ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

সিআরবিতে হাসপাতাল প্রকল্পের সিদ্ধান্ত নিবেন প্রধানমন্ত্রী: রেলমন্ত্রী

সিআরবিতে হাসপাতাল প্রকল্পের সিদ্ধান্ত নিবেন প্রধানমন্ত্রী: রেলমন্ত্রী
সিআরবি ।। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের সিআরবিতে হাসপাতাল প্রকল্প নিয়ে সর্বশেষ সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী দিবেন বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।

শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রেলমন্ত্রী বলেন, আমাদের তো সর্বোচ্চ একজন গার্ডিয়ান আছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। সিদ্ধান্ত দেওয়ার জন্য যিনি সবার উপরে। সে জায়গা থেকে আমরা নিরাপদ। উনি সর্বশেষ যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেটা সবার জন্য শিরোধার্য। প্রাথমিক অবস্থায় আমরা শুধু তা খতিয়ে দেখব।

চটগ্রাম নগরীর ঐতিহ্যবাহী সিআরবি এলাকায় ৫০০ শয্যার হাসপাতাল ও ১০০ আসনের মেডিকেল কলেজ স্থাপনের জন্য ইউনাইটেডের সঙ্গে চুক্তি করেছে রেলওয়ে। পরে জুলাই মাসে প্রকল্প এলাকার জমি হাসপাতাল নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া উদ্যোগ নেওয়া হলে আন্দোলন শুরু হয়। চট্টগ্রামের রাজনীতিবিদ, বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ এই প্রকল্প সিআরবিতে না করার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন কক্সবাজারে রেলের প্রকল্প পরিদর্শন শেষে শুক্রবার চট্টগ্রামে আসেন। নগরীর রেলওয়ে অফিসার্স ক্লাবে সন্ধ্যায় একটা কর্মশালার উদ্বোধন করার আগে সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সফরে এসে মন্ত্রী যখন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন তখন সার্কিট হাউসের অদূরে সিআরবিতে হাসপাতাল প্রকল্প বাতিলের দাবিতে সমাবেশ করছিলেন আন্দোলনকারীরা।

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে সিআরবিতে হাসপাতাল হবে না কি হবে না এমন প্রশ্ন করা হয়। জবাবে মন্ত্রী বলেন, এটাকে যতটা গুরুত্ব দিয়ে বা যেভাবে আপনারা তুলে ধরছেন কিংবা যা হচ্ছে- এটা আমার মনে হয় অতটা করার কোনো অর্থ নেই। আপনারা জানেন যে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় জনগণের কল্যাণের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। আপনারা চট্টগ্রামের মানুষ যদি কোনো স্থাপনা না চান সেটা আমাদের জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার তো কোনো প্রয়োজন নেই।

আন্দোলনের বিষয়ে প্রশ্ন তুলে রেলমন্ত্রী বলেন, যখন বিদ্যুৎ হয়। তখন বিদ্যুৎ নিয়ে কতকিছু আমাদের দেশে গেছে। আমাদের একশ্রেণির মানুষ আছে যাদের কোনো কাজই ভালো লাগে না। খতিয়ে দেখার প্রয়োজন আছে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে নাকি সত্যিকারভাবে চট্টগ্রামের মানুষের স্বার্থে কথা বলা হচ্ছে। চট্টগ্রামে তো কয়েকজন মন্ত্রী আছেন, এমপিরা আছেন। উনারা তো প্রতিনিধিত্ব করেন।

প্রকল্প নিয়ে তথ্যগত কোনো ভুল হচ্ছে কিনা সেটাও একটু খতিয়ে দেখা দরকার মন্তব্য করে রেলমন্ত্রী বলেন, “যে কথাগুলো বলে, অভিযোগ দিয়ে যে আন্দোলনের কথা বলা হচ্ছে, সেটার ভিত্তি কতটুকু? সেটুকু আমাদের যাচাই বাছাই করার জন্য সময় দিতে হবে।”

যাচাই বাছাই চলছে কিনা জানতে চাইলে রেলমন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কয়েকদিন পূর্বে আমরা একটা অভিযোগ পেয়েছি। আন্দোলন তার পূর্বেই শুরু হয়েছে। তার পূর্বেই পেপার পত্রিকায় সেখানে দেখতেছি। কিন্তু কী নিয়ে আন্দোলন তা আনুষ্ঠানিকভাবেও রেলের কাছে কোনো দরখাস্ত করেনি। মন্ত্রীর বরাবরেও কোনো দরখাস্ত করেনি। আমাদের জিএম বা ডিজি মহোদয়ের কাছেও করা হয়নি। সচিব আছেন, করা হয়নি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছেও কোনো দরখাস্ত করা হয়নি। তাহলে কী কারণে বা কেন আন্দোলন। উনারা দরখাস্ত বা অভিযোগ দেওয়ার পরও যদি জোর করে কিছু হয়, তখন না আন্দোলনের প্রশ্ন আসবে।”

সিআরবিতে শহীদদের কবরের স্থানে হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্প বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি তো সে বিতর্কে যেতে চাইছি না। বলছি যে, অভিযোগ আনুষ্ঠানিকভাবে পাইনি। যখন বলা হয়েছে অভিযোগ কী সেটা বলেন। সে অভিযোগ আনুষ্ঠানিকভাবে গতকালকে বোধহয় আমরা পেয়েছি। এখন সেটা বিবেচনা করব।

উল্লেখ্য, চটগ্রাম নগরীর ঐতিহ্যবাহী সিআরবি এলাকায় ৫০০ শয্যার হাসপাতাল ও ১০০ আসনের মেডিকেল কলেজ স্থাপনের জন্য ইউনাইটেডের সঙ্গে চুক্তি করে রেলওয়ে। কিন্তু প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এই এলাকায় হাসপাতাল না তৈরি করতে নগরীর বিভিন্ন পেশার মানুষ আন্দোলন করে আসছে।

বাংলাদেশ জার্নাল / এএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত