ঢাকা, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

১৫ জুলাই ছাত্রদলের ভোট

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৩ জুন ২০১৯, ১৬:১০  
আপডেট :
 ২৩ জুন ২০১৯, ১৭:০৬

১৫ জুলাই ছাত্রদলের ভোট

আগামী ১৫ জুলাই জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নির্বাচনের ভোট গ্রহণের তারিখ নির্ধারিত করা হয়েছে। তবে ভোট গ্রহণের স্থায়ী এখনো ঠিক করা হয়নি।

রোববার রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাবেক ছাত্রদলের নেতাদের উদ্যোগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ছাত্রদলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন।

খায়রুল কবির খোকন জানান, ছাত্রদলের কাউন্সিল উপলক্ষে আগামী ২৪ জুন ভোটার তালিকা প্রকাশ, ২৫ জুন ভোটার তালিকার বিষয়ে আপত্তি গ্রহণ, ২৬ জুন, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ, ২৭-২৮ জুন প্রার্থীদের জন্য মনোনয়নপত্র বিতরণ, ২৯-৩০ জুন প্রার্থীদের নিকট থেকে মনোনয়নপত্র গ্রহণ, ১-২-৩ জুলাই প্রার্থীতা যাচাই-বাছাই, ৪ জুলাই প্রার্থীদের খসড়া তালিকা প্রকাশ, ৫ জুলাই প্রার্থীদের সম্পর্কে আপত্তি গ্রহণ, ৬ জুলাই প্রার্থীদের সম্পর্কে আপত্তি নিস্পতি, ৭ জুলাই প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ এবং ১৫ জুলাই নির্বাচনের ভোট গ্রহণ।

ওই দিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলবে বলেও জানান খোকন।

ভোট গ্রহণের স্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ভোট গ্রহণের স্থান এখনো ঠিক হয়নি। আর যে জায়গায় আমাদের সুবিধা হবে, সে জায়গায় আমরা করবো। আর দুই-একদিনের মধ্যে এটা আমরা আপনাদেরকে জানানোনো হবে।

ছাত্রদলের কাউন্সিল নিয়ে সাবেক নেতাদের আন্দোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কমিটি বিলপ্তির পর তাদের সাথে আমরা কথা বলেছি। আর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দলের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য কার্যালয়ে থাকেন। সুতরাং তাকে টার্গেট করা সমুচিত তো নয়, এটা শৃঙ্খলার মধ্যে পরে না। তাই এটা শাস্তি যোগ্য অপরাধ। আর পার্টি যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে, সেটা যথাযথ সিদ্ধান্ত।

আরেক প্রশ্নের জবাবে দুদু বলেন, আগামী ১৫ জুলাই ভোট গ্রহণের পরেই নির্বাচনের রেজাল্ট পেয়ে যাবেন।

কোন কোন পদে নির্বাচন হবে- এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শুধু সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন হবে।

নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য ৭ জন বলেও জানান শামসুজ্জামান দুদু।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী, ফজলুল হক মিলন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, এবিএম মোশাররফ হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা শফিউল বারী বাবু, আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল, ছাত্রদল নেতা রাজীব আহসান, আকরামুল হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

গত ৩ জুন ঈদের আগের দিন রাতে ছাত্র দলের কমিটি ভেঙে দেয় বিএনপি। আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের কথা বলা হয়। তাতে বলা হয়, ২০০০ সালের পর থেকে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণরাই ছাত্রদলের কমিটিতে স্থান পাবে।

এরপর বিক্ষুব্ধ ছাত্রদল নেতারা গত ১০ জুন নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়। কার্যালয়ের ভেতরে রিজভীকেও তারা অবরুদ্ধ করে রাখে। সেদিন লন্ডনে থাকা তারেকের সঙ্গে কথা বলার পর বিক্ষুব্ধরা শান্ত হলেও দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন দুই ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে।

ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধদের আন্দোলন নিয়ে সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও আলোচনা হয়। বৈঠকের পর দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীদের আন্দোলন থেকে সরে আসার আহ্বান জানান।

সকালে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর ওপর ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের হামলার ঘটনার নিন্দাও জানান তিনি।

এরপর রাতে সাড়ে ১১টার দিকে বিএনপির প্যাডে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্বাক্ষরে আন্দোলনরত ১২ জন নেতার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়।

এই নেতারা হলেন- ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক বাশার সিদ্দিকী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি জহিরউদ্দিন তুহিন, ছাত্রদলের ভেঙে দেওয়া কমিটির সহ-সভাপতি এজমল হোসেন পাইলট, ইকতিয়ার কবির, জয়দেব জয়, মামুন বিল্লাহ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, বায়েজিদ আরেফিন, সহ-সাধারণ সম্পাদক দবির উদ্দিন তুষার, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আজম সৈকত, আব্দুল মালেক এবং সদস্য আজীম পাটোয়ারি। তাদের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়।

এই নেতারা শনিবার দুপুরে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় সংবাদ সম্মেলন করে তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।

এই সংবাদ সম্মেলনের দেড় ঘণ্টা আগে সকাল ১১টায় খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে নয়া পল্টন থেকে শুরু হওয়া আইনজীবীদের একটি মিছিলে রুহুল কবির রিজভী যোগ দিলে তাকে অপদস্ত করেন ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধরা। তার বিরুদ্ধে নানা শ্লোগান দেন তারা।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত