ঢাকা, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

ধানে আগুন অশুভ সংকেত: মোশাররফ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৭ মে ২০১৯, ১৪:০৫

ধানে আগুন অশুভ সংকেত: মোশাররফ

এখন কৃষকরা ধানে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলছে। এটা বাংলাদেশের জন্য খুবই অশুভ সংকেত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

শুক্রবার রাজধানীর বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

‘বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বাংলাদেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সাথে এই শুভেচ্ছা বিনিময়ের আয়োজন করা হয়। প্রতি বছর বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বাংলাদেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সাথে এই শুভেচ্ছা বিনিময় করতেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তবে একটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে তিনি কারাগারে থাকায় তার পক্ষ থেকে এ শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন বিএনপি সিনিয়র নেতৃবৃন্দরা।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘কৃষকরা তাদের ধানের মূল্য পাচ্ছে না। এ কারণে তারা তাদের পাকা ধান পুড়িয়ে ফেলছে। এটা আমাদের বাংলাদেশের জন্য খুবই অশুভ সংকেত। আর এটা ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। কিন্তু সরকার এটা পাশ কাটিয়ে যাচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকার বলছে, ধানের সরকারি মূল্য ২৫ থেকে ৩০ লাখ টন। অথচ খাদ্য মন্ত্রণালয় চাল বিদেশ থেকে রপ্তানি করার চেষ্টা করছে। অপরদিকে সরকার বিদেশ থেকে চাল আমদানি করছে। এখানে আমাদের প্রশ্ন, চাল তো মজুদ আছে। আর যেখানে কৃষক পাকা ধান পুড়িয়ে ফেলছে, সেখানে কৃষকের কাছ থেকে যদি একটু উঁচু দামে ধান কেনা হতো তাহলে তো কৃষক ধান পুড়িয়ে দিতো না।’

খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘গুঞ্জন আছে, বাংলাদেশ থেকে যারা টাকা বিদেশে পাঁচার করে দিতে চাচ্ছেন, তাদের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য চাল আমদানির ঘটনা ঘটছে। সুতরাং, ধান মজুদ থাকার পরও কেনো চাল আমদানি করা হচ্ছে? কারণ এখানে টাকা পাঁচারের ষড়যন্ত্র আছে। আর যারা এটা করছে, তারা বর্তমান সরকারের ব্যবসায়ী, খোঁজ নিয়ে দেখেন...।’

বিএনপি সংকটে- সরকারের মন্ত্রীদের এই বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি সংকটে নয়। আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আর তার ইশারায় এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সরাসরি নির্দেশে আমরা স্থায়ী কমিটির সদস্যরা দল পরিচালনা করছি।’

বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশের মানুষ নিরাপদ নয়। মানুষের কোন শান্তি ও কথা বলার অধিকার নেই। দেশে গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটের অধিকার নাই। সুতরাং একটি দেশে যদি গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার না থাকে তাহলে ধর্ম-কর্মের অধিকার কি থাকে? তাই আজকে ধর্ম-কর্মের অধিকারও নাই। কারণ আজকে বাংলাদেশকে ধর্মহীনতা করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’

বিএনপির সহ ধর্মবিষয়ক সম্পাদক দীপেন দেওয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক ভিসি ড. এমাজ উদ্দিন আহমেদ, দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. সুকোমল বড়ুয়া, ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমান, বরকত উল্লাহ বুলু, সহধর্মবিষয়ক সম্পাদক জন গোমেজ, নির্বাহী কমিটির সদস্য অমলেন্দু বিকাশ অপু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এছাড়া অনুষ্ঠানে কৌন্ডান্য ভিক্ষ, মৈত্রী বৌদ্দ বিহার, পঞাবংশ ভিক্ষু, চাকমা রাজারাজ বিহার, সুভাষ চন্দ্র চাকমা, প্রধান চন্দ্র চাকসাসহ বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএস/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত