ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২২ মিনিট আগে
শিরোনাম

সব ক্ষমতা এরশাদের!

সব ক্ষমতা এরশাদের!

আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করবেন দলটির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। দলের প্রার্থী বাছাই করাসহ নির্বাচনী সব সিদ্বান্তই এককভাবে নেবেন তিনি। শুধু তাই নয়, জাতীয় পার্টি আগামী নির্বাচনে এককভাবে নাকি জোটগতভাবে অংশ নেবে সেই সিদ্বান্তও নেবেন এরশাদ। রোববার দুপুরে জাপা চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে পার্টির প্রেসিডিয়াম ও এমপিদের এক যৌথসভায় দলটির নেতারা দলের চেয়ারম্যানকে সর্বসম্মতভাবে এই ক্ষমতা অর্পন করেন। এসময় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদ এমপি, কো- চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের উপস্থিত ছিলেন। দলের নীতি নির্ধারনী সূত্র এ তথ্য জানায়।

সুত্র আরো জানায়, বিএনপি নির্বাচনে না এলে ৩শ আসনে নির্বাচন করবে জাপা। আর বিএনপি যদি নির্বাচনে আসে তাহলে ফের মহাজোট থেকে নির্বাচন করবে দলটি। প্রেসিডিয়াম ও দলীয় এমপিদের এই যৌথ সভায় ৩শ আসনে একক নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে একক নাকি জোটগত পরিস্থিতি দেখে বুঝে চূড়ান্ত নেবেন এরশাদ।

বৈঠকে আগামী ২০ অক্টোবর রাজধানীর সোহওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নির্বাচনের আগে এই সমাবেশ হবে এরশাদের শেষ শোডাউন। ২০ তারিখের মহাসমাবেশের সফল করতে লোকসমাগমসহ পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্যদের ১লক্ষ এবং দলীয় সংসদ সদস্যদের ৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার নির্দেশ দেন এরশাদ।

নেতাদের উদ্দেশে এরশাদ বলেন, আমদের সব ধরণের প্রস্তুতি রাখতে হবে। একক অথবা জোটগত নির্বাচন। বিএনপি নির্বাচনে আসুক, না আসুক আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। আমরা তিনশ আসনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। বিএনপি কি করছে, কি কর্মসূচী দিচ্ছে তার দিকে তাকিয়ে থাকলে হবে না। নির্বাচনে যেভাবেই হোক আমাদের ভালো ফলাফল করতে হবে।

বৈঠকে পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলের নেতা রওশন এরশাদ এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল মাহমুদ অভিন্নভাবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটগত নির্বাচনে জাপার ছাড় দেয়া আসনে যেনো নৌকার কোনো ডামি বা বিদ্রোহী প্রার্থী না থাকে সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার কথা বলেন।

দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুল হক চুন্নু সম্প্রতি মিডিয়ায় রওশন ও এরশাদের দ্বন্দ্ব নিয়ে প্রকাশিত নিউজ প্রসঙ্গে বলেন, এ দ্বন্দ্ব থাকলে দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে। জবাবে রওশন এরশাদ বলেন, আমাদের মাঝে কোনো দ্বন্দ্ব নেই, তাছাড়া আমি নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রী করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আলাদা কোনো তালিকাও দেইনি।

বৈঠক শেষে পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এবিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ বরেন। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি আগামী জাতীয় নির্বাচন মহাজোট না এককভাবে করবে, সে সিদ্ধান্ত নেবে বিএনপির গতি প্রকৃতি দেখে। আমরাও চাই নির্বাচনে সবদলের অংশগ্রহণ। একক নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতিও নিচ্ছি। ২০ অক্টোবর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশের ঘোষণা দেন হাওলাদার।

মহাজোটের সঙ্গে থাকা না থাকা প্রসঙ্গে জাপা মহাসচিব বলেন, রাজনীতিতে শেষ কথা বলতে কিছু নেই। এরশাদের সঙ্গে সিঙ্গাপুরে ড. কামাল হোসেনের বৈঠক হয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে হাওলাদার বলেন, কামাল হোসেন সিঙ্গাপুর যাননি। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।

যৌথসভায় উপস্থিত ছিলেন, জাপা প্রেসিডিয়াম সদস্য- ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি, কাজী ফিরোজ রশীদ, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, ফখরুল ইমাম এমপি, প্রফেসর দেলোয়ার হোসেন খান, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, শেখ সিরাজুল ইসলাম, এসএম ফয়সল চিশতী, সালমা ইসলাম এমপি, সুনীল শুভরায়, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, মো: আজম খান, এটিইউ তাজ রহমান, মেজর (অব.) মো: খালেদ আখতার,-লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি, নুরুল ইসলাম ওমর এমপি, মাহজাবিন মোরশেদ এমপি, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, গোলাম কিবরিয়া টিপু, মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, নূর-ই-হাসনা লিলি চৌধুরী এমপি,, সৈয়দ আব্দুল মান্নান, মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা, মহসিন রশীদ, মশিউর রহমান রাঙা এমপি, সোলায়মান আলম শেঠ, আলহাজ্ব আতিকুর রহমান খান, আব্দুর রশিদ সরকার, মেজর (অব., মুজিবুর রহমান সেন্টু, ব্যারিস্টার দিলারা খন্দকার, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি, :নোমান এমপি, সেলিম উদ্দিন এমপি, একেএম মোস্তাফিজুর রহমান এমপি, অধ্যাপক নুরুল ইসলাম মিলন এমপি, শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ এমপি, জিয়াউল হক মৃধা এমপি, শওকত চৌধুরী এমপি, সালাহ উদ্দিন আহমেদ মুক্তি এমপি, ইয়াহ ইয়া চৌধুরী এমপি, আমির হোসেন ভূঁইয়া এমপি, নুরুল ইসলাম তালুকদার এমপি, হাজী মো: ইলিয়াস এমপি, ইঞ্জিনিয়ার মামুনুর রশীদ এমপি, খোরশেদ আরা হক এমপি, মো: আলতাফ হোসেন এমপি, শাহানারা বেগম এমপি, অধ্যাপক ডা. মো: আক্কাস আলী এমপি।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত