ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

এই মুকুটের দাম শুনলে চমকে যাবেন!

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ০৩ নভেম্বর ২০১৯, ১২:৪০  
আপডেট :
 ০৩ নভেম্বর ২০১৯, ১৩:০৫

এই মুকুটের দাম শুনলে চমকে যাবেন!

ব্রিটিশ রাজপরিবার অসংখ্য মূল্যবান দ্রব্যে ভরপুর। রাজপ্রাসাদ থেকে শুরু করে রাজপরিবারের প্রতিটা আসবাবের কারুকার্য চোখ ধাঁধানো। রাজ্যাভিষেকের সময় রীতি মেনে নতুন রাজা বা রানিকে মুকুট পরতে হয়।

রাজপরিবারের ঐতিহ্যবাহী এই মুকুটের গায়ে লাগানো রয়েছে বহু মূল্যবান রত্ন। ব্রিটিশ রাজপরিবারের ওই মুকুটের মূল্য কত জানেন?

বেগুনি রঙের ভেলভেট কাপড়ে মোড়া ওই মুকুটের ওজন প্রায় আড়াই কিলোগ্রাম। বেশ ভারী হওয়ায় এই মুকুট পরে কিছু পড়ার জন্য কেউ মাথা ঝোঁকাতে পারেন না।

মাথা ঝোঁকালে মুকুটের ভারে ঘাড়ে লেগে যেতে পারে এবং মুকুট মাথা থেকে খুলে যেতে পারে। তাই লেখাটাকেই চোখের সমানে এনে পড়তে হয়।

বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় হিরে, কালিনান এই রাজমুকুটে শোভা পায়। থমাস কালিনান দক্ষিণ আফ্রিকার খনি থেকে এই হিরে উদ্ধার করেন। সে সময় দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিটিশ আধিপত্য ছিল। উদ্ধার হওয়া হিরে লুট করে নিয়েছিলেন সপ্তম এডওয়ার্ড। জানা গিয়েছে, এই হিরের ন’টা টুকরো করা হয়েছে। তার মধ্যে দুটো টুকরো মুকুটে লাগানো হয়েছে। বাকি সাতটা টুকরো ব্রিটিশ রানির ব্যক্তিগত সংগ্রহশালায় শোভা পাচ্ছে।

ব্রিটিশ রাজা পঞ্চম জর্জের রাজ্যাভিষেকের আগে ১৯১০ সালে এই হিরের অংশ মুকুটে লাগানো হয়েছিল। মুকুটে লাগানো এই কালিনান হিরের মূল্য সাড়ে ৫২ কোটি ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৩৭১২ কোটি টাকা!

আর সব মিলিয়ে পুরো মুকুটটার মূল্য কত? মনে করা হয়, এই মুকুটের মোট মূল্য সাড়ে তিনশো কোটি ডলার! অর্থাৎ প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা!

তবে প্রথমে নাকি মুকুটের মূল্যবান রত্নগুলো বিভিন্ন রাজ পরিবার থেকে ধার করা হত। প্রতিবার রাজ্যাভিষেকের সময় মূল্যবান রত্নে সেজে উঠত মুকুট। রাজ্যাভিষেকের পর তা আবার খুলে ফেলা হত।

কিন্তু ১৯১১ সালে পঞ্চম জর্জের রাজ্যাভিষেকের সময় থেকে এই রীতি বদলে যায়। সোনা, হিরের মতো নানা মূল্যবান রত্ন দিয়ে পাকাপাকিভাবে সেজে ওঠে মুকুট।

মুকুটটি বর্তমানে রাখা রয়েছে টাওয়ার অব লন্ডনে। মধ্য লন্ডনে টেমস নদীর উত্তর দিকে রয়েছে এই টাওয়ার।

মুকুটটির প্রতিটা অংশের আলাদা মূল্য রয়েছে। এতে রয়েছে সাতটা নীলকান্ত মণি, যার মূল্য ২১ লাখ ৪২ হাজার ডলার। ভারতীয় মূল্যে যা প্রায় সাড়ে ১৫ কোটি টাকা। ২৬টা টুরমালিন রয়েছে মুকুটে, যার মূল্য প্রায় সাড়ে তিন হাজার ডলার, অর্থাৎ প্রায় আড়াই কোটি টাকা।

মুকুটের বেশি ভাগ অংশ সোনা দিয়েই তৈরি। ২২ ক্যারাটের সোনা রয়েছে এতে, মূল্য প্রায় ৮৭ হাজার ডলার। ভারতীয় মূল্যে যা ৬১ লক্ষ টাকারও বেশি।

এই মুকুটের সবচেয়ে কম দামি অংশ কোনটা জানেন? বেগুনি রঙের ভেলভেট কাপড়টি। ঐতিহাসিক মূল্য যুক্ত এই কাপড়ের দাম মোটামুটি ৩ ডলার। আর মুকুটের একেবারে নীচে মাথায় ঠিক ভাবে বসার জন্য যে আরমাইন রিং রয়েছে, সেটারও দাম বেশ কম, মাত্র ৩৪ ডলার। অর্থাৎ প্রায় আড়াই হাজার টাকা।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসবি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত