ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

৩০০০ স্কুল পাচ্ছে সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১৬ জানুয়ারি ২০১৮, ২২:০৪  
আপডেট :
 ১৬ জানুয়ারি ২০১৮, ২৩:০০

৩০০০ স্কুল পাচ্ছে সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা

সারা দেশের তিন হাজার বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি আসবাবপত্র সরবরাহ করবে সরকার। মঙ্গলবার এনইসি সম্মেলনকক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ সংক্রান্ত প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে।

একনেক চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভায় সভাপতিত্ব করেন। এ প্রকল্পে ব্যয় হবে ১০ হাজার ৬৪৯ কোটি টাকা, যার পুরোটাই খরচ করবে সরকার।

শিক্ষার্থীদের বর্ধিত চাহিদা পূরণ এবং শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকার তিন হাজার বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে একাডেমিক ভবন নির্মাণ ও আসবাবপত্র সরবরাহ করা হবে। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ৩’শ সংসদীয় এলাকায় বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন হবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সার্বজনীন বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তনের ফলে মাধ্যমিক স্তরে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা গত কয়েক দশকে ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে দেশে ৩২৭টি সরকারি ও ১৯ হাজার ৩৫৭টি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় প্রত্যেক সংসদীয় এলাকায় ১০টি করে তিন হাজার বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে একাডেমিক ভবনসহ অন্যান্য ভবন নির্মাণ করা হবে। একইসাথে ওইসব বিদ্যালয়ের আসবাবপত্র সরবরাহ করা হবে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে বর্ধিত শিক্ষার্থীদের চাহিদা পূরণ এবং শিক্ষার ভাল পরিবেশ সৃষ্টি হবে হলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। প্রকল্প প্রস্তাবনায় বলা হয়, ২০১৪ সালের ব্যানবেইসের রিপোর্ট অনুযায়ী মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৯১ লাখ ৬০ হাজার ৩৬৫ জন। প্রাথমিক পর্যায়ে বাধ্যতামূলক শিক্ষা ব্যবস্থার কারণে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বিপুলহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বর্ধিত শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার সংস্থানের জন্য প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নতি পর্যাপ্তভাবে হয়নি। এ সকল শিক্ষার্থীদের একটি বিরাট অংশ মাধ্যমিক শিক্ষার বাইরে থেকে যাচ্ছে। এদের সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করতে বিদ্যমান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণী কক্ষের সংখ্যা বৃদ্ধি করা আবশ্যক।

সরকারের সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের আওতায় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর জুন, ২০১৭ হতে জুন, ২০২০ মেয়াদকালে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।

/এসকে/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত