ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

‘ঘুষ না দেয়ায়’ ট্রান্সফর্মার দিতে গড়িমসি, কৃষকদের বিক্ষোভ

  জামালপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৭:৩২

‘ঘুষ না দেয়ায়’ ট্রান্সফর্মার দিতে গড়িমসি, কৃষকদের বিক্ষোভ

‘শুক্রবার সন্ধ্যায় বিকল হয়ে যায় দুটি ট্রান্সফর্মার। বিদ্যুৎ অফিসে জানালে তারা বলে, ট্রান্সফর্মার নেই। ঢাকা থেকে ট্রান্সফর্মার নিয়ে আসতে হবে। কিছু খরচ দিতে হবে। কয়েকজন কৃষক মিলে ৭ হাজার টাকা দিয়েছি। ঢাকা থেকে ট্রান্সফর্মার এসেছে। এই ট্রান্সফর্মার লাগানোর জন্য আবারও টাকা চাচ্ছেন সহকারী প্রকৌশলী মো. ইয়াহিয়া খান।‘

বিক্ষোভ চলাকালে এসব অভিযোগ করেন জামালপুর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ৪ নম্বর ফিডারের রামনগর এলাকার গ্রাহক শহর আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মজনু আকন্দ।

জামালপুর শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের রামনগর আকন্দবাড়ির সামনে শুক্রবার সন্ধ্যায় বিকল হয়ে যায় দুটি ট্রান্সফর্মার। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় সেচের অভাবে জামালপুর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ৪ নম্বর ফিডারের রামনগর, তেঁতুলিয়া ও টুপকার চর গ্রামের প্রায় ৫শ একর সদ্য রোপিত ইরি-বোরো ধানক্ষেত ফেটে গেছে।

ইতোমধ্যেই লালচে বর্ণ ধারণ করেছে ওই অঞ্চলের সদ্য রোপিত ধান গাছ। বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় ওই তিনটি এলাকার ৫টি পোল্ট্রি ফিডের হাজার হাজার মুরগি মারা যাচ্ছে। বিঘ্নিত হচ্ছে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের পড়াশোনা।

১২ নম্বর ওয়ার্ড কৃষক লীগের সভাপতি মো. রুহুল আমিন আকন্দ বলেন, ট্রান্সফর্মার বিকল হবার পর এলাকার লোকজন এসে আমাকে জানায়। আমি পিডিবি অফিসে যোগাযোগ করি। গত পরশুদিন ট্রান্সফর্মার এনে তারা অফিসেই ফেলে রেখেছে। নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার কামরুজ্জামান ট্রান্সফর্মার লাগানোর জন্য ইয়াহিয়া খানকে বলেছেন। কিন্তু তিনি গড়িমসি করছেন।

কৃষক প্লাবন আকন্দ বলেন, আমি সেচপাম্প চালাই। কৃষকদের ১৫ একর ও আমার ২ একর জমিতে পানি দেই। ৭ দিন ধরে জমিতে পানি দিতে পারিনি। ধানগাছ তো মরেই গেছে। ক্ষেত ভেঙে নতুন করে আবার লাগাতে হবে।

এদিকে ট্রান্সফর্মার লাগিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে জামালপুর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড অফিসে বিক্ষোভ করেছেন ওই তিন গ্রামের কৃষকরা। এ সময় তারা নির্বাহী প্রকৌশলীসহ সহকারী প্রকৌশলী মো. ইয়াহিয়া খানের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। অফিসের গেটে অবস্থান নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবি জানান।

প্রায় দুই ঘণ্টা সময় ধরে বিক্ষোভ চলাকালে জামালপুর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড অফিসে নির্বাহী প্রকৌশলীসহ কোনো সহকারী প্রকৌশলী উপস্থিত ছিলেন না। অভিযুক্ত সহকারী প্রকৌশলী মো. ইয়াহিয়া খানের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়।

নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার কামরুজ্জামান অফিসের কাজে জেলার বাইরে থাকায় মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ট্রান্সফর্মার এসেছে। আজ সকালে লাগানোর কথা। কেন লাগানো হয়নি তা জানি না। তবে ঘুষের অভিযোগের বিষয়টি আমার জানা নেই। ভুক্তভোগী গ্রাহকরা লিখিত অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত