ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

ছেঁউড়িয়ায় বসেছে রসের মেলাও!

  কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৮ অক্টোবর ২০১৯, ১৮:০৯

ছেঁউড়িয়ায় বসেছে রসের মেলাও!

নানা আকারের থালায় থরে থরে সাজানো হরেক রকম মিষ্টান্ন। বাহারি সব নাম। জিলাপি, ফুল জিলাপি, রসগোল্লা, রাজভোগ, প্যারা সন্দেশ, কালোজাম, চমচম, কুষ্টিয়ার স্পেশাল চমচম, খেজুর মিস্টি, চিনির তৈরি দানাদার, গুড়ের খুরমা, চিনির খুরমা, লেংচা, সানার পোলাও, কদমা, ছাচ, বিভিন্ন রকমের খাগড়াই, আরো অনেক প্রকারের মিষ্টির পসরা।

এসব মিষ্টির নাম শুনলেই যেন খেতে ইচ্ছা করে। আর দেখলে তো কথায় নেই। যেমন দেখতে তেমন খেতেও দারুণ। এসব বাহারি মিষ্টির পসরা বসেছে কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ার লালন মেলায়। এ যেন রসের মেলা। দূর-দূরান্ত থেকে আসা লালন মেলার দর্শনার্থীদের প্রায় সবাইকে টানে এই মিষ্টি ঘ্রাণ। সেই সাথে চোখের সামনেই ভাজা গরম জিলাপির রসালো চেহারা যেনো জিভে জল এনে দেয়।

কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ার লালন আঁখড়াবাড়িতে বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহ্ এর ১২৯তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে চলছে লালন মেলা। আর লালন মেলা থেকে বের হওয়ার পথেই চোখে পড়বে এসব মিষ্টির দোকান। বিশেষ করে গরম জিলাপি সবাইকেই আকর্ষণ করে। যেমন চেহারা তেমনি তার স্বাদ। এছাড়া রয়েছে কুষ্টিয়ার ঐতিহ্যবাহী তিলের খাজা ও শনপাপড়ি।

শিশু, কিশোর, নারী-পুরুষ, বয়স্ক সে যেই আসুক এই লালন মেলায় এসব মিষ্টি তাদের আকৃষ্ট করেই। আর বিক্রেতারাও সুন্দর করে সাজিয়ে রাখেন। লালন মেলার ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি খাওয়া, বাড়ির জন্য নিয়ে যাওয়া এটা যে মেলায় ঘুরতে আসা প্রায় সব দর্শনার্থীর কাজ।

মেলায় ঘুরতে আসা সোহেল রানা জানান, লালন মেলায় গরম গরম জিলাপি খেতে বেশ মজা লাগে। তাই এখানে জিলাপি খেতে এসেছি। এখানকার জিলাপীগুলো মচ-মচা, রসালো। এছাড়া বাড়ির জন্য চিনির তৈরী ছাচ কিনেছি। সব সময় তো এগুলো পাওয়া যায় না।

উসমান আলী নামের আরেকজন জানান, মেলায় এসে খুরমা, সন্দেশ, জিলাপী খেয়েছি। বেশ মজা লেগেছে। ভাবছি বাড়ির জন্য কিছু কিনে নিয়ে যাবো।

দর্শনার্থী জয়শ্রী পাল বলেন, লালন মেলায় এলে আমি মিষ্টির দোকানগুলোতে আসি। চিনির তৈরি দানাদার মিষ্টি আমার খুবই পছন্দের। প্রতিবছরই আমি এখান থেকে এই দানাদার কিনি। এবারো কিনেছি। আর এখানে দামও কম।

মিষ্টির দোকানদারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এখানে অনেক প্রকারের মিষ্টি পাওয়া যায়। সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় দানাদার ও জিলাপী। এছাড়া অন্যান্য মিষ্টিও বিক্রি হয় বেশ ভালো।

আবুল কালাম নামের এক দোকানদার মিষ্টির দাম সম্পর্কে বলেন, এবারে মেলায় গরম জিলাপি (ফুল ও দেশি) ৮০ টাকা কেজি, ছানার জিলাপী ১০০ টাকা কেজি, দানাদার ১২০ টাকা কেজি, গুড়ের খুরমা ১২০ টাকা কেজি, খেজুর মিষ্টি ১০০ টাকা কেজি, চিনির মিষ্টি ১০০ টাকা কেজি, সানার পোলাও ২০০ টাকা কেজি, রাজভোগ ২২০ টাকা কেজি, লেংচা ১৬০ টাকা কেজি, প্যারা সন্দেশ ৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার মিষ্টির বিক্রি বেশ ভালো। তবে দোকানের পজেশনের খাজনা একটু বেশি। মেলার এই তিন দিনে আমার এই দোকানে খাজনা দিতে হয় ২০ হাজার টাকা। আজ শুক্রবার তো শেষ দিন। গত দুদিনের যে বিক্রি হয়েছে তার চেয়ে আজকে বেশি বিক্রি হবে বলে আশা করছি।

কাউসার নামের এক মিষ্টির দোকানি জানান, বাচ্চারা কদমা, খাগড়াই, খই, ছাচ খুবই পছন্দ করে। বেচা বিক্রিও ভালো।।

কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ার কালী নদীর পাড়ে লালন মেলা চলবে শুক্রবার গভীর রাত অবধি।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত