ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

বারোমাসি লাউ

  গাজীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৩ মার্চ ২০২০, ২০:০৫  
আপডেট :
 ১৩ মার্চ ২০২০, ২০:১১

বারোমাসি লাউ
ছবি: সংগৃহীত

বারোমাসি লাউ উদ্ভাবন করেছেন গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম। ইতোমধ্যে কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে সারাবছর চাষযোগ্য বিইউ হাইব্রিড লাউ-১ নামে উদ্ভাবিত এই নতুন জাতটির বীজ। উদ্ভাবিত বারোমাসি এ লাউ এরই মধ্যে চাষিদের মাঝে আশা জাগিয়েছে। দেশের সবজির সংকট মোকাবেলায় এ জাত ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করছেন গবেষকরা।

চার মাস পরপর বীজ বপন করে সারাবছর চাষাবাদ করা যায় এ লাউ। প্রতিটি গাছে ২৫-৩০টি করে লাউ ধরে।

দীর্ঘ গবেষণার পর লাউয়ের দুইটি জাত সৃষ্টি করেন তিনি। নতুন এ জাত দুইটির নাম দেওয়া হয়েছে- বিইউ হাইব্রিড লাউ-১ ও বিইউ লাউ-১।

এ লাউ গাছের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত প্রতিটি গিঁটে গিঁটে ফলন হয়। শুধু ফলনই নয়, এ জাত সৃষ্টিতে ভোক্তার কথাও ভাবা হয়েছে। পরিবারে লোক সংখ্যা কমে আসায় একটা প্রচলিত বড় লাউ একবারে রান্না করা সম্ভব হয় না। ফলে দেওয়া লাউয়ের অংশর স্বাদ ও গুণ কমে যায়। নতুন জাতের লাউয়ের সাইজ ছোট, তাই এতে এমন সমস্যা এড়ানো সম্ভব বলছেন গবেষকরা।

উদ্ভাবক আমিনুল ইসলাম দাবি করেন, আধুনিক ও বাণিজ্যিক চাষাবাদে যুগান্তকারী পরিবর্তন নিয়ে আসবে বিইউ হাইব্রিড লাউ-১ ও বিইউ লাউ-১ জাত।

উচ্চফলনশীল লাউয়ের জাত দুইটির একটি হাইব্রিড, অন্যটি উন্মুক্ত পরাগায়িত। দুটিরই ফলনের তুলনায় অঙ্গজবৃদ্ধি খুব কম হওয়ায় ‘স্মার্ট কৃষির জন্য একেবারে লাগসই’ বলছেন তিনি।

অল্প জমিতে চাষযোগ্য এ লাউ সবজির চাহিদা মেটাতে ‘গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে’ বলে বিজ্ঞানীরা আস্থাশীল। চাষে কম খরচের এসব জাত চষে উপকার পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন কৃষকরাও।

তারা বলছেন, এ লাউ পোকা মাকড়ে তেমন আক্রান্ত হয় না, অন্য লাউয়ের তুলনায় ফলন বেশি হয়।

গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার টোক এলাকার কৃষক কামরুজ্জামান সবুর ১৭ শতাংশ জমিতে এ দুই জাতের লাউ চাষ করেছেন। চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ৬০ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করেছেন বলে জানান তিনি।

ওইসব গাছ এখনও ফলন দিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, অল্প জমিতে অল্প খরচে এ লাউয়ের ফলন অনেক বেশি। এ লাউ চাষ করে হত দরিদ্ররা সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে পারেন।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত