ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

ভূতের সঙ্গে প্রেম, শেষপর্যন্ত বিবাহবন্ধনেও আবদ্ধ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ : ১৭ জানুয়ারি ২০১৮, ০২:১৯

ভূতের সঙ্গে প্রেম, শেষপর্যন্ত বিবাহবন্ধনেও আবদ্ধ

সেজেগুজে এসেছেন অতিথি-অভ্যাগতরা। সাদা গাউন মাটিতে লুটিয়ে এসে হাজির পাত্রী। তৈরি যাজকও। কেবল আংটি বদলের অপেক্ষা। কিন্তু পাত্র কই?

জ্বলন্ত মোমবাতিটা! হ্যাঁ। ইহাই সত্য। ঠিক এভাবেই ৩০০ বছরের পুরনো জলদস্যুর ভূতকে বিয়ে করলেন উত্তর আয়ারল্যান্ডের আমান্ডা টিগ।

কিন্তু এ কেমন করে সম্ভব? সম্ভব। অন্তত আমান্ডার মতে তা সম্ভব। ভূতের প্রেমে পাগল ৪৫ বছরের মহিলা। শুরুটা হয়েছিল পর্দার জ্যাক স্প্যারো ওরফে জনি ডেপকে দেখে। জলদস্যুদের জীবনের প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন আমান্ডা। এমনকী নিজের গায়ে স্প্যারোর মতো ট্যাটুও করিয়েছিলেন তিনি। ঘটনাচক্রে যে জলদস্যুর ভূতের সঙ্গে তিনি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তার নামও জ্যাক। আমান্ডার কথায়, ২০১৪ সালে তিনি প্রথম জ্যাককে অনুভব করেন। ধীরে ধীরে দু’জনের মধ্যে কথা শুরু হয়। অষ্টাদশ শতকের জলদস্যুর অশরীরীর প্রেমে পড়ে যান পাঁচ সন্তানের মা।

দু’জনের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও হয়েছে। কেমন ছিল সে অভিজ্ঞতা? কোনও মানুষ সঙ্গীর থেকে নাকি অনেক ভাল। পার্থক্য কেবল একটি জায়গায়। এ সুখানুভূতি কেবল অনুভব করা যায়। সঙ্গীকে চোখে দেখা যায় না। আজও নিজের স্বামীকে চোখে দেখেননি আমান্ডা। তবে তাঁর বিশ্বাস, এই জ্যাককেও ক্যাপ্টেন স্প্যারোর মতোই দেখতে। সে ছবি নিয়ে বিয়ের ফটো সেশনও সেরেছেন নববধূ। বিয়ে যাতে বৈধতা পায়। তার জন্য বোট নিয়ে মাঝ সমুদ্রে গিয়ে আয়ারল্যান্ডের সীমা ছাড়িয়ে বিয়েটা করেছেন তিনি। তবে সংসার আয়ারল্যান্ডেই পাতবেন। ঘরও একটি কিনে নিয়েছেন আমান্ডা। এতে অবশ্য তাঁর অশরীরী স্বামী কোনও সাহায্য করতে পারেনি। তবে ঘর সাজাতে নাকি জ্যাকই সাহায্য করেছে। আর তার সঙ্গে সেখানেই বাকি জীবনটা কাটাতে চান আমান্ডা।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত