ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

শাস্তির মুখে আ’লীগের ৪ বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী

  নড়াইল প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৭ জুলাই ২০১৯, ১০:৪১

শাস্তির মুখে আ’লীগের ৪ বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী
বিদ্রোহী প্রার্থী বিপ্লব বিশ্বস বিলো, শিকদার আব্দুল হান্নান রুনু, সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটু ও হারুন আর রশিদ (বাম থেকে)

নড়াইলের তিন উপজেলায় নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচন করায় শাস্তির মুখে পড়তে যাচ্ছেন বিদ্রোহী চার চেয়ারম্যান প্রার্থী। এর মধ্যে তিনজনই আনারস প্রতীকে এবং একজন মোটরসাইকেল প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেন। দলীয় প্রধানের কঠোরতার কারণে এবার আর ছাড় পাচ্ছেন না বিদ্রোহী প্রার্থীরা। শোকজসহ থাকছে দল থেকে বহিস্কারের মত কঠিন সিদ্ধান্ত।

জানা গেছে, সংসদ নির্বাচন, জেলা পরিষদ, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের সময় দলীয় প্রতীক নৌকার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্থানে নৌকাকে পরাজিত করতে দলের প্রভাবশালী নেতারা বিশেষ ভূমিকা রেখেছিলেন। কেন্দ্র থেকে বারবার সতর্ক করা হলেও কোনো কাজ হয়নি। অনেককে সাময়িকভাবে বহিস্কারও করা হয়। সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীও বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহন করেন অনেকে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থীদের শোকজসহ দল থেকে বহিস্কার করার মত সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।

গত ১২ জুলাই গণভবনে হওয়া আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদকদেরকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা। নড়াইলের তিনটি উপজেলায় চারজনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। নড়াইলের তিনটি উপজেলায় চারজন ছিলেন দলের বিদ্রোহী প্রার্থী। এর মধ্যে একজন জয়ীও হয়েছেন।

সূত্র জানায়, নড়াইল সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয় জেলায় দলের সাধারন সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলুকে। এখানে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন নড়াইল পৌর যুবলীগের সভাপতি বিপ্লব বিশ্বাস বিলো (আনারস প্রতীকে)। নৌকা প্রতীকে নিজাম উদ্দিন খান নিলু ৪১ হাজার ৯’শ ৪৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বদ্বী নড়াইল পৌর যুবলীগের সভাপতি বিপ্লব বিশ্বাস বিলো আনারস প্রতীকে ভোট পান ৩৮ হাজার ১’শ ৪৮।

লোহাগড়া উপজেলায় আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয় ঢাকায় অবস্থানকারী রাশেদুল বাশার ডলারকে। এ উপজেলায় দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে অংশগ্রহন করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শিকদার আব্দুল হান্নান রুনু (আনারস প্রতীক) এবং সাধারন সম্পাদক সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটু (মোটরসাইকেল প্রতীক) নিয়ে প্রতিদ্বদ্বীতা করেন। নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শিকদার আব্দুল হান্নান রুনু (আনারস) প্রতীক নিয়ে ৩৬ হাজার ৩’শ ১৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকট তম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী রাশেদুল বাশার ডলার পান ২১ হাজার ২’শ ২৫ ভোট।

কালিয়া উপজেলায় নৌকা প্রতীক দেওয়া হয় উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক কৃষ্ণপদ ঘোষকে। এ উপজেলায় বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হারুন আর রশিদ আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নৌকা প্রতীকের কৃষ্ণপদ ঘোষ ৪২ হাজার ৮’শ ৪৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হারুন আর রশিদ আনারস প্রতীকে ভোট পান ২০ হাজার ৬’শ ১৪ ভোটা।

জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস এবং সাধারন সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন খান নিলু বলেন, উপজেলা নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে নির্বাচনে অংশগ্রহনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের বিষয়টি অবগত হয়েছি। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে আলাপ হয়েছে। তবে এখনও চিঠি পাইনি। হাতে পেলে চিঠির নির্দেশনা মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত