ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

করোনা রুখতে প্রযুক্তির ব্যবহার

  ফিচার ডেস্ক

প্রকাশ : ০৯ এপ্রিল ২০২০, ১২:২৩

করোনা রুখতে প্রযুক্তির ব্যবহার
ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বের ২০০’র অধিক দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস। আর তাই এ ভাইরাস প্রতিরোধে সব সময় চিকিৎসক, নার্স বা সংশ্লিষ্টরা সব কাজ করতে পারেন না। প্রযুক্তির কল্যানে এখন এসব কাজ করছে ড্রোন ও রোবট। আজকের প্রতিবেদনে থাকছে বিশ্বের নানান দেশের এমনই সব প্রযুক্তি ব্যবহারের তথ্য।

ভাবুন তো আপনার উঁচু ভবনের জানালায় এসে কেউ একজন বলছে করোনার সচেতনতায় কী করা উচিত আর না করা উচিত। তাহলে আপনার কেমন অনুভূত হবে? নিশ্চয়ই দারুণ। আর এ দারুণ কাজটিই করেছে মালয়েশিয়ান পুলিশ। দেশটির পুলিশ করোনাভাইরাসের আক্রমণ থেকে বাঁচার কথা বলতে দেশের বিভিন্ন জায়গা পাঠাচ্ছে বিশেষভাবে তৈরি এ ড্রোন। রাজধানী কুয়ালালামপুরের বিভিন্ন ঘরের সামনে এসে এটিকে কথা বলতে দেখা গেছে।

করোনার এ সময় প্রযুক্তি ব্যবহারে জাপানিরা পিছিয়ে থাকবে তা কী হয়! বর্তমান পরিস্থিতিতে জাপানি নাগরিকদের ঘরের বাইরে যাওয়া মানা। আর তাই রাজধানী টোকিওর এক অনুষ্ঠানে তাই সদ্য স্নাতক পাস করা শিক্ষার্থীরা আসতে পারেননি। কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানতে পেরে শিক্ষার্থীদের জায়গায় গাউন পড়িয়ে দাঁড় করিয়ে দেয় কিছু রোবট।

ছবি তুলেছে রোবট: ইটালির ভারেসে শহরের এক হাসপাতলে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগীদের ছবি তুলে বেড়াচ্ছে রোবট। রোগীদের চিকিৎসায় খুব কাজে লাগছে সেই ছবি।

সচেতন করছে রোবট: করোনাভাইরাস থেকে দূরে থাকতে একজন সচেতন মানুষের যা যা করা উচিত, সবাই মিলে ভাইরাসের বিরুদ্ধে যেভাবে লড়া উচিত, জার্মানির লিন্ডিয়ার সুপার মার্কেটে সেই কথাগুলো বলছে মানুষের আদলে গড়া এক রোবট।

সংবাদ সম্মেলনে রোবট: বেজিংয়ের সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এয়ারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুলে সাংবাদিকদের দেখানো হচ্ছে হাসপাতলে রোবট কিভাবে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় সহায়তা করে। ‘নকল মানুষ’ সামনে রেখে রোবটই তা দেখাচ্ছে।

জীবাণুনাশক ড্রোন: চিলির তালকাহুয়ানা শহরে জীবাণুনাশক ছিটাতে আর মানুষের দরকার হয় না। লকডাউন মেনে মানুষ থাকছে ঘরে আর শহরময় উড়ে উড়ে জীবাণুনাশক ছিটাচ্ছে ড্রোন।

খাবার পরিবেশন: চীনের সাংহাই শহরের এক রেস্তোরাঁয় চাহিদামতো খাবার পরিবেশন করে রোবট।

রংমিস্ত্রি রোবট: করোনাভাইরাসের কারণে ফ্রান্সও এখন বিপর্যস্ত। সব মানুষকে বলা হয়েছে ঘরে থাকতে। অনেক কাজেই নামতে হয়েছে রোবটকে। করোনায় মৃতদের জন্য বানাতে হচ্ছে নতুন নতুন কফিন। আর এসব কফিনে রং করে রোবট।

মাস্ক দিচ্ছে রোবট: ভারতের কোচি শহরে ট্রে হাতে দাঁড়িয়ে থাকে কিছু রোবট। এদের সামনে থাকা ট্রে-তে রয়েছে মাস্ক আর স্যানিটাইজার। যার দরকার সে এগুলো নিয়ে নেয়।

স্বাস্থ্যকর্মীর বিকল্প: ইতালির ভারেসে শহরের এক হাসপাতলে করোনায় সংক্রমিতদের চিকিৎসায় সহায়তা করতে দেখা যায় রোবটকে।

পরম বন্ধু: করোনা-সংকটে সবচেয়ে বিপদে আছেন প্রবীণরা। রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি, একাকিত্বের যন্ত্রণাও তাদের জন্য বেশি অসহনীয়। আর তাই বেলজিয়ামে প্রবীণ মানুষদের জন্য ঘরে ঘরে বিনামূল্যে রোবট পাঠাচ্ছে একটি কোম্পানি। রোবটগুলোর কাজই হলো ভিডিও কলের মাধ্যমে আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে নিয়মিত কথা বলানো।

পুলিশ এবং ড্রোন: ইন্দোনেশিয়ার রিয়াউ প্রদেশের পেকানবাউ শহরে জীবাণুনাশক ছিটানোর কাজও করতে হচ্ছে পুলিশকে। অবশ্য পুলিশ কাজটা নিজে করছে না। রিমোট হাতে নিয়ে শুধু নির্দেশ দিচ্ছে আর সেই নির্দেশ মেনে জীবাণুনাশক ছিটিয়ে যাচ্ছে ড্রোন।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক: বেজিংয়ের করোনায় সংক্রমিত রোগীদের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মতো নানা উপদেশ দিচ্ছে বিশেষভাবে তৈরি করা একটি রোবট।

বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত