ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১০ মিনিট আগে
শিরোনাম

১১ বছরের প্রেম, বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন

  দিনাজপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ৩১ জানুয়ারি ২০২০, ১৯:১৭

১১ বছরের প্রেম, বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন

দিনাজপুর চিরিরবন্দরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিক শুভ্র দাস (২৯) এর বাড়িতে গত একদিন ধরে মাস্টার্স পাশ প্রেমিকা অনশন শুরু করেছে। অনশন শুরু করা প্রেমিকাকে এক নজর দেখার জন্য স্থানীয়রা ভিড় জমাচ্ছে প্রেমিকের বাড়িতে।

শুক্রবার সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রেমিকা নন্দিতা সেন প্রেমিক শুভ্র দাসের বাড়িতে অবস্থান করার সময় প্রেমিক শুভ্র দাস নিজ বাড়িতেই অবস্থান করছেন।

গত ৩০ জানুয়ারি রাত থেকে উপজেলার আলোকডিহি ইউনিয়নের গোছাহার গ্রামের ক্ষেণপাড়ায় প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান করছেন প্রেমিকা। শুভ্র দাস অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সুকুমার দাসের ছেলে।

প্রেমিকা অভিযোগ করে বলেন, গত ২০০৮ সাল থেকে আত্মীয়তার সুবাদে শুভ্র দাসের সাথে আমার প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। পড়াশুনার পাশাপাশি একে অপরের সাথে রংপুরের বিভিন্ন স্থানে আমরা দেখা করতাম, কথাবার্তা হতো, আমার প্রেম করতাম। দীর্ঘদিন ধরে সর্ম্পক চললেও তাকে একাধিকবার বিয়ের কথা বললেও সে রাজি হয়নি। কালক্ষেপণ করে আমার কথা উড়িয়ে দেয়। এভাবে চলে যায় ৭ বছর। এরপর সে ২০১৫ সালে পুরোপুরি আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। আমি আমার পরিবারের মাধ্যমে অনেকবার তার বাড়িতে বিয়ের জন্য প্রস্তাব পাঠাই, কিন্তু তার মা রাজি না থাকায় তা সম্ভব হয়নি।

শেষমেস গত ২০১৯ সালে ১৮ ডিসেম্বর তাকে অনেক কষ্টে বিয়ে করতে রাজি করালে বন্ধুবান্ধব নিয়ে বিয়ের জন্য তাকে নিয়ে মন্দিরে গেলেও সেখান থেকেও সে পালিয়ে যায়।

তিনি আরও জানান, আমাকে বিয়ে করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। গত কয়েক মাস আগে আবারো সে পুনরায় আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। আমি খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, শুভ্র দাসের পরিবার অন্য জায়গায় বিয়ের জন্য পাত্রী খোঁজ করছেন। আমি কোন উপায় না পেয়ে নিজের মান সম্মানের দিকে না তাকিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন শুরু করছি। বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত আমি এখানেই অবস্থান করব। এতে যদি আমার মরণও হয়, হোক। আমি আমার সমস্ত ভালবাসা শুভ্র দাসকে উজার করে দিয়েছি।

প্রেমিকা আরও দাবি করেন, শুভ্র দাসসহ তার পরিবারের লোকজনকে বিয়ের বিষয়টির সুরাহা করে দিতে হবে। তা না করা পর্যন্ত আমার অনশন চলবে।

এ বিষয়ে আলোকডিহি ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মোছা. মাহামুদা ইসলাম শেফালী বলেন, স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি, যাতে উভয় পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে স্থানীয়ভাবে বিষয়টির মীমাংসা করে দেয়া হয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত