ঢাকা, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫০ মিনিট আগে
শিরোনাম

‘উল্টে পাল্টে দে মা, লুটেপুটে খাই’

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৭:১০

‘উল্টে পাল্টে দে মা, লুটেপুটে খাই’
ফাইল ছবি

দেশে এখন শুধু ‘উল্টে পাল্টে দে মা, লুটেপুটে খাই’ অবস্থা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, লুটপাটের কারণে গত কয়েক মাসে শেয়ারবাজার থেকে বিদেশিরা ৬০০ কোটি টাকা পুঁজি তুলে নিয়েছে। আওয়ামী লীগের লোকজন লুটপাট আর দুর্নীতিকে তাদের নীতি করে নিয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, দুদক-দুর্নীতি দমন কমিশন সরকার বিরোধী নেতাকর্মীর পিছনে বেপরোয়াভাবে ছুটাছুটি করলেও দেশের প্রতিটি সেক্টরে যখন দুর্নীতি মহামারী আকার ধারণ করেছে, তখন তারা নীরব ভূমিকা পালন করছে। আমরা মনে করি- দুদকের হাত-পা বর্তমান শাসক দলের কাছে বাঁধা রয়েছে। এই দুদক কি করছে ? আজকে জাতি জানতে চায়।

তিনি বলেন, আমরা এও মনে করি শাসক দলের লোকজন এই প্রতিটি দুর্নীতি আর লুটপাটে জড়িত। ফলে পত্রপত্রিকা ও মিডিয়া যখন এই দুর্নীতি যতটুকু পারছে প্রকাশ করছে এরপরও এই সরকারের টনক নড়ে না। প্রতিটি ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য চেষ্টা করে সরকারের ঊর্ধ্বতনরা। এতে জনগণের মধ্যে চাপা চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

রিজভী বলেন, বর্তমানে দুর্নীতি আর লুটপাটের রাজত্বে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। দুর্নীতি এখন মহামারী রূপ ধারণ করেছে। দেশের আর্থিক খাত আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। ব্যাংকগুলো তারল্য সংকটে ধুঁকছে। বাংলাদেশ ব্যাংক খেলাপি ঋণের ব্যাপারে দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে, যা ১২ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। ধানের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে শোকে দুঃখে কৃষক ধান পুড়িয়ে দেয়, কোরবানির চামড়ার ন্যায্য মূল্য না পেয়ে মানুষ চামড়া মাটির নিচে পুঁতে রাখে, অথচ দেশের সরকারি বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে চলছে হরিলুট। ব্যাংকগুলো পরিণত হয়েছে লুটেরাদের মানিব্যাগে।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, দেশে বর্তমানে খেলাপি ঋণের পরিমাণ প্রায় ১ লাখ ১২ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা। ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা এই ঋণ খেলাপি হওয়ায় তাদের পক্ষে সাফাই গাইছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত পহেলা সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ব্যাংকগুলোতে সুদের হার বেশি হওয়ার কারণে নাকি সবাই ঋণ খেলাপি হচ্ছে। সরকার প্রধানের কাছ থেকে এমন প্রশ্রয় পাওয়ার কারণে ব্যাংকিং খাতে অস্থিরতা ক্রমশ বেড়েই চলেছে।

কেএস/এনএইচ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত