ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১২ মিনিট আগে
শিরোনাম

অবশেষে শাস্তির মুখোমুখি জামালপুরের সাবেক ডিসি

অবশেষে শাস্তির মুখোমুখি জামালপুরের সাবেক ডিসি

জামালপুরের সাবেক ডিসি ও তার পিয়ন সাধনার ভাইরাল হওয়া অনৈতিক ভিডিওর সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। ঘটনার চুলচেরা বিশ্লেষণ করে পরতে পরতে ভাইরাল হওয়া ভিডিওর সত্যতা খুঁজে পেয়েছে। ২৬ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনে রয়েছে যার বিশদ বর্ণনা।

যার ফলে শাস্তির মুখোমুখি হতেই হচ্ছে জামালপুরের সাবেক ডিসি আহমেদ কবীরকে। যিনি ইতিমধ্যে সবার কাছে বহুল আলোচিত ও সমালোচিত ব্যক্তি।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জামালপুরের সাবেক ডিসি আহমেদ কবীরের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ভিডিওটি সত্য। জাল বা ফেব্রিকেট নয়। এ ঘটনায় তার নারী সহকর্মী সানজিদা ইয়াসমিন সাধনাও অভিযুক্ত। তারা পরস্পরের ইচ্ছায় এ অনৈতিক কাজে মিলিত হয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে বিধিবিধান অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ২২ আগস্ট রাতে চাঞ্চল্যকর ভিডিওটি প্রথমে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। পরদিন সকাল থেকে ফেসবুক ও ইউটিউবে ভাইরাল হয়। দেশে ও বিদেশে লাখ লাখ নয়, কোটি কোটি মানুষ এটি প্রত্যক্ষ করেছে। নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সবাই।

এদিকে তদন্ত কমিটির কাছে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাজীব কুমার সরকার বলেন, খাস কামরায় ক্যামেরা লাগানোর বিষয়ে সানজিদা ইয়াসমিন সাধনা জড়িত বলে তার ধারণা। তাছাড়া তদন্তকালীন জিজ্ঞাসাবাদে সাধনা বলেছেন, তিনি পরিস্থিতির শিকার।

জিজ্ঞাসাবাদকালে অভিযুক্ত সাবেক ডিসি আহমেদ কবীর তদন্ত কমিটির কাছে বলেন, মোবাইলে হুমকি প্রদানকারী ব্যক্তিটি পুরুষ ছিল। যদি আহমেদ কবীরের বক্তব্য যথাযথ ধরে নেয়া হয় তাহলে ওই পুরুষ ব্যক্তিটি জেলা প্রশাসনের কোনো ব্যক্তি বা বাইরের কোনো ব্যক্তি, যার সঙ্গে সানজিদার সম্পর্ক রয়েছে।

তবে কে বা কারা অনৈতিক কর্মকাণ্ডের গোপন ভিডিও করেছে সে বিষয়ে তদন্ত কমিটি নিশ্চিত হতে পারেনি। এ জন্য অধিকতর তদন্ত প্রয়োজন বলে মন্তব্য করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ২২ ও ২৩ আগস্ট থেকে এ সংক্রান্ত ভিডিওটি ফেসবুক ও ইউটিউবে ভাইরাল হওয়ার পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির প্রধান ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব ড. মো. মুশফিকুর রহমান।

এনএইচ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত