ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

রাজধানীতে দুই হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ১৪

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৫:০৫

রাজধানীতে দুই হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ১৪

রাজধানীর দুটি চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনসহ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ।

সোমবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মো. মাহবুব আলম।

যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুব আলম বলেন, ‘ঢাকায় গড়ে প্রতিমাসে ১৫ থেকে ২০টি খুনের ঘটনা ঘটে। এরকমই ফেব্রুয়ারিতে দুটি খুনের ঘটনা ঘটেছিল। একটি ১০ ফেব্রুয়ারি আরেকটি ১২ ফেব্রুয়ারি।’

তিনি বলেন, ‘রোববার ঢাকা মহানগর ও আশপাশ এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাজধানীর কদমতলী থানার হত্যা মামলার সাতজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির গোয়েন্দা ওয়ারী বিভাগের ওয়ারী জোনাল টিম।’

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. শুক্কুর, মো. নুরুল ইসলাম স্বপন, মো. রতন ওরফে সোলাইমান ওরফে রেম্বো, মো. শফিকুর রহমান ওরফে দিপু, ফাহিম হাসান তানভীর ওরফে লাদেন, মো. তরিকুল ইসলাম তারেক ও মো. মাসুদ পারভেজ।

প্রসঙ্গত, গত ১০ ফেব্রুয়ারি রাতে কদমতলী থানার পূর্ব জুরাইন কলেজ রোডের নবারুন গলির মাথায় একদল দুর্বৃত্ত ভিকটিম মো. জাকির হোসেনকে ছুরি দিয়ে বুকে, পেটে নৃশংসভাবে আঘাত করে ও পায়ের রগ কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে এবং অপর ভিকটিম মো. মজিবর রহমান ওরফে মোহনকে গুরুতর আহত করে ঘটনাস্থলে রেখে পালিয়ে যায়।

ভিকটিমদেরকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার জাকির হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় কদমতলী থানায় একটি মামলা রুজু হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ডিবির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী ও অপরাধ জগতের সক্রিয় সদস্য। ঘটনার দিন এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ভিকটিমদের ওপর হামলা চালায় তারা। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে কদমতলী থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

অপরদিকে রোববার অপর একটি অভিযানে মুগদা থানা এলাকায় কিশোর গ্যাং কর্তৃক খুনের ঘটনায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগের খিলগাঁও জোনাল টিম। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।

মাহবুব আলম বলেন, ‘সালাম না দেওয়াকে কেন্দ্র করে কিশোর গ্যাং গ্রুপটি হাসান মিয়াকে খুন করে। কিশোর গ্যাং গ্রুপের নেতৃত্ব দিতো তানভীর। তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

যুগ্ম কমিশনার বলেন, ‘কিশোর গ্যাং মাঝেমধ্যেই তৎপর হয়ে উঠছে। আমরাও তৎপর রয়েছি। মূলত নিম্ম আয়ের পরিবারের সন্তানরা এই কিশোর গ্যাং কালচারের সঙ্গে জড়িত।’

বাংলাদেশ জার্নাল/এফজেড/কেআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত