ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

বরাদ্দ বেড়ে শতকোটি, তবুও কমে না মশা

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৬ জুলাই ২০২১, ১৫:১৮

বরাদ্দ বেড়ে শতকোটি, তবুও কমে না মশা
ছবি সংগৃহীত

রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের বাজেট বছর বছর বাড়লেও মশা কমছে না। প্রতিবছরই মশার উপদ্রব আগের চেয়ে বাড়ছে। রাতে তো বটেই, দিনেও মশার যন্ত্রণায় মানুষ অতিষ্ঠ। কিউলেক্স মশার ঘনত্ব বেড়েছে চারগুণ। এরই মধ্যে দেখা দিয়েছে এডিস মশার উৎপাত। হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গুর চাপ বাড়ছে। আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গু ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কিটতত্ববিদরা।

রাজধানীর দুই সিটিতে মশক নিধনে অর্থের বরাদ্দ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, প্রতিবছর বরাদ্দ বেড়েছে। বড় বরাদ্ধ থাকলেও প্রতিবছরই মশা নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেতে হচ্ছে সিটি করপোরেশনকে। প্রত্যেক বছরই মশা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সমালোচনা মুখে থাকছেন মেয়ররা।

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের তথ্যমতে, ২০২১-২২ অর্থবছরে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের জন্য ১১০ কোটি টাকার বাজেট বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বিগত ২০২০-২১ অর্থবছরে মশক নিধনে দুই সিটির বাজেট ছিল ১১২ কোটি টাকা। এরমধ্যে ব্যয় করা হয়েছে ৯৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) সূত্রে জানা গেছে, মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে ২০২০-২১ অর্থবছরে বাজেট ছিল ৭০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৫০ কোটি ৫০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। খরচের মধ্যে রয়েছে- মশার ওষুধ বাবদ ৩০ কোটি, আবর্জনা ও আগাছা পরিষ্কারে ১ কোটি ৫০ লাখ, ফগার ও স্প্রে মেশিন পরিবহণ খাতে ৩ কোটি, বিশেষ কর্মসূচিতে ২ কোটি, আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে মশা নিয়ন্ত্রণে ১২ কোটি টাকা ও চিরুনি অভিযানে ব্যয় হয়েছে ২ কোটি টাকা।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) বলছে, মশা নিয়ন্ত্রণ খাতে ২০২০-২১ অর্থবছর বরাদ্দ ছিল ৩৫ কোটি টাকা। পাশাপাশি মশক নিধন যন্ত্রপাতি ক্রয়ে ৭ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়। এরমধ্যে খরচ হয়েছে ৪৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। খরচের মধ্যে রয়েছে মশার ওষুধ ক্রয় ৩৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা, জলাশয় পরিষ্কার ও ব্যবস্থাপনায় ৫০ লাখ টাকা, ফগার ও স্প্রে মেশিন পরিবহণে খরচ ৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।

এদিকে মশা নিয়ন্ত্রণ খাতে বিগত অর্থবছরগুলো বাজেট বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ডিএসসিসি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল ১১ কোটি ৫০ লাখ টাকা, তবে ওই বছর এডিস মশার ব্যাপক উপদ্রব বাড়লে বরাদ্দ বাড়িয়ে খরচ করে ১৭ কোটি ১৮ লাখ টাকা। তবে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাজেটে বরাদ্দ বাড়িয়ে ২৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা করা হয়, যদিও ব্যয় হয় ১৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাজেট ছিল ২৬ কোটি টাকা, এর মধ্যে ব্যয় হয় ১৯ কোটি ৫২ লাখ টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাজেট বাড়িয়ে ৪৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা করা হয়, এর মধ্যে ব্যয় হয় ২৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।

অন্যদিকে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ডিএনসিসির বাজেট ছিল ২৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা, এর মধ্যে ১৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাজেট ছিল ২০ কোটি টাকা, এর মধ্যে ১৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা হয়। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাজেট ছিল ২১ কোটি টাকা, এর মধ্যে ১৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয় হয়। ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাজেট ছিল ৪৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা, এর মধ্যে ব্যায় হয় ৫৮ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমআর/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত