ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

ডেঙ্গু জ্বরে শিশুর যত্ন

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১৮ জুন ২০১৯, ১৭:৪৫  
আপডেট :
 ১৮ জুন ২০১৯, ১৭:৫৩

ডেঙ্গু জ্বরে শিশুর যত্ন

বৃষ্টিকাল এলে গরম কমলেও একটি আতঙ্ক অনেক বেড়ে যায়। আর তা হলো ডেঙ্গু মশা। এই মশার কামড়ে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ ইতিমধ্যেই বেড়েছে। প্রাপ্তবয়স্কদের জ্বর হলে যে যত্নের প্রয়োজন শিশুদের তার থেকে বেশি যত্নের প্রয়োজন হয়।

তবে অনেকেরই ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে ভুল ধারণা আছে। ডেঙ্গু হলেই যে তার আলাদা কোনো চিকিৎসা শুরু করতে হবে এমন নয়। দুই দিনেই জ্বর ভাল হয়ে যেতে পারে। তবে জ্বরের পরের ৫ থেকে ৬ দিন সাবধান থাকতে হয়। এরপর আর কোনো সমস্যা দেখা দেয় না।

শিশুদের ২-৩ লিটার পানি, ফলের রস, ডাবের পানি ও তরল খাবার খাওয়া উচিত। তবে বাচ্চা মুখে খেতে না পারলে, প্রেসার কম থাকলে, পেটে ব্যথা বা পেটে পানি আসলে, র‍্যাশ বা প্লেটলেট নরমাল থাকলেও শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শিশু বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে দিয়েছেন নানা রকম পরামর্শ জেনে নিন এখনই।

শিশুর ডেঙ্গু জ্বরে যা করবেন

অন্যান্য জ্বরের মতই ডেঙ্গু জ্বর হলে বাচ্চার গা মুছে দেবেন। প্রচুর পানি পান করাবেন। তবে একটু একটু করে। সেই সাথে তরল খাবার যেমন, ডাবের পানি, স্যুপ, শরবত বেশি বেশি করে দেবেন।

বাচ্চাকে যতটা সম্ভব বিশ্রামে রাখতে চেষ্টা করবেন। গায়ে যেন ঘাম না বসে যায় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। গা ঠাণ্ডা রাখতে ও জ্বর কমাতে মাথায় পানিপট্টি দিতে হবে। কিন্তু অতিরিক্ত পানিযুক্ত ভেজা গামছা দিয়ে গা মোছাবেন না। এতে ঠাণ্ডা লেগে জ্বর আরো বেড়ে যাবে।

পানিতে গামছা বা পাতলা কাপড় ভিজিয়ে ভাল করে চেপে পানি ঝরিয়ে সেই কাপড় দিয়ে পা থেকে মাথা পর্যন্ত বার বার করে মুছে দেবেন। স্বাভাবিক গোসল বন্ধ করবেন না, প্রয়োজনে কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করাবেন।

জ্বর যদি ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তার বেশি হয় তাহলে প্যারাসিটামল সিরাপ খাওয়াবেন ছয় ঘণ্টা পর পর। তবে অপ্রয়োজনে বা জ্বর না মেপেই ওষুধ খাওয়াবেন না। ভুলেও বা অপ্রয়োজনে প্যারাসিটামল বা ক্লোফেনাক জাতীয় বা অন্য কোন NSAID জাতীয় ব্যথার ওষুধ খাওয়াবেন না।

টক জাতীয় খাবার যেমন লেবু, কমলা, জাম্বুরা, আমড়া ইত্যাদি ফল খাওয়ালে উপকার পাবে। জ্বর বেশি হলে গা মুছিয়ে ঠাণ্ডা রাখতে হবে। অনেক সময় প্যারাসিটামল দেয়ার পরও জ্বর কমতে চায় না। তাই জ্বর খুব বেশি ১০৩ ডিগ্রি –১০৫ ডিগ্রি হয় তবে সাপোজিটরি ব্যবহার করতে পারেন।

তবে মনে রাখবেন, একটা সাপোজিটরি ব্যবহারের ৮ ঘণ্টার মধ্যে আর নতুন করে সাপোজিটরি দিতে পারবেন না। সারাদিনে তিনবারের বেশি সাপোজিটরি ব্যবহার করা যাবে না।

কিছু সতর্কতা

শিশুকে খাবার নিয়ে জোর না করে যতটা সম্ভব পানি ও তরল খাবার অল্প করে বার বার খাওয়াবেন। অনেকে বাচ্চাকে স্যালাইন দেয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন। বাচ্চাকে কতটুকু স্যালাইন দেয়া হবে তার একটি নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। এগুলো কিছু শারীরিক লক্ষণ ও রক্ত পরীক্ষার রিপোর্টের উপর নির্ভর করে।

আরএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত