ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

ফেসবুকে ‘স্ত্রীর’ নগ্ন ছবি, অতঃপর...

  যশোর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৫ জানুয়ারি ২০২০, ২০:০৬

ফেসবুকে ‘স্ত্রীর’ নগ্ন ছবি, অতঃপর...
প্রতীকী ছবি

তালাক দেয়ায় সাবেক স্ত্রীর অর্ধনগ্ন ছবি ফেসবুকের মাধ্যমে ছাড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে আদালতে দায়েরকরা একটি পিটিশন যশোর কোতোয়ালি থানায় নিয়মিত মামলা হিসাবে রেকর্ড করা হয়েছে। মামলাটি হয়েছে পর্ণগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে।

আসামিরা হলো, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ঝনঝানিয়া গ্রামের মৃত রওশন আলীর ছেলে রকি আহমেদ (২৭), রকির ভাই দ্বীনার (২৪) এবং তার মা মনোয়ারা বেগম (৫০)।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, যশোর সদর উপজেলার একটি গ্রামের এক মেয়েকে নানা ভাবে ফুসলিয়ে অপহরণ করে ২০১৯ সালে বিয়ে করে রকি। সেই সময় ওই মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে অপহরণের মামলার প্রস্তুতি নিলে আসামিরা প্রভাব বিস্তার করে। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে শালিস মিমাংশা হয় এবং তিনি সংসার করতে থাকেন। কিন্তু রকির স্বভাব চরিত্র ভাল না। তাকে অন্যের শয্যা সঙ্গী হওয়ার জন্য চাপ দিতো রকি।

তিনি রাজি না হওয়ায় ভাই ও মায়ের ইন্ধনে তার (ওই মেয়ের) কয়েকটি আপত্তিকর অর্ধনগ্ন ছবি রকি তার মোবাইল ফোনে ধারন করে।

বিষয়টি ওই মেয়ে তার পরিবারের লোকজনকে জানালে মাস সাতেক আগে তাদের বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটে। মেয়েটি স্বেচ্ছায় রকিকে তালাক দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সাবেক স্ত্রীর ক্ষতি করার ষড়যন্ত্র করতে থাকে রকি ও তার পরিবারের লোকজন। পরে ওই মেয়ের অন্য জায়গায় বিয়ে হয়। ফলে রকি ও তার পরিবারের লোকজন আরো ক্ষিপ্ত হয়ে কয়েক সপ্তাহ আগে ওই মেয়ের আপত্তিকর অর্ধনগ্ন ছবি ফেসবুকে ফেক আইডি খুলে তা আপলোড করে।

‘শহিদুর রহমান’, ‘তোর জন্য’ এবং ‘দেবাশীষ দাস’ নামে তিনটি ফেক আইডি খুলে তা তার বর্তমান স্বামীর ফেসবুকে ট্যাগ করে ছবি গুলো গত ২১ জানুয়ারি পোষ্ট করে। এতে ওই মেয়ে মানহানীকর পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন।

তিনি বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন এই ঘটনার জন্য রকি ও তার পরিবারের সদস্যের হাত রয়েছে। এই কারণে তিনি গত ২২ জানুয়ারি যশোরে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি পিটিশন দাখিল করেন। ওই পিটিশনটি আমলে নিয়ে বিচারক তা তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিলে পুলিশ গত শক্রবার রাতে তা নিয়মিত মামলা হিসাবে নথিভুক্ত করে। কোতোয়ালি থানার মামলা নম্বর-৮১, তারিখ-২৪-০১-২০২০।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড কমিউনিটি পুলিশিং) সুমন ভক্ত জানিয়েছেন, পর্ণগ্রাফি আইনে কোর্ট পিটশন মামলা হয়েছে। তাই আসামিদের আটক করা যায়নি। খুব তাড়াতাড়ি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত