ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২১ মিনিট আগে
শিরোনাম

করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থী-জনগণ

  ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৭ এপ্রিল ২০২১, ১২:২৫

করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থী-জনগণ
ছবি: প্রতিনিধি

সারা দেশের ন্যায় করোনার দ্বিতীয় ধাপে ঢাকার ধামরাইতেও করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থী অপরদিকে কাজের সুযোগ না থাকার সম্ভাবনায় বেকার হয়ে পড়বে সাধারণ জনগণ পড়বে অর্থ সঙ্কটেও। এমন হতাশায় দিন যাপন করছে সাধারণ জনগণ ও শিক্ষা থেকে পিছিয়ে পড়ছে কোমল মতি শিক্ষার্থীরা।

গত সোমবার থেকে সারাদেশে একযোগে লকডাউন চলছে। রাস্তায় পরিবহনের সংখ্যা সীমিত। খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। যদি বাহিরে গিয়ে কাজ কর্ম না করতে পারে তখন পরিবারের অবস্থা কেমন হবে এমন চিন্তায় প্রহর গুনছে হাজারো খেটে খাওয়া মানুষ।

আবার, পড়াশোনার ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র। প্রায় এক বছর পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার চিন্তা করছিলো সরকার। কোমল মতি শিক্ষার্থীদের প্রাণ চাঞ্চল্য ফিরে আসছিলো। বই খাতা নিয়ে তারা আবার স্কুল, কলেজে দৌড়াবে। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মাত্রাতিরিক্ত হয়ে পড়ায় আবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। দেশে লকডাউন দেয়া হয়েছে। করোনার থাবা থেকে মানুষকে বাঁচানোর জন্য, জনগণকে সচেতন করতে সরকার মরিয়া হয়ে কাজ করছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ধামরাইতে নিয়মিত মানুষকে সচেতন করতে মাঠে কাজ করে যাচ্ছে প্রশাসনের কর্মকর্তারা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: সামিউল হক, এসিল্যান্ড অন্তরা হালদার, রাজনৈতিক ব্যক্তি, পুলিশ, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ সবাই রাস্তায় মাইকিং করছে, করছে মাস্ক বিতরণ। গণ জমায়েত হতে নিষেধ করছে।

শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ সময় অনলাইন ক্লাস করে নানা ধরনের সমস্যায় ভুগছে। বিরক্ত হয়ে পড়েছে পড়াশোনা থেকে। খেলাধুলা, অবসর সময় আর মোবাইল নিয়ে তারা ব্যস্ত সময় পাড় করছে। আসক্ত হয়ে পড়েছে মোবাইলে। কবে খুলবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমন চিন্তায় অনেক দরিদ্র পরিবারের সন্তান পড়াশোনা বাদ দিয়ে কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। এতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পর অনেক শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। অনলাইন ক্লাসের নামে আসক্ত হয়ে পড়ছে মোবাইলে, অপরাধ বাড়ার প্রবণতা রয়েছে। শারীরিক সমস্যারও সম্মুখীন হচ্ছে তারা।

অপরদিকে হতাশায় দিন কাটছে খেটে খাওয়া মানুষ। লকডাউনে দূরে কোনো কাজে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। অর্থ সঙ্কটেও সময় পাড় করছে তারা। সামনে ঈদের সময়। পরিবারের চাহিদা পূরণ করতে হবে। যদি কাজ না করা যায় তবে কি করে পরিবারের যাবতীয় চাহিদা পূরণ করবে।

ভ্যানচালক জাহাঙ্গীরের বলেন, লকডাউনে দূরে কোনো কাজে যেতে পারি না। তাই বসে আছি সকাল থেকে। কোনো কাজও আসে না।

তবে নিয়মিত মাঠে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সামিউল হক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অন্তরা হালদারকে দেখা যায়। তিনি মানুষকে সচেতন করতে প্রতিনিয়ত মাঠে মাস্ক নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। করোনা ভাইরাস নিয়ে মানুষকে সচেতন করতে হ্যান্ড মাইকিং করে যাচ্ছেন। সেই সাথে পুলিশ প্রশাসনও।

তবে ঢাকা আরিচা মহাসড়কে প্রতিদিনের চেয়ে অনেক কম পরিবহন দেখা গেছে। প্রতিটি বাসষ্ট্যান্ডেই প্রচুর যাত্রী অপেক্ষমাণ ছিলো। দৈনিক আয়ের মানুষ অবসর সময় কাটাচ্ছেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত