ঢাকা, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

লকডাউনে ওৎ পেতে আছে জুয়াড়িরা, আইসিসির হুঁশিয়ারি

  স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ : ১৯ এপ্রিল ২০২০, ১৫:২২

লকডাউনে ওৎ পেতে আছে জুয়াড়িরা

করোনার জেরে বিশ্বব্যপী সব ধরণের খেলাধূলা বন্ধ। লকডাউনের জন্য ঘরে বসেই সময় কাটছে ক্রিকেট তারকাদের। ফলে তারা আগের তুলনায় অনেক বেশি সক্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যা কিনা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে আইসিসির দুর্নীতিদমন শাখার। তাদের ধারণা, লকডাউনের এই বিরতির সুযোগে ফিক্সাররা ক্রিকেটারদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করছে।

ম্যাচ গড়াপেটা যে কোনও খেলার জন্যই অভিশাপের মতো। একটা সময় ক্রিকেটে গড়াপেটা থেকে শুরু করে ফিক্সিং ছিল অতি সাধারণ ঘটনা। কিন্তু বিগত কয়েক বছরে আইসিসির দুর্নীতিদমন শাখার সক্রিয়তা অনেকটা কমিয়েছে ক্রিকেট দুর্নীতি। সেই দুর্নীতিদমন শাখাই এবার নড়েচড়ে বসল। তাদের দাবি লকডাউনের জেরে সৃষ্টি হওয়া ঘরবন্দী দশাকে ব্যবহার করছে কুখ্যাত ফিক্সাররা। বিভিন্ন দেশের তারকাদের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যোগাযোগ রাখছে বুকিরা। তারা চাইছে ভাল পরিচিতি গড়তে, যাতে করে ক্রিকেটার এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের ভবিষ্যতে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেওয়া যায়।

আইসিসির দুর্নীতিদমন শাখার প্রধান আলেক্স মার্শাল বলছেন, ‘আমরা দেখছি নামি দুর্নীতিবাজরা এই সময়টাকে ব্যবহার করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আগের থেকে অনেক বেশি পরিমাণ চেষ্টা করছে ক্রিকেটারদের সঙ্গে যোগাযোগ করার। ক্রিকেটারদের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক গড়ার চেষ্টা করছে ওরা। যাতে পরে এই ক্রিকেটারদের দুর্নীতির প্রস্তাব দেওয়া যায়।’

আইসিসির দুর্নীতিদমন শাখার প্রধান আলেক্স বলছেন, করোনার জন্য হয়তো সাময়িক খেলাধূলা বন্ধ আছে। কিন্তু দুর্নীতিগ্রস্তরা এখনও পুরদমে সক্রিয়। আইসিসি বলছে, এ বিষয়ে সদস্য দেশগুলির সাথে ইতোমধ্যেই আলোচনা হয়েছে। ক্রিকেটারদেরও অনুরোধ করা হয়েছে সতর্ক থাকতে। এবং এই ধরনের অপচেষ্টা রুখে দিতে সবরকম চেষ্টা করা হচ্ছে। লকডাউনের জেরে ক্রিকেট বিশ্বে যে আর্থিক ধাক্কা আসতে চলেছে, তা ভালমতোই জানে আইসিসির দুর্নীতিদমন শাখা। তাই আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সব সময় সতর্ক থাকতে। কোথাও কোনওরকম দুর্নীতি যাতে না হয়, তা নিশ্চিত করতে।

সবাইকে সচেতন করে মার্শাল আরো বলেন, ‘আমরা খেলোয়াড়, সদস্য, এজেন্টদের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলেছি। বিষয়টির গুরুত্ব বুঝিয়ে বলা হয়েছে, খেলোয়াড়েরা যেন সচেতন থাকে। ক্রিকেট না থাকাকালীন কাউকে হতাশ করা যাবে না।’

  • সর্বশেষ
  • পঠিত