ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

কুষ্টিয়ায় আদিবাসীদের উচ্ছেদের প্রতিবাদে মানববন্ধন

  কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৬ জানুয়ারি ২০২০, ০০:২৩  
আপডেট :
 ১৬ জানুয়ারি ২০২০, ০০:২৭

কুষ্টিয়ায় আদিবাসীদের উচ্ছেদের প্রতিবাদে মানববন্ধন

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে আদিবাসীদের উচ্ছেদ চেষ্টার অভিযোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন স্থানীয় আদিবাসীরা।

বুধবার দুপুরে কুমারখালী মহিলা কলেজের শিক্ষক তুহিন বিশ্বাস ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ চেষ্টার অভিযোগ এনে উপজেলা সহকারী কমিশনারের কার্যালয়ের সামনে এ বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে দুর্গাপুর এলাকার আদিবাসীরা।

মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, কুমারখালী উপজেলার বুজরুখ দুর্গাপুর মৌজার এসএ ৩/৩৪০ ও আরএস ৩৪০ নং খতিয়ানের ৮ টি দাগে প্রায় ৮ বিঘা সম্পত্তি যার মালিক বাংলাদেশ সরকার পক্ষে ডেপুটি কমিশনার। উক্ত সম্পত্তি আতাউর রহমান সুজন, কুমারখালী সরকারী কলেজ ও আদিবাসীরা বরাদ্দ নিয়ে ভোগদখল করে আসছে।

ইতিমধ্যে উল্লেখিত জমির ১৬ শতাংশ জমি যেটা আতাউর রহমান সুজন গং এর নামে বরাদ্দ সেই জমিতে তুহিন বিশ্বাস জোরপূর্বক মার্কেট নির্মাণ করেছে। সরকারী কলেজের নামে ৯৮ শতক জমি যেটা জলাশয়, সেই জমিতে বালি ভরাটকালীন সময়ে সচেতন এলাকাবাসী তাকে বাধা দিলে সে কাজ বন্ধ করে দেয়।

বিলুপ্ত প্রায় বাগদি সম্প্রদায় প্রায় শত বছর ধরে ৪শ পরিবার উক্ত জমি সরকারিভাবে বরাদ্দ নিয়ে বসবাস করছে। বুধবার উল্লেখিত জমি তুহিন বিশ্বাস জোরপূর্বক দখল করতে গেলে আদিবাসীরা বাধা দেয়।

কুমারখালী পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এস এম রফিক বলেন, আদিবাসীদের বসতি রক্ষার প্রতিবাদে বুধবার দুপুরে মানববন্ধন করে। পরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এম এ মুহাইমিন আল জিহানের অফিসের সামনে অবস্থান নেয় তারা। এসময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাদের আইনী সহায়তার আশ্বাস দিলে তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কুমারখালী থানায় গেলে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম তাদের তুহিন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করার জন্য বলেন।

এ বিষয়ে তুহিন বিশ্বাসের সাথে মুঠোফোনে জমি দখলের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, আমি কথা বলব কাগজপত্র নিয়ে। সরকারি জমি কিভাবে ক্রয় করেন সে বিষয়ে প্রশ্ন করলে তুহিন বিশ্বাস কৌশলে এড়িয়ে যায়।

এ ব্যাপারে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোকজন কেউ থানায় কোন অভিযোগ করেনি।

কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীবুল ইসলাম খান জানান, আদিবাসীরা যে জমিতে বসবাস করছেন সেটা সরকারী খাস জমি। আদিবাসীরা দুপুরে ভূমি অফিসের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেছে। পরে তারা কুমারখালী থানায় গিয়েছিলো।

বাংলাদেশ জার্নাল/আর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত