ঢাকা, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

দেবতা জিউসের ‘রহস্যময় মূর্তি’

দেবতা জিউসের ‘রহস্যময় মূর্তি’

প্রাচীন পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্যের একটি অলিম্পিয়ার জিউসের মূর্তি। এটি এক রহস্যও বটে। গ্রিকদের অসংখ্য দেব-দেবীর মধ্যে প্রধান দেবতা হলেন জিউস। জিউস বিখ্যাত হারকিউলিসের পিতা।

গ্রিকরা অলিম্পিয়া নগরীতে একটি মন্দির নির্মাণ করে এবং পরে সেখানেই স্থাপন করা হয় দেবতা জিউসের বিশালাকার মূর্তি। গ্রিক ভাস্কর ফিডিয়াস খ্রিস্টপূর্ব ৪৩২ অব্দে জিউসের মূর্তিটির নকশা করেছিলেন। মূর্তিটি উচ্চতায় ছিল প্রায় ৪০ ফুট। এর ব্যাসার্ধ প্রায় ৬ ফুট।

সাতজন মিস্ত্রি আড়াই বছর অক্লান্ত পরিশ্রম করে মূর্তিটি তৈরি করে। কথিত আছে- সোনা, মূল্যবান পাথর এবং হাতির দাঁতে তৈরি মূর্তিটি একটি কাঠের কাঠামোর উপর ছিলো।

ভাস্কর্যতে দেখা যায়, দেবতা জিউস একটি কাঠের উপর উপবিষ্ট আছে যেখানে তার ডান হাতে আছে একটি ছোট মূর্তি যা নির্দেশ করছে জিউসের জয় এবং জৌলুস। অপরদিকে তার সিংহাসনের বাম দিকে আছে একটি ঈগল যা নির্দেশ করছে জিউসের শক্তি ও তার প্রতি আনুগত্য।

জিউসের মূর্তিটি এখন আর আগের মতো নেই। এর খুব সামান্য অংশই টিকে আছে। তবে এটি কিভাবে ধ্বংস হয়েছে তা নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। ধারণা করা হয়, খ্রিস্ট ধর্মের প্রসারের সময় খ্রিষ্টীয় ৫ম শতাব্দীতে একে ধ্বংস করে ফেলা হয়। কারো কারো মতে, এটি সেখান থেকে কনস্টান্টিনোপল (বর্তমান তুরস্কের ইস্তাম্বুল)-এ নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো, যা পরবর্তীতে অগ্নিকাণ্ডে পুরোপুরি ধ্বংস হয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত