল বাতিল করে নতুন করে নির্বাচন দেওয়ার দাবিতে বিএনপির জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যে আহ্বান জানাচ্ছে, তাতে আবার ইতিবাচক সাড়া দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই বার্তাও দিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের সিনিয়র নেতা ওবায়দুল কাদের। বলেছেন, ‘নির্বাচনের আগে যেসব দল এবং জোট সংলাপে অংশ নিয়েছে, তাদের ফের গণভবনে ডেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংলাপে বসবেন।

‘ঐক্যফ্রন্ট-যুক্তফ্রন্টসহ ৭৫টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে গণভবনে সংলাপ হয়েছিল। এখন নির্বাচন শেষ হয়েছে, আমাদের নেত্রী গতকাল আমাদের সঙ্গে ওয়ার্কিং কমিটি ও উপদেষ্টা পরিষদের যৌথ বৈঠকে বলেছেন, যাদের সঙ্গে সংলাপ হয়েছে তাদেরকে আমন্ত্রণ করবেন, আহ্বান করবেন, নিমন্ত্রণ করবেন।’

তবে কবে নাগাদ এই সংলাপ হতে পারে সে বিষয়টি অবশ্য জানাননি ওবায়দুল কাদের। বলেন, ‘যারা সংলাপ এসেছিলেন তাদেরকে আবারও নেত্রী সংলাপে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। একসঙ্গে সবাইকে দাওয়াত দেওয়া হবে। সেটা খুব শিগগির জানিয়ে দেওয়া হবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সংলাপে এলে আমরা বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করতে পারি। বিএনপির প্রতি আমাদের অনুরোধটা রিনিউ করতে পারি। বলতে পারি, সংসদে আসুন। সম্পর্কটা রিনিউ করতে পারি।’

আগামী উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলে তাতে আওয়ামী লীগের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি হবে কি না- এমন প্রশ্নে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রতিপক্ষকে আমরা কখনো দুর্বল মনে করি না। সেটা মনে করেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। সেদিক থেকে বিএনপি বা তাদের ফ্রন্ট নির্বাচনে যদি আসে, সেক্ষেত্রে তাদেরকে স্বাগত জানাই।

‘প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনেরও আলাদা একটি মজা আছে। প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হবে, আমরা সেই রকম নির্বাচনই আশা করি। তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে এ রকমই আশা করব।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, উপ দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত