ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

‘রাজপ‌থের জ্বালাও পোড়াও প্র‌তিহত করবে আওয়ামী লীগ’

  ‌নিজস্ব প্র‌তি‌বেদক

প্রকাশ : ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯, ২২:৩৩

‘রাজপ‌থের জ্বালাও পোড়াও প্র‌তিহত করবে আওয়ামী লীগ’

রাজপথে জ্বালাও পোড়াও করে যদি কেউ বিএন‌পি চেয়ারপার্সন বেগম খা‌লেদা জিয়ার জামিনের কথা ভেবে থাকেন, তাহলে আওয়ামী লীগ প্রতিহত করবে ব‌লে মন্তব্য ক‌রে‌ছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান।

শনিবার বিকেলে রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দলটির শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

খালেদা জিয়ার জামিনের শুনানি হলেই নৈরাজ্য করা হয় উল্লেখ করে আব্দুর রহমান বলেন, তার (খালেদা জিয়া) জামিনের বিষয়টি শুধু আদালতেই সমাধান হতে পারে। রাজপথে জ্বালাও পোড়াও করে যদি কেউ জামিনের কথা ভেবে থাকেন, তাহলে বলতে চাই, সেটা আওয়ামী লীগ প্রতিহত করবে।

তিনি বলেন, দেশে এখনো ষড়যন্ত্র থামেনি। বিএনপি জামাত গোষ্ঠী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এখনো ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তাদেরকে বলতে চাই, শেখ হাসিনা রাজনীতিতে যে উচ্চ আসনে আসীন হয়েছেন তাকে ছোঁয়ার মত শক্তি নেই। তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে তাকে হটানো যাবে না।

শহীদ বুদ্ধিজীবীরা যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতেন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ সেই জায়গায় পৌঁছেছে মন্তব্য ক‌রে তি‌নি বলেন, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে বুদ্ধিজীবীদের স্বপ্ন পূরণ করেছেন শেখ হাসিনা। শহীদ বুদ্ধিজীবীরা যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতেন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ সেই জায়গায় পৌঁছেছে।

আব্দুর রহমান বলেন, পাকিস্তানি বাহিনী এদেশের সূর্যসন্তানদের হত্যা করে দেশের অগ্রযাত্রাকে হত্যা করতে চেয়েছিলো। তবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ বুদ্ধিজীবীদের আকাঙ্ক্ষিত সেই দেশ বিনির্মাণ করেছেন। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের কাছে রোল মডেল।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ১৯৭৫এ বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ২১ বছর ধরে দলে যে জঞ্জাল তৈরি হয়েছিল, তা শেষ করার জন্যে শেখ হাসিনা দেশে ফিরেছিলেন। ১৯৮১ সালের ১৭ই মে তিনি যদি দেশে না আসতেন, দেশের হাল যদি না ধরতেন। দেশে বুদ্ধিজীবীদের হত্যার বিচার হতো না।

আব্দুর রহমান বলেন, যে রাজাকার আল বদর আল শামসের হয়ে মুজাহিদ, নিজামিরা বুদ্ধিজীবীদেরকে হত্যা করেছিল, তাদেরকে হত্যার মধ্য দিয়ে রাজাকাররা ভেবেছিল, দেশ স্বাধীন হলেও রাষ্ট্র অকার্যকর পরিণত হবে, সেজন্যেই তারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল। তবে শহীদদের স্বজনদের জন্যে সান্ত্বনা হল, শেখ হাসিনা ২১ বছর পর দেশে ফিরে বলেছিলেন, ‘আমার অবস্থা যদি বাবার মতও হয়, তবুও আমি বাবার অসম্পূর্ণ কাজ শেষ করব।’

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু, শহীদ বুদ্ধিজীবী আলতাব মাহমুদের কন্যা শাওন মাহমুদ, আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণালকান্তি দাস, মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফি ও উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান।

বাংলাদেশ জার্নাল/জেডআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত