ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

শিশুর থাইরয়েড সমস্যা হলে যা করবেন

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ৩০ জুন ২০১৯, ১৩:৪৮

শিশুর থাইরয়েড সমস্যা হলে যা করবেন

সন্তানের বিকাশ স্বাভাবিকের চেয়ে কম হলে অনেকেই স্বাভাবিক শারীরিক বৃদ্ধির জন্য অপেক্ষা করেন। কখনও কখনও শিশু খুব দুর্বল স্বভাবের বা ঘুমকাতুরেও হয়। সেক্ষেত্রে অনেক মা,বাবাই মনে করেন, শিশু আরামপ্রিয়। শিশুর থাইরয়েড গ্রন্থি সঠিক ভাবে কাজ না করলেও কিন্তু এই ধরনের সমস্যাগুলো দেখা যায়।

ছোট বয়স থেকেই এই হরমোনের নিঃসরণে কোনো সমস্যা হলে শিশুর শরীরের স্বাভাবিকতা নষ্ট হয়। শিশুর ক্ষেত্রে থাইরয়েড হলে তার মস্তিষ্ক, হার্ট, স্নায়ু এবং মাংসপেশির বিকাশ অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

শিশু যখন কথা বলতে পারছে না সেই বয়সে এই থাইরয়েডের প্রথম উপসর্গ হলো কোষ্ঠকাঠিন্য। কথা বলতে শিখলে তখন কোষ্ঠকাঠিন্য, ক্লান্তি ও খুব ঘুমকাতুরে স্বভাবের প্রকাশ হয়। একটু তাপমাত্রা কম হলেই শরীর কাঁপে। মুখে ফোলা ভাব, রুক্ষ চুল, সহজে চুল উঠতে থাকা লক্ষণ।

এক্ষেত্রে শিশুর ঘুম কম হয়, অল্পতেই প্রচণ্ড উত্তেজিত ও বিরক্ত হয়ে ওঠে, গরম সহ্য করতে পারে না, ঘাম হয় বেশি, ডায়েরিয়ার সমস্যা, হাড় সহজেই ভঙ্গুর হয়, অল্প দৌড়োদৌড়ি করলেই বুক ধড়ফড় করে, চোখে দেখতে অসুবিধা হয় এবং চোখ অল্প বেরিয়ে আসে।

সাবধানতা

বাড়ন্ত শিশুর চারিত্রিক কোনো অস্বাভাবিক পরিবর্তন হচ্ছে কি না তা খেয়াল রাখা জরুরি।

শিশুর বৃদ্ধি বা মনের বিকাশ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বা কম হলে সতর্ক হন।

হাইপোথাইরয়েডিজম বা হাইপারথাইরয়েডিজম শিশুকে সব সময়েই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চলতে হবে।

হাইপারথাইরয়েডিজমের ক্ষেত্রে মাংসপিণ্ড থাকলে ক্যান্সার হওয়ার প্রবণতা থাকতে পারে।

শিশুর হাইপোথাইরয়েডিজম হলে, বংশে কারও আগে হাইপোথাইরয়েডিজম ছিল কি না সেটা জানা প্রয়োজন।

একমাত্র আয়োডিনই থাইরয়েড রোগ থেকে বাঁচাতে পারে। সুতরাং গর্ভবতী মা এবং জন্মের পর শিশুকে আয়োডিনযুক্ত লবণ খাওয়ানো জরুরি।

আরএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত