ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১২ মিনিট আগে
শিরোনাম

আইপিএলে করোনা রুখতে বিসিসিআইয়ের নির্দেশিকা

  স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ : ০৭ আগস্ট ২০২০, ১৮:১৩

আইপিএলে করোনা রুখতে বিসিসিআইয়ের নির্দেশিকা

আরব আমিরাতে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে আইপিএল। সুরক্ষা ও সাবধানতার স্বার্থে টুর্নামেন্টে অংশ নিতে চলা ফ্র্যাঞ্চাইজি ও ক্রিকেটারদের জন্য স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসেডিওর বা এসওপি প্রকাশ করেছে বিসিসিআই। তাতে কী কী নিয়ম অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে, তা এক নজরে দেখে নেওয়া যাক।

করোনা ভাইরাসের আবহে নিরাপদভাবে আইপিএল আয়োজনের স্বার্থে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলিকে ১৬ পাতার এসওপি বা নির্দেশিকা পাঠিয়েছে বিসিসিআই। টুর্নামেন্ট চলাকালীন, আগে এবং পরে প্রতি দল ও ক্রিকেটারদের কী কী নিয়ম মেনে চলা উচিত, তা ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে রওনা হওয়ার আগে প্রতি দলের ক্রিকেটারদের ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হবে। তার আগে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ক্রিকেটারদের দুটি কোভিড-১৯ আরটি-পিসিআর টেস্ট করতে হবে। কোনও ক্রিকেটারের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়লে, তার ক্ষেত্রে কোয়ারেন্টাইন নিয়ম আরও কড়া করা হবে। আইসোলেশন পর্ব কাটিয়ে ওই ক্রিকেটারকে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে আরও দুটি কোভিড-১৯ টেস্ট করাতে হবে। টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ এলে, নির্দিষ্ট ক্রিকেটারকে আইপিএল খেলার জন্য দুবাইতে পাঠানো হবে। আট দলের ক্রিকেটার, কোচ, সাপোর্ট স্টাফরা আইপিএল খেলতে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে পৌঁছলে, তাদের বাধ্যতামূলক সাত দিনের কোয়ারেন্টাইন পর্ব কাটাতে হবে। এই সময়ে সব দলের ক্রিকেটার, কোচ, সাপোর্ট স্টাফদের তিন বার কোভিড-১৯ টেস্ট করা হবে। টেস্ট রিপোর্ট যাঁদের নেগেটিভ আসবে, তারাই আইপিএলে অংশ নিতে পারবেন। টুর্নামেন্ট চলাকালীন প্রতি পাঁচ দিন অন্তর ক্রিকেটার কোচ, সাপোর্ট স্টাফদের কোভিড-১৯ পরীক্ষা করতে হবে।

যে ক্রিকেটারদের শরীরের উত্তাপ মাত্রার মধ্যে এবং স্বাস্থ্য সঠিক থাকবে, তাদের অনুশীলন করার সুযোগ দেওয়া হবে। ড্রেসিং রমে কম সময় কাটানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ক্রিকেটারদের। এর জন্য ট্রেনিং কিট পরেই তাদের মাঠে অনুশীলনে নামতে বলা হয়েছে। ক্রিকেটারদের ট্রেনিং কিট অনুশীলন স্থল থেকে দূরে একটি পরিচ্ছন্ন ও নিরাপদ ঘরে রাখা থাকবে।

আইসিসির নির্দেশিকাকে প্রাধান্য দিয়ে করোনা ভাইরাস রুখতে আইপিএলেও বলে লালার ব্যবহার বন্ধ করতে চলেছে বিসিসিআই।

ডাগ আউট ম্যাচ অফিসিয়াল এলাকা ছাড়া ক্রিকেটার, কোচ এবং দলের সাপোর্ট স্টাফদের ফেস মাস্ক পরে থাকতে বলা হয়েছে। ডাগ আউটে বসার সময় ক্রিকেটার, কোচ এবং দলের সাপোর্ট স্টাফদের সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। তাদের নির্ধারিত আসনে বসতে বলা হয়েছে। দলের ১২ তম সদস্য, মেডিক্যাল স্টাফদের একত্র না হয়ে মাঠের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

ম্যাচ চলাকালীন ক্রিকেটার, কোচ এবং দলের সাপোর্ট স্টাফদের সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে বলেছে বিসিসিআই। টসের মধ্যে দুই অধিনায়ক ও ম্যাচ অফিসিয়ালদের মধ্যে করমর্দন হবে না বলে জানানো হয়েছে। করোনা ভাইরাসের আবহে কাগজে মুদ্রিত টিম শিটের আদান-প্রদান বন্ধ করা হচ্ছে। পরিবর্তে ইলেকট্রনিক টিম শিটের ব্যবস্থা করা হবে। কোনও মাসকট প্রদর্শিত হবে না। ড্রিংকস ব্রেক চলাকালীনও ক্রিকেটারদের সামাজিক দূরত্ব মেনে দাঁড়াতে হবে। প্রত্যেক ক্রিকেটারকে পৃথক পানীয়ের বোতল ব্যবহার করতে হবে। সব বোতল আগে থেকে স্যানিটাইজ করা থাকবে।

মাঠে ফিল্ডিং করার সময় ফেস মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক নয়। প্রতিবার বল স্পর্শ করার পর ফিল্ডার এবং বোলাররা হাত পরিষ্কার করতে পারবেন। ম্যাচ চলাকালীন ক্রিকেটাররা মুখে, নাকে, চোখে হাত দিতে পারবেন না। ক্রিকেটারদের হ্যান্ড স্যানিটাইজার সঙ্গে রাখতে হবে।

ম্যাচ শেষ হওয়ার পর দুই দলের ক্রিকেটারদের করমর্দনের নিয়ম বাতিল করা হয়েছে। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের সময় মাঠে সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের প্রবেশ সীমিত করা হয়েছে। টু্র্নামেন্টের ট্রফি বা অন্যান্য পুরস্কার প্রদানের আগে ভালো ভাবে স্যানিটাইজ করা হবে। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে হবে প্রেস কনফারেন্স।

আইপিএল চলাকালীন ক্রিকেটারদের হোটেলে থাকার সময়, অনুশীলনের সময়, ম্যাচ চলাকালীন ও যাত্রার সময় বায়ো সিকিওর পরিবেশে থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কেউ নিয়ম ভাঙলে তাঁকে শাস্তি পেতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত