ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

তিন অধিনায়কত্বের অবসান চান সাকিব

  স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ : ০৯ এপ্রিল ২০২১, ১৭:৫৯

তিন অধিনায়কত্বের অবসান চান সাকিব

মাশরাফি বিন মর্তুজা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেওয়ার পরেই বাংলাদেশ দলে শুরু হয় তিন অধিনায়কত্বের যুগ। সাকিবকে দেওয়া হয় টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব। মাশরাফি থেকে যান ওয়ানডে অধিনায়ক। মুশফিক থাকেন টেস্টের দায়িত্বে।

২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের পর মুশফিকের পরিবর্তে টেস্ট দলের নেতৃত্ব দেওয়া হয় সাকিবকে। কিন্তু দায়িত্ব পেয়েও চোটের কারণে ২০১৮ সালের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠে দুই টেস্টের সিরিজে তিনি খেলতে পারেননি। আপৎকালীন অধিনায়ক হিসেবে ওই দুই টেস্টে দলকে নেতৃত্ব দেন মাহমুদউল্লাহ।

সুস্থ হয়ে ওই বছরেরই জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্ট দলের অধিনায়ক হিসেবে ফেরেন সাকিব। আর টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক তো তিনি ছিলেন আগে থেকেই। পরে অবশ্য সাকিবের ওপর আইসিসির এক বছরের নিষেধাজ্ঞার কারণে বাংলাদেশ দলের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দুই নেতৃত্বেই পরিবর্তন আনতে হয়। টেস্টের দায়িত্ব দেওয়া হয় মুমিনুল হককে এবং টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক করা হয় মাহমুদউল্লাহকে। গত বছরের মার্চে মাশরাফি ওয়ানডের নেতৃত্বও ছেড়ে দিলে এই সংস্করণের দায়িত্ব দেওয়া হয় তামিম ইকবালকে।

সাকিবের নিষেধাজ্ঞার পর অনেকটা পরিস্থিতির শিকার হয়েই ৩ সংস্করণে ৩ অধিনায়ক ঠিক করে বিসিবি। সাকিবের মতে, একদমই ভেবেচিন্তে এই সিদ্ধান্ত নেয়নি বিসিবি। পরিস্থিতির কারণে বাধ্য হয়েই তিন অধিনায়কের যুগে প্রবেশ করেছিল বিসিবি।

সাকিব বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশ দলে তিন অধিনায়কত্বের অবসান হওয়া উচিৎ। বরং, বাংলাদেশ দলে তিন ফরম্যাটেই দরকার এক অধিনায়ক।

বর্তমানে আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সে অবস্থান করা সাকিবের যুক্তি, ‘যদি তিনটি সংস্করণকে আমরা সমান গুরুত্ব দিতাম এবং তিন সংস্করণে আমাদের পারফরম্যান্স একই রকম থাকত, তাহলে একটা ব্যাপার ছিল। কিন্তু আমাদের তো তিন সংস্করণে একই রকম পারফরম্যান্স নয়। এটাই সমস্যা, বিশেষ করে যে সংস্করণে আমরা ভালো খেলি না, সেই অধিনায়কের বেশি সমস্যা।’

সাকিব সেটিরও ব্যাখ্যা দিয়েছেন, ‘যে সংস্করণে আমরা ভালো খেলি, সেই অধিনায়ক সব সময় স্বস্তিতে থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বাকি যে সংস্করণে আমরা ভালো খেলি না বা নিয়মিত সাফল্য পাই না, সেই সংস্করণের অধিনায়কের জন্য তো কাজটা কঠিন হয়ে যায়। তাকে সব সময় চাপে থাকতে হবে, সমালোচনা শুনতে হবে এবং অধিনায়ক হিসেবে তার থিতু হতেও বেশি সময় লাগবে। আবার যে সংস্করণে আমাদের দল ভালো, সে অধিনায়কের সমস্যা কম হবে, তার সময়ও কম লাগবে থিতু হতে।’

বাংলাদেশ জার্নাল/টিআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত