ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নির্বাচনী প্রচারণায়!

  দিনাজপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৭ নভেম্বর ২০২১, ১৮:০৯

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নির্বাচনী প্রচারণায়!
ছবি: প্রতিনিধি

দিনাজপুরের খানসামায় আসন্ন চতুর্ধ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রচারণায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অংশগ্রহণ করছেন। এতে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে উঠেছে।

গত ১১ নভেম্বর হতে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত উপজেলার ৬ ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ ও জমা প্রদান করা হয়েছে। অনেক প্রার্থীর মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা প্রদানে সরাসরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অংশগ্রহণের অভিযোগ করেছে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা।

অভিযুক্ত শিক্ষকদের চিহ্নিত করে নির্বাচনে সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব না দিতে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন অভিযোগকারী প্রার্থীরা।

অপরদিকে এ ধরনের ঘটনা শিক্ষা বিভাগের নজরে আসার পর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শিক্ষকদের নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করতে জরুরি নোটিশ দিয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৩ নং আঙ্গারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ডের এক সাধারণ সদস্য প্রার্থীর পক্ষে ছাতিয়ানগড় ঝাপুপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরল হক মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। তিনি বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাওয়াথেকে শুরু করে নির্বাচনী মতবিনিময় সভায় প্রকাশ্যে বক্তব্য দিয়েছেন বলে অভিযোগ।

এদিকে ভাবকি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে এক প্রার্থীর পক্ষে প্রায় শতাধিক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মতবিনিময় সভার আয়োজন হলেও উপজেলা প্রশাসন, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে তা বন্ধ হয়ে যায়।

অভিযোগকারী প্রার্থীরা বলেন, নির্বাচনে যেহেতু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন, সেহেতু তারা সরাসরি নির্বাচনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করলে ভোটে তার প্রভাব পড়বে। এ অবস্থায় এসব শিক্ষকদের চিহ্নিত করে তাদের নির্বাচনী দায়িত্ব না দিয়ে বরং আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

অভিযুক্ত ছাতিয়ানগড় ঝাপুপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরল হক নির্বাচনে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার বিষয়টি স্বীকার করে ঘটনাটি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।

এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) এস এম এ মান্নান বলেন, নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর পক্ষে শিক্ষক ও কর্মচারীর নামে কাজ করার অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জিকরুল হক বলেন, কারও বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘন কিংবা ভঙ্গ করার অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত