ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

যে কারণে সম্রাটকে হত্যা করতে চেয়েছিলো জিসান-খালেদ

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ০৬ অক্টোবর ২০১৯, ১১:০৪

যে কারণে সম্রাটকে হত্যা করতে চেয়েছিলো জিসান-খালেদ

ক্যাসিনো চালানোর তথ্য প্রকাশের পর আত্মগোপনে থাকা ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন সম্রাটকে অবশেষে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। রোববার ভোর ৫টার দিকে কুমিল্লা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানা গেছে।

র‌্যাব জানায়, চলমান ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানের ধারাবাহিকতায় সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে রোববার কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ও তার সহযোগী আরমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রাজধানীতে ক্লাব ব্যবসার আড়ালে ক্যাসিনো ব্যবসার পরিচালনার কারণে তিনি ক্যাসিনো সম্রাট হিসেবে পরিচিত। রাজধানীর ৩০টি ক্যাসিনোসহ ঠিকাদার ও ভবন নির্মাণে সম্রাটের মাসে ৫০ কোটি টাকা চাঁদাবাজি হতো। এই বিপুল পরিমাণ চাঁদাবাজির একটা বিরাট অংশের প্রতি টার্গেট ছিল বিদেশে আত্মগোপন করা শীর্ষ সন্ত্রাসীদের। এদের মধ্যে দুবাইয়ে আত্মগোপন করা জিসান, রনি এবং ভারতে আত্মগোপন করা শাহাদত, আশিকের নাম ছিল তালিকার শীর্ষে।

রাজধানীর বেশ কিছু এলাকার চাঁদাবাজির একটি বড়ো অংশ জিসানের কাছে পৌঁছে যেত। ধীরে ধীরে জিসান সম্রাটের চাঁদাবাজির সাম্রাজ্যের দিকে হাত বাড়ান। প্রতি মাসে ১০ লাখ টাকার পরিবর্তে চাঁদার অঙ্ক পৌঁছে যায় ১০ কোটি টাকায়। এ নিয়ে জিসানের সঙ্গে সম্রাটের বহুবার কথোপকথন হয়।

গত বছরের ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচনের আগে সিঙ্গাপুরে ম্যারিনা বে স্যান্ডস হোটেলে জিসানের সঙ্গে সম্রাট ও খালেদের বৈঠক হয়। সেখানে সম্রাটের কাছে ১০ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন জিসান।

সম্রাট জানান, তিনি এখন রাজধানীর ডন। তিনি কাউকে চাঁদা দিতে পারবেন না। এমনকি মাসের ১০ লাখ টাকা চাঁদা পাঠানোও বন্ধ করে দেন সম্রাট। এ নিয়ে জিসান হাত মেলান খালেদের সঙ্গে। গত এপ্রিলে দুবাইয়ে জিসান-খালেদ বৈঠক হয়। সেখানে সম্রাটকে হত্যা করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বান্দরবান থেকে খালেদ পাঁচটি একে-২২ রাইফেল ঢাকায় আনেন। এগুলোর মধ্যে গত ৩০ জুন সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকা ও খিলগাঁও থেকে দুটি একে-২২ রাইফেল উদ্ধার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত চার জনের কাছ থেকে ডিবি জানতে পারে যে চাঁদাবাজির আন্ডারওয়ার্ল্ড নিয়ন্ত্রণের জন্য জিসান-খালেদের নির্দেশে তারা এসব একে-২২ রাইফেল ঢাকায় এনেছিল।

হত্যার পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে যাওয়ার আগেই সম্রাট বিষয়টি টের পান। এরপর থেকে সম্রাট ও খালেদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হতে থাকে। সম্রাট তার চলাফেরায় অনেকটা গোপনীয়তা নিয়ে আসেন। তাকে বহন করা গাড়ির আগে ও পেছনে অন্তত ছয়টি গাড়িতে ক্যাডার নিয়োজিত করা হয়। এসব ক্যাডারের কাছে ২০-২৫টি আগ্নেয়াস্ত্র ছিল বলে খালেদ গোয়েন্দা সংস্থার জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন। এমনকি বিশ্বস্ত কেউ না হলে তার সঙ্গে সাক্ষাত্ও বন্ধ করে দেন সম্রাট।

আরএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত