ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

জৌকুড়া ঘাট-১

তিন মাস ফেরি বন্ধ, ১০ জেলার ভোগান্তি

  ইমরান হোসেন মনিম, রাজবাড়ী প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০১ ডিসেম্বর ২০২০, ১৭:৫৫  
আপডেট :
 ০১ ডিসেম্বর ২০২০, ১৮:৪৯

তিন মাস ফেরি বন্ধ, ১০ জেলার ভোগান্তি
ছবি: জৌকুড়া-নাজিরগঞ্জ নৌরুটে তিন মাস ধরে ফেরি বন্ধ

গত তিন মাস ধরে উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ নৌ-রুট রাজবাড়ীর সঙ্গে পাবনার সহজ যোগাযোগ মাধ্যম ধাওয়াপাড়ার জৌকুড়া ও পাবনার নাজিরগঞ্জ রুটে নাব্য সংকটের কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে প্রায় ১০টি জেলার যাত্রীদের সহজ এ নৌ-রুট দিয়ে প্রতিদিন চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে কয়েক হাজার মানুষের।

পদ্মার পানি কমে জৌ-কুড়া ফেরি ঘাট বর্তমানে দুই থেকে আড়াই কিলোমিটার দূরে স্থানান্তর করা হয়েছে। ফেরি পারের আশায় সাধারণ যাত্রীরা চরাঞ্চলের লম্বা পথ হেঁটে, ঘোড়ার গাড়িতে ঘাটে এলেও ফেরি বন্ধ থাকায় ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চ ও ট্রলারে নদী পার হতে বাধ্য হচ্ছেন।

তবে পর্যাপ্ত গভীরতা না থাকায় ফেরি চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়েছে। আগামী বর্ষা মৌসুম ছাড়া ফেরি চলাচল স্বাভাবিক না হওয়ার আশঙ্কাই বেশি বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।

পদ্মার পানি দ্রুত কমে যাওয়ায় গেল সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকে জৌকুড়া নাজিরগঞ্জ নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রেখেছে ফেরিঘাটের তত্বাবধানে থাকা সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর।

জৌকুড়া নাজিরগঞ্জের ফেরি ঘাট মেরামত ও ঘাট স্থানান্তরের কাজ করা হলেও নাব্য সংকট ও আড়াই কিলোমিটার ধুধু বালু চরের কারণে এখনো কোনো রাস্তা তৈরি সম্ভব হয়নি। এতে রাজবাড়ী, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, শরিয়তপুর, মাগুড়া-পাবনা, সিরাজগঞ্জ, বগুড়াসহ অন্যান্য অঞ্চলের মানুষ চরম ভোগান্তি ও দুর্ভোগে পড়েছেন।

তিন মাস ফেরি বন্ধ থাকার কারণে প্রতিদিনই সমস্যা পড়ছেন সাধারণ মনুষ ও ব্যবসায়ীরা। ফিটনেস বিহীন ভাঙাচোরা দুই তিনটি লঞ্চ ও কয়েকটি ইঞ্জিন চালিত ট্রলার চলাচল করতে হচ্ছে যাত্রীদের। তবে বৈরী বাতাস ও নাব্য সংকটে মাঝে মাঝে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে।

জৌকুড়া ফেরি গিজার ও চালক ইয়াছিন মোল্লা জানান, গেল প্রায় তিন মাস ধরে ফেরি চলাচল বন্ধ। ফেরি ঘাটের কাজ চলমান রয়েছে। যান চলাচলের কোনো সড়ক এখনো তৈরি করা হয়নি।

আগামী বর্ষা মৌসুম চৈত্র বা বৈশাখের আগে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। পানি বাড়লে ফেরি চলাচল শুরু করা হবে। তবে এ পথের যাত্রীরা ভোগান্তির মধ্যে লঞ্চ ও নৌকায় নদী পার হচ্ছে।

রাজবাড়ীর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কে বি এম সাদ্দাম হোসেন জানান, নদীর বিভিন্ন স্থানে ডুবোচড় দেখা দিয়েছে। এতে ফেরি চলাচলে যে পরিমাণ পানি থাকা প্রয়োজন নদীতে নব্য সংকটে সে পরিমাণ পানি না থাকায় ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

তবে ফেরি ঘাট মেরামত ও ঘাট স্থানান্তরের কাজ চলমান রয়েছে। এখনো ফেরি ঘাটে যানবাহন আসতে কোনো সড়ক নির্মাণ করা হয়নি। তবে কয়েকদিনের মধ্যেই রাজবাড়ীর জৌকুড়া ও পাবনার নাজিরগঞ্জ রুটে ফেরি চলাচল শুরু স্বাভাবিক হবে এবং ভোগান্তি কমবে যাতায়াত কারী যাত্রী ও চালকদের।

পদ্মার পানি কমে যাওয়ায় নদীতে নাব্য সংকট দেখা দিয়েছে। তবে ঘাট স্থানান্তর ও এ রুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হলে রাজবাড়ী থেকে পাবনাসহ ১০ জেলার মানুষের যাতায়াতে ভোগান্তি কমবে। তবে দু’একদিনের মধ্যেই ফেরি ঘাট এলাকা পরিদর্শন করবে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর রাজবাড়ী কর্তৃপক্ষ। ঘাটের সার্বিক বিষয়ে ফরিদপুর সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছেন বলেও জানান কে বি এম সাদ্দাম হোসেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত